শরীরকাব্য ১
তখন তো রাজ-রাণী ছিলে আজকে হলে দাসী?
অসময়ে জড়িয়ে ধরে বললে ভালোবাসি
যখন আমার উত্থিত সুখ তখন ছিলে দূরে
এখন হাড়ে কাঁপন ধরে বাতাস যে উত্তুরে
‘শরীর কি সব? মন কিছু নয়, মন কিছু নয়’ বলে
টানছো কেন এই অবেলায় মনের জগদ্দলে?
মনের বনে আগুন দিয়ে উঠেছি পর্বতে
অরুচি মদ, নেশা হলো শরীরী শরবতে
শরীর শুনে আঁতকে ওঠো, শরীর কি অশ্রাব্য
মন হলো এক জটিল ধাঁধা শরীরটাই কাব্য।
শরীরকাব্য ২
ঘষা কাচের ওপাশে এক
বিবস্ত্র সুন্দরী
ফোন বাজছে, এমন সময় আমি
কি ফোন ধরি?
কাচের ওপর জলের ফোঁটা বিমূর্ত দৃশ্য
দৃষ্টিক্ষুধা পূর্ণ আর
সব কিছু নিঃস্ব
কী নাম তোমার, কে গো তুমি
সুদীর্ঘকেশী
পাশেই আছ, পাশেই থাকো,
নিকট প্রতিবেশী
জলের নিচে জ্বলছে তোমার
জ্বলন্ত আগুন
আগুনে হাত বাড়ানো কি
নিষিদ্ধ কানুন?
আগুনে তো অঙ্গ পোড়ে আর কি
পোড়ে হায়
সন্ধ্যা হলেই আগুন লাগে আমার জানালায়।
সন্ধ্যা হলেই আগুন লাগে আমার জানালায়।
প্রিয়
হয়তো খুবই অবাক হবে তবুও বলি
আমার
প্রিয় বৃক্ষ হলো বাঁশ
তোমরা
যাকে তুচ্ছ করো বলছি আমি
আমার
প্রিয় সেই দূর্বাঘাস
এবং
আমার প্রিয় পাখি কাজলদীঘির
জলে
ভাসা শুভ্র পাতিহাঁস
হাড়
কাঁপানো শীতের ভোরে খালের ধারে
শিশির
গায়ে দাঁড়িয়ে থাকা আমার প্রিয়
ফুলটি
হলো কাশ
আউশ
ধানের মাঠ ভাসিয়ে হঠাৎ জোয়ার
উথলে
ওঠা আষাঢ় আমার সবচেয়ে
প্রিয় মাস
এবং
তোমার ভালোবাসার আঘাত আমার
এই
জীবনের সবচেয়ে প্রিয়
হঠাৎ সর্বনাশ।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন