রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৫
অদ্বয় চৌধুরী
সম্পর্কগাছ
এসো, দু’ সারি ঝাউগাছ
হই আমরা। ছুঁয়ে থাকি একে অপরকে। আষ্টেপৃষ্ঠে থাকি একে অপরের সাথে।
সাগরের তুখোড় হাওয়ায় উপড়ে যাওয়ার ভয় নেই। বরং, ক্রমশ বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর
ভরকেন্দ্রে ছড়িয়ে যায় আপন শিকড়। তারপর পরস্পর আলিঙ্গনে তৈরি হয় এক মায়াবী চাদর,
যার উপর প্রচণ্ড গরমে দু' পশলা বৃষ্টি ঝরে
পড়ে। কল্পনারা আরামদায়ক ভাতঘুমে ভেসে বেড়ায় সাত সাগর আর তের নদীর পারে। এসব কিছুই
ঘটে, কিন্তু দেখা যায় না। এসবই তো পর্দার পিছনের অদৃশ্য চালিকাশক্তি। যা অনুভব করা
যায় তা হলো সালোকসংশ্লেষ। জেগে ওঠে ছোট
অথচ দুর্নিবার শপথে নিরন্তর বাষ্পিভূত হতে চাওয়া জলকে ধরে রাখা প্রেমরঙা পাতা। যা
দেখা যায় তা এই প্রেমরঙা পাতা। হ্যাঁ, এখানে পাতার রং প্রেমই তো। নিয়ত সংশ্লেষে ক্রমাগত
প্রাণবায়ু নিঃসরণে সে আরও আরও প্রেমিক হয়ে ওঠে।
তোমাকে লেখা প্রতিটা চিঠিই
শেষ পর্যন্ত প্রেমের ইস্তেহারে বদলে যায়। কোনো এক মায়াবী সংকেতে। অথবা মায়াবী গোপনীয়তাকে পাশে
সরিয়ে আলিঙ্গন করে প্রকাশ্য বিদ্রোহ। প্রকাশ্য
আলিঙ্গনে যে বিদ্রোহের আঁচ আছে তা কোনো গোপন সংকেতে নেই যে! এভাবেই গোধুলির মায়াবী কুহক এড়িয়ে এগিয়ে
চলে প্রেমপত্র। তার পরিশেষের পথে। যে
পরিশেষ আদপে অস্তিত্বহীন। যে পরিশেষ আসবে না কখনোই।
এভাবেই সমস্ত লেখা
বদলে যায় প্রেমপত্রে। এভাবেই সমস্ত প্রেমপত্র ক্রমাগত বেড়ে ওঠে সম্পর্কগাছের মতো।
এভাবেই সমস্ত সম্পর্কগাছ পেরিয়ে যায় ইতিহাসদাগ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
বাহ অদ্বয়।এ অবশ্য আমার আগে পড়া।আবার পড়লাম
উত্তরমুছুনবাহ অদ্বয়।এ অবশ্য আমার আগে পড়া।আবার পড়লাম
উত্তরমুছুনবাহ অদ্বয়।ভাল লাগল।এ অবশ্য আমার আগেও পড়া।আবার পড়লাম
উত্তরমুছুনবাহ অদ্বয়।ভাল লাগল।এ অবশ্য আমার আগেও পড়া।আবার পড়লাম
উত্তরমুছুন