কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১৪ মে, ২০২১

হ্যারি মার্টিনসন

 

প্রতিবেশী সাহিত্য

 

হ্যারি মার্টিনসন -এর কবিতা        

     

(অনুবাদ : বাণী চক্রবর্তী)   

 


কবি পরিচিতি : হ্যারি মার্টিনসন (৬,মার্চ..১৯০৪ ---১১ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮)  সুইডেনে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার  মৃত্যুর পর মা তাদের ভাই বোন দের ছেড়ে চলে যায়। তাই হ্যারির ছোটবেলা খুব  অস্থির ছিলো। অনেক বার স্কুল এবং বাড়ি থেকে পালায় সে।মাত্র ১৬ বছর বয়সে জাহাজে নাবিকের কাজ করেন।পরবর্তীতে ফিরে এসে লেখায় মন দেন।তার লেখায়  সংঘাতপূর্ণ শৈশব ও যৌবনের  ছাপ পাওয়া যায়। তার বিখ্যাত কাজ " আনিয়ারা পোয়েট্রি কালেকশন " স্পেস শিপ নিয়ে ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত হয়।এরপর  ১৯৭৪ সালে তিনি সর্বোচ্চ সম্মান নোবেল পুরষ্কারে  ভূষিত হন।

 

Listeners (শৈশবের পাঁচালি)

 

আমি ছোট ছিলাম সেসব কথা

শোনার জন্য... যখন বয়োবৃদ্ধরা

আখার পাশে বসে তাদের পাপের

পরি গননা করতো শেষের দিনের জন্য

কখন একজন ক্রুসবিদ্ধ পরিত্রাতা তাদের

সব পাপ ধুয়েমুছে দেবে।

 

বেড়াল গড়গড় করে, আগুন পোড়ায়

চিমনির পাইপ চিৎকার করে... কেউ

গান গায় সেই পরিচারিকাকে নিয়ে

যে কাজ করতে আসে রুটির তাগিদে

সে গানের প্রবল সংবেদনায় রক্তাক্ত হয় মন।

 

আজ বিলম্বিত ফসলের দন্তহীন মুখকে বলতে দাও 

সেই কুষ্ঠরোগীর কথা

অথবা  নীচু জলাভূমির শস্যদানার

ওপর লেগে থাকা সেই ভেলভেটি

ফাংগাসের তেতো ফুলের কথা!

আমিও থাকি আমার ছোটোবেলার

আখার পাসে বরফ হয়ে জমে!

 

Moon poem (চাঁদ ও স্বপ্ন)

 

স্বপ্নগুলোর অস্তমিত হওয়ার

একমাত্র পথ চাঁদের নিকেশ

পটভূমি থেকে।... তখন তারা...

আমাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর

সুপ্ত শীতল সাগরে

সন্ত্রস্ত হয়ে তলিয়ে যায়।

 

চাঁদের ঝলমলে রূপালি পথ

যেখানে সে প্রায়ই বসত তার সাথে

এখন  সে সৈকত ভারী হয়ে আছে

টুকরোপাথর আর বালির ঢিপিতে যা'

সেই উপাসনা গৃহ থেকে অনেক দূরে।

 

তাদের চুলের মত, তাদের

কুটিরও ধূসর হয়ে গেছে

অফুরন্ত সমুদ্রবায়ুর সৌজন্যে!

এবং যে বিস্তৃত ঝড় অর্কনীর দ্বীপ

থেকে ধেয়ে আসে... উপাসনাগৃহ প্রাঙ্গণ

সম্পূর্ণভাবে এলোমেলো করে দেয়।

 

The Sea Wind (নিঃসঙ্গ জেলিফিশ) 

 

অন্তহীন সাগরের বেলাভূমি দিয়ে

সমুদ্রবায়ুর সঞ্চরণ মৃদু ছন্দময় গতিতে।

এর আঁচল ছড়িয়ে যায় দিবা-রাত্রির সন্ধিতে

উত্তরণে ও আরোহনে!

 

অসীম সাগরের পরিত্যক্ত আলোড়িত

পরিসরের ওপর ভোর আসে...

সন্ধ্যা আসে... সমুদ্রবায়ু স্থলবায়ুর

আলিঙ্গনে উষ্ণ হয়ে ওঠে!

ঘন্টা বাঁধা নোঙ্গর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তে

টুংটাং সুরে অবিরাম সঙ্গীত শোনায়।

স্টীমার ধোঁয়া ছেড়ে যায় অথবা

ফোনেলিয়ান বর্ণমালার গভীরতা

হাল্কা হতে হতে দিগন্তে মেলায়।

 

একটা নিঃসঙ্গ জেলিফিশ নির্দিষ্ট গতিতে

আসা যাওয়া করে অবিরাম

তার উজ্জ্বল চকমকে নীল পুচ্ছ নিয়ে

আসন্ন ভোর থেকে দিনান্ত!

 

1 কমেন্টস্: