যা লেখা সম্ভব ছিল না
(১)
আর
লোকে বলাবলি করছে
কেমন অদ্ভুতভাবে উনুনকে নকল করছে
এগারোটা ছাই
ছাইয়ের এপাশে এগারো জোড়া চোখ
ওপাশে সাদা রঙের ধুলোটকাগজ
আধখোলা হাঁ-এর ভিতর
কীভাবে যেন প্রমাণ করল উনুনকে ভালোবাসে
সবাই জানল
কেউ কেউ বুঝল
নক্ষত্রবিহীন আকাশ, সেই একই আকাশ থাকল
এতকিছুর পরেও
উল্টোদিকে
কেউ হাই তুলল
মুখ চেপে হাতের পাতায়
যতদিন না সমস্ত পোড়াচিহ্ন
ঢুকে পড়ল তার মস্ত বড়
অর্ধগোলাকার হৃদয়ের ভিতর
(২)
অনেকদিন আগেই ঘুমিয়ে পড়েছে
বাড়ি ছাড়ব ছাড়ব করেও
টিকিট কাটে আর ঘুমিয়ে পড়ে
মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে
আর ধীরে ধীরে চোখ মেলে প্রেম
কোথাও যাওয়ার কথা
জামাকাপড় ভাঁজ করে আলনায় আটপৌরে দিন
গুনগুন করে বসন্ত বাতাস
দোল খায়
তারস্বরে চেঁচিয়ে কাকে যেন ডাকে
নাম শোনা যায় না
শুধু খানিকটা ঝটাপটি অন্তঃপুরে
আলোর কাছে ঘন হয়ে ওঠে প্রজাপতি
তার বেজায় ছায়াটি দেওয়ালে ঘুরঘুর করে
(৩)
পাড়া ছেড়ে বেরিয়ে আসি
বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার মসৃণ
দুটো একটা রাতখাওয়া তারা
পোড়া ঘায়ের মতো জ্বলছে
ভাবছি জেগে আছ কিনা
তোমার বাড়িও বাকি বাড়িগুলোর মতো
আচমকা কিছু ঝড়বৃষ্টি
আঁটোসাটো হয়ে আছে বোঝা যাচ্ছে না
জানালায় বৃষ্টির ছোপ
কতদূর ভেজা
তুমি কি বিছানায়?
নাকি জানালায় দাঁড়িয়ে দেখছ
চোখ কতদূর সহ্য করতে পারে
অন্ধকার আগামীকাল সূর্য উঠলেই
ফিকে হয়ে যাবে আজকের রাত
ফাটল শুষে নেবে জল
ঝড়ের চিহ্নও থাকবে না কোথাও
তখনও কি তুমি চোখের কথাই ভাববে?
অন্ধকারের মতো বড় করে তুলেছিলে যাকে
নিজের ভিতর
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন