কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ২৯ জুন, ২০১৪

০৪) ইকবাল রাশেদীন


অর্ধেক জীবন

তোমার এবং তোমাদের হ্যান্ডসেটে
কোনো নামে আমি সাঁটা।

আমি ভাবছিলাম শুভেন্দু’র কথা
শুভেন্দু তখন কার কথা বসে ভাবে।

সকালে যাকে ফোন দেব ভেবেছি
সে কার ফোন ভেবে ফোন তোলে হাতে।

একসাথে মঞ্চে অভিনয় দেখলাম ১৮২ জন 
ফিরে যাচ্ছি যার যার ডেরায় - নিজস্ব ভুবনে।

জনগণের মধ্যে আমি একজন
তুমিও একজন, ভাবনা কেন?

অর্ধেক জীবন – আমার
বাকি অর্ধেক - তোমাদের সাথে।  

দ্বন্দ্ব

প্রতিটি ট্রাফিক জ্যাম খুলে যায় পৃথক নিয়মে
কখন থামতে হয় তা ঠিক জানতে হয়
জাতিস্মরের স্মৃতি মনে করিয়ে দিল- 
বিগত জীবন এর চেয়ে বেদনার ছিল
রেললাইন জংশনের সরল জটিলতা আমি বুঝতে পারি না
আজ তোমার ভালোবাসা নিয়ে মনে মনে খেলব
ঘুড়ি ছিঁড়েছে লাটাই, ভোঁ দৌড় কার তরে
এখনো বুঝতে পারনি এ জ্যাম ছুটবার নয়?



ডাকাতিয়া বাঁশি

জোছনা অন্ধকারে ঘুড়িটি উড়ছিল আকাশে
এক নাগাড়ে বেজে যাচ্ছিল তার চঞ্চুতে
বাঁধা বেতের বাঁশি,
আধ মাইলটাক নিচে ক্ষেতের আইলে
বসে যুবক শক্ত সুতায় তাকে
ডানে বাঁয়ে নাচাচ্ছিল, বাজাচ্ছিল-
তার মনের ঢেউয়ের সাথে - ঢেউদোলা ঢেউদোলা।

কিশোরী কন্যাটি ঘর-বাহির ঘর-বাহির
করতে করতে অসহ্য আবেগে
শা
ড়ির আঁচলকে নিশানের মতো উড়িয়ে
আইল বরাবর জোছনা আলোয় দিল এক ছুট...

ঘুড়ি
ড়ানো দোষের নয়,  
অদ্ভুত বাঁশি এইভাবে কেন ডাকে কন্যা ভাবে।




তোমাকে ফিরে পাওয়ার গল্প  

স্বপ্নে পাওয়া মোহরগুলো জ্বলজ্বল করছিল
ভাঙ্গা ঘরের কো
ণায় - মাটির কলসে,
দুপুরবেলায় গুলতির নিরিখে যে শালি
কে
বিদ্ধ করতে গিয়েছিলাম, শালি
বলেছিল-  
মারিস না বাপধন, সোনার মোহর পাবি;
সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে দেখি - পুরনো সেই তুমি,
ছায়াময়, বসে আছ ঘরের বিষণ্ণ দাওয়ায়।

নদীর দুকুল এক করেও যে বীর পায়নি তোমায়
শিকারি বিড়াল অদ্ভুত আঁধারে ফিরিয়ে দিল তাই।

শালি
তুই উড়ে যা - যেদিকে দুচোখ যায়!

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন