কবিতার কালিমাটি ১০৬ |
স্মৃতি এবং কল্পনা
(১)
মনে পড়ল? নাকি মন গিয়ে পড়ল?
বঁটিটা আমের রসে মাখামাখি,
নীল নীল ডুমো মাছিদের ওড়াউড়ি,
অলস অশেষ বেলা,
আঁটি হাতে মূর্তিমান
দার্শনিক। গোয়ালার ভাড় উপচে দুধ নদী,
আর ফিনফিনে সাদা পোশাকে ছোট ছোট পরী।
ঘড়িটা ঘন্টা দ্যায় নিয়ম মাফিক,
সময় দু’চোখ মুদে রোদ পোহায়,
আর পরীরা নেচে চলে অন্তহীন।
(২)
স্বপ্ন কি ভুলিয়ে দ্যায় সকল পাপ?
চোখ মুদে কি সবকিছু ভোলা যায়?
আশায় নিরাশায় জোছনায় ভিজে
অপেক্ষায় থাকো স্বপ্নের ভেতর ডুব
দেবে ব’লে,
আবার পরক্ষণেই ভয়াবহ
স্বপ্ন ভেঙ্গে শীতল এক বোধে জেগে ওঠো।
রক্তে মাখানো থেতলানো মুখ,
মুখে
লেপটে থাকা হাসি,
যেন একটি
রঙ মাখা সঙ;
ধারাবাহিক দুঃস্বপ্নরা
পিছু নিতে থাকে,
যেন বই-এর পাতা
উল্টে যায় একের পর এক; বনবাসে
যায় সকল আরাম,
সকল বিশ্রাম;
অভিশপ্ত জনপদ–স্বপ্ন,
স্মৃতি এবং বিভ্রমে
বন্দী; যেখানে এখন নিষিদ্ধ গোধুলি,
পোকামাকড়ের জাল আর ধুলোবালি;
চারপাশে আলো আঁধারের খেলা এবং
তোমার আমার নিষ্ফল অপেক্ষার পালা।
(৩)
বাড়ি বদল করেছি অনেক;
রেখে এসেছি প্রতিটি জায়গায়
একখন্ড আমি আর কিছু মানুষ
শেষ বাড়িটি ছেড়ে দিয়েছি বছর
হয়নি; ক’দিন আগে দেখলাম
জায়গাটা ভরে গ্যাছে ইটকাঠের
জঞ্জালে। একটা দেরাজ খোলা
যায়নি অনেকদিন। মনের মাঝে
খুঁতখুঁত ছিল, বাড়ির মালিক চাবি
দেওয়ার কথা বলে আর দ্যায়নি।
আমিও আর খুব একটা গা করিনি।
কী জানি হয়তো কোনো এক অলীক
স্বপ্নপুরীর দ্বারটি আর খোলাই হল না!
ঘুম হয় না বহুকাল; অশরীরি বাড়িটি
আগের রূপ ধারণ করে ঘুরে বেড়ায়।
গাছের ঝিরিঝিরি পাতার ভিতর দিয়ে
একটা দুটো মিটিমিটি তারা দেখা যায়।
লেখগুলো ভালো
উত্তরমুছুন