কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

ভোর
তুমি আছ আবার তুমি নেইও 
যতবার চলে যাও 
ততবারই ফিরে আসো সময়ে
রঙ ঢালো আমাদের অন্ধকারে
আমরা শক্তিতে বিশ্বাস রাখি, আমরা ভক্তিতে বিশ্বাস রাখি 
তাই অসময়ে ফিরিয়ে দিই না তোমায়

দুপুর
সময় যখন ভিড়ের বুক চিরে দৌড়ায় একা 
তুমি বোকার মতো দাঁড়িয়ে ঘামো 
তুমি মিথ্যে কথা বলো 
অজুহাত দাও 
আর আমি আকাশে কাটা ঘুড়ি দেখে 
ছুটে পেরোই গলির পর গলি

বিকেল
লাজুক সাজলে সচেতন হওয়া বারণ 
সূর্য জিতলেও এভাবে ফেরে
আর হারলেও 
রোদের রেলিঙে আমরা আকাশ ঘিরি না, 
ঘিরে রাখি নিজেদের
শরীরের কালো অংশগুলো তখন 
মেঝেকে ভালোবাসতে চায়।

রাত
তোমার ছায়া বার্ধক্যে পৌঁছালো 
ক্লান্ত? 
প্রেমিকার অচেনা হওয়ার  সময় 
কারা যেন কেড়ে নিতে চায় তাকে 
তুমি হাত ছুঁড়বে, পা ছুঁড়বেমাথা গুঁজে দেবে মোজায়
কেবল ঘুম ভাঙার অপেক্ষা 
বুঝতে পারবে, 
দুঃস্বপ্নেরও স্বপ্ন থাকে।


যুক্তি 
কালকে রাত্রে রাত জেগেছিল যারা
আজকে তারাই নিষ্ঠুর হতে পারে
তোমার উচিত চিনে রাখা সব মুখ
তোমার উচিত গুনে রাখা ক্ষতচিহ্ন
তুমিই মানুষ বাকিরা প্রজাতি ভিন্ন
এসব শব্দ সাজিয়ে ফেলছে যারা
তারাই গোপনে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে 
তোমার উচিত বুঝে রাখা সেই চাল
তোমার উচিত কিনে রাখা কিছু যুক্তি
মৃত্যু দিলাম যেহেতু চেয়েছ মুক্তি



বলয়
আমরা যারা সূর্য হতে পারিনি, 
রোজ একটু করে আরো গরম হচ্ছি... 
রক্ত শুকাবো বলে, বরফ গলাবো বলে...
আমরা মেঘ হতে পারতাম, 
আমরা ভাসিয়ে দিতে পারতাম তোমায়। 
কিন্তু জেনেছি শত্রুর চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী 
অনেক কাছের মানুষ।


বন
বীজ ফেলেছিল কোনো এক পাখিঅনিচ্ছাকৃত মলত্যাগে... 
না হলে সজনে বনে আপেলের চারা হয় না 
চারা বাড়তে লাগল জল হাওয়া আলো আর পুষ্টিতে। 
পাতায় পাতায় ফুটে উঠল মেঘ 
যত মাথা তুলল, ভিজতে থাকল স্বপ্ন,
ডালের খোঁচায় বৃষ্টি নামালো মেঘ থেকে 
বৃষ্টি পড়তে থাকে, পড়তেই থাকে... 
বর্ষা পেরোলে ফল ধরে গাছে। 
এরপর নজর পড়ে প্রকৃতির, 
ফল বাড়তে থাকে, প্রকৃতি দেখতে থাকে। 
তারপর?
পচনের বিন্দু স্পষ্ট হয় আপেলে 
বনের পর বন 
শিউরে ওঠে উত্তেজনায়। 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন