কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২০

প্রণব বসুরায়



কবিতার কালিমাটি



রাত্রির চর্যা

  
হাতের কলম বেঁকে যায়, সরে অন্য অক্ষরে
আমাদের শামিয়ানা আজ ধূলায় মলিন
রিংমাস্টার নেই বলে সব খেলা আজকে বাতিল

যেতে হবে জাগতিক রবি রশ্মির বাহির সীমায়
ছেঁড়া জুতোর আপত্তি শাস্তিযোগ্য অপরাধ--
বিবেচনা করো
আমাদের অসমাপ্ত নিসর্গ ভ্রমণবার্তা হলো না কোনদিন

অমলিন ত্রিভূজ এঁকেছি দেখো
আমাদের বাঘবন্দী খেলার পাতায়

রাত্রির চর্যা বুঝি এইখানে শেষ হয়, হয়...


কবিতা (১০২)


আমাকে নেবে নাশুনে চমকাই না, জানি এটাই প্রত্যাশিত
ঘরময় রেণু হয়ে ঘুরপাক শব্দের অণুরা, যেন সাবান-বেলুন
ঘরের পর্দা, পালঙ্ক, আরশি, আলমারি সুগন্ধী হয়ে আমাকে জাগায়...
সম্মোহিতের মতো আমি যাই বিরল ঝর্ণার কাছে
মেটাই আকন্ঠ তৃষ্ণা বসি নিকট পাথরে

স্নানের ইচ্ছা জাগে, পরিধান ত্যাগ করে
নেমে যাই জলের আদরে শরীরও ভিজুক

এপ্রকার কদাচিৎ স্নানে পুণ্য হয়... পঞ্জিকা যাইই লিখুক   


কবিতা (১১২)


দোর খোলা রেখে তস্কর ডেকে আনি
নিয়ে যাক এসে আদর-চাদরখানি

আমি তো শূদ্র, চন্ডাল-সাথে খাই
গুহাতেই বাস, পরিধান কিছু নাই

আচমকা বাজে জ্বলে ওঠে ভেজাকাঠ
ঘটি ডুবে যায় নিরালায়, নদীঘাট

আঁশ ছিঁড়ে ফেলি সকল ফলের, এসো
এসেছে পুরুত, তাহাকেই ভালোবেসো

কোন অছিলায়

স্রোত এসে নিয়ে যাবে নিষ্ফল সময়
আমাদের পাকশালে তালা পড়ে গেছে

স্ট্যাচুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বেবাক বালক
ভুলে যায় পার হতে, সামনে ক্রসিং

অস্পৃশ্য হয়েও আমি ছুঁয়েছি তোমাকে
ম্লানভাবে,
স্নানশেষে পট্টবস্ত্রে তোমাকে শুদ্ধ দেখায়

নৈঋতে মেঘ ভাঙে, কেন শঙ্কা জেগেছে উত্তরে
বাহ্মণ চর্চায় রাখে নীরবতা, শূদ্র জানে না...

কোথায় হারাল বলো বৈদুর্যমণি, কোন অছিলায়!
যাবতীয় শূন্যতায় আজ কান্না মরে যায়---


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন