কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

রবিবার, ২৯ জুন, ২০১৪

০১) রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায়


সার্কাস

একটাই ক্লাউন বসে আছে। যেমনটা বার বার দেখেছি। নাকের ওপরে একটা বড় গোলাপি গোলা। এটা আর্টের ইনস্টলেশান পর্যায়ভুক্ত হতে পারে।
এই লেখাটা যতদূর যাবে, গোলাটা গলতে থাকবে।
লেখা শেষ, গলন শেষ। বিগলনও।
দেখা যাক রিং-মাস্টার কোথায়?
এই যে দর্শকাসন পুরো ভর্তি, টানটান একটা উত্তেজক রোমাঞ্চকর, আধা-শীৎকৃত-শিহরিত পরিবেশ; সেটা মূলত আলো ঘুরে যাওয়ার আর সুর বেজে যাওয়ার ক্রমাগত কারসাজি মাত্র।
সবাই দেখবে অথবা, কেউ দেখবে না।
সাইট-অফ-ব্লাইন্ডনেস।
মঞ্চে একটাই ক্লাউন।
ক্লাউনের চারটে টুপি। চারটে রঙের। 
যেমনটা সে সকাল থেকে মঞ্চাভ্যাস করছিলঃ
ই-য়ে-স পা-পা (বলার সময়ে মাথাটা না-না তে দুলবে)
নো-ও পা-পা (বলার সময়ে মাথাটা হ্যাঁ-হ্যাঁ তে দুলবে)
ই-য়ে-স পা-পা (বলার সময়ে মাথাটা হ্যাঁ-হ্যাঁ তে দুলবে)
নো-ও পা-পা (বলার সময়ে মাথাটা না-না তে দুলবে)
যে কোনো প্রশ্নের চারটে উত্তর। চারটে রঙের যে কোনো একটা টুপি তুলে যে কোনো   একটা বিশেষ দিকে কয়েক পা হেঁটে তাঁবুর কৌণিক শীর্ষদেশে চোখ রেখে ক্লাউন চিৎকার করে উঠবেঃ
ই য়ে স পা পা
সবাই শুনবে অথবা, কেউ শুনবে না।
কানের গোচরগ্রাহ্যতা পেরিয়ে গিয়ে ক্লাউনের শীৎকার আবার ফুটে উঠবেঃ

নো ও ও পা পা
রিং-মাস্টার কোথায়?
প্রশ্নটাই বা কী ছিল?
গলে গলে গোলাপি রঙটা ক্লাউনের ডোরাকাটা জামা-পাজামা বেয়ে পড়ছে। নাকটা খুব লাল আর উজ্জ্বল দেখানোর আগে যেটুকু হিম বসে আছে এখনও, সেটুকুও গলে যাবে।
দিক ফিরে, মুখ ফিরে ক্লাউন আবার চিৎকার করে উঠবেঃ
নো ও ও পা পা
রিং-মাস্টার কেউ ছিল না। কেউ নেই। হতে পারে ওটা আপনার প্রেত-ছায়া। চেয়ার বদলে, ডোরা বদলে, জামার বদলে পাজামা আর পাজামার বদলে জামা পরে ফেললে, আপনিই রিং-মাস্টার।
আর প্রশ্নটা?
যে যার নিজের মতো করে স্থির করে নিন দর্শক। দেখবেন, যে কোনো প্রশ্নের চারটেই উত্তর হয়। বর্ণ ও ইঙ্গিতভেদে চার-ই প্রকার।
তাঁবু ভেঙে পড়ছে। যেন এরই সমর্থনে ক্লাউন শীৎকার করে উঠছেঃ
ই য়ে স পা পা


সৌজন্য - বাক্

1 কমেন্টস্: