কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০১৯

বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়




ক্রোধের বাইরে আকাশ 

মায়াবী  নক্ষত্র থেকে যে আগুন ছুটে আসে 
তার গায়ে লেগে আছে এখনও  উত্তাপ
রোদের ভাস্কর্য  নিয়ে খেলা করছে 
বিভ্রান্ত সময় 

কোনদিকে বিশ্রামের পথ?

আরক্তিম তাকিয়ে রয়েছে কেউ 
লালচোখ  হিমশীতল মায়াটান 
পায়ে পায়ে গতানুগতিক মোহরাত
ভেঙে ভেঙে  চলেছে  অলীক দৃশ্য 


পিছনের দিকে কেউ টেনে নিয়ে যাচ্ছে 
থমকে দাঁড়িয়ে আছে  কয়েকটি শকুন 

ভাগাড়ে আশ্চর্য  গন্ধ 
গন্ধের উল্লাসডানা 
আকাশের দিকে 

ছুঁয়ে দেখ করতল
বদলে যাচ্ছে এ হাতের বেদনাশীতল ছায়া 
পাঁজরের নীচে লেখা ঘাতকের নাম 

ক্রোধ ছাড়া 
অস্থিরতা ছাড়া কোন আরোগ্যস্টেশন নেই আর?
এই যে ট্রেন যাচ্ছে ধিকিধিকি  হিংসার দেশে 
দুপাশে ছড়ানো লালা 
চাপ চাপ মাংসের দোকান 
নখের তীক্ষ্ণতা  যেন বেড়ে যাচ্ছে রোদে 

ক্রোধ  যা সংক্রামক 
ছড়িয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে জীবানুর মত 

এখনও  আকাশ আছে 
জানলার বাইরে  স্বপ্নচাঁদ 
এখনও  শিশুর কপাল জুড়ে টিপ দিয়ে যায়। 


জেগে আছে  আলোর ভ্রূকুটি

অন্ধকার আমাকে বিব্রত করে না  বরং আলো এসে 
শাসিয়ে যায় সকাল সন্ধ্যা।     

চোখে আঙুল দিয়ে  দেখিয়ে দেয় উঁচু  নীচু 
সুন্দর   কুৎসিত   
কালো আর ফর্সার তফাত।  


রঙ ও রেখার ভেতর  
মানচিত্রের দাগ।  
ছোট ছোট  হিসেব নিকেশ।

সমস্ত সীমান্ত মুছে  
অন্ধকার আসে
 মগ্নতার কালো আকাশ।   

বাস্তব পেরিয়ে সত্যের বেলাভূমি। 

কেউ আলোর দিকে লেলিয়ে দিচ্ছে একমুঠো আঁধার।


গতিসূত্র

যতদূর যেতে পারি তার চেয়ে আরেকটু এগিয়ে  স্বপ্নের রুমাল ওড়ে 
দেখা যায় তার ডানা 
কেমন আকাশ ছুঁয়ে  নিরিবিলি খুঁজে চলে 

গন্তব্য বলে আসলে তো কিছু নেই 
তবু তুমি অনায়াসে বলে ফেল কত সহজেই "একদিন  সবুজ দ্বীপের কাছে যাব"
পায়ে পায়ে কীভাবে বাতাস ঠেলে সময়ের ট্রেন চলে যায় 
দেখি আর সেরে ওঠে আমার অসুখ 

দাঁড়িয়ে রয়েছি একা
 ছিঁড়ে যাওয়া মনখারাপ ফেলে 
আবার নতুন কোন দিগন্তের গায়ে চাঁদ উঠবে 

দেখতে দেখতে অর্থহীন দূরে চলে যাওয়া।



1 কমেন্টস্: