কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০১৯

তাপসকিরণ রায়




বিশল্যকরণী 


সে মন্ত্রপূত তাবিজ কথা বলে ওঠে, 
তা থেকে চমৎকারী সব রেকর্ডেড কথা বেরিয়ে আসছে--
তোমায় মুক্ত পুরুষ ভেবে কত পাখিরা দেখো আশ্রয়ের বৃক্ষ খুঁজে ফিরছে!
সেখানেও তুমি বললে,ভিক্ষা দাও--নতুবা দক্ষিণার কিছু উশলী,
বাপদাদার ঋণ শোধ করতে করতে এক বান্দা, ভগবানকে বলল,
তবে কি আমার বলতে কিছুই নেই?

আছে, পুরুষের জন্যে নারী আছে, নারীর জন্যে পুরুষ, 
শরীর ভেঙে ভেঙে এগিয়ে যা--ওই মহা উৎসের মাটিতে
নিজেকে সিঁধিয়ে দে
দেখবি তোর বুক ফুঁড়ে আর একটা তুই বেরিয়ে আসছিস!
দেখবি এই কামিনী ঘ্রাণে জন্ম নিচ্ছে বশীকরণ,
আর সমস্ত সৃষ্টির মাঝ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে বিশল্যকরণী


শবদেহ


মৃতের শরীরের ওপর সাদা চাদর টেনে দিলাম,বললাম, দি এন্ড--
আসলে তখনও সে চলমান
রক্ত বিছিয়ে গেছে, প্রবাসের পথঘাট পার হয়ে একটা নদী
নদীর উৎস খুঁজে দেখি আসলে সেই
সেই শবদেহ পড়ে আছে


সবুজ অরণ্য


সবুজকে যদি জীবন ভাবি--
তবে রক্তকণিকা লালকে কি বলতে পারি?
লালকে জীবন্ত ভাবলে কতটুকু ধুকধুকি হৃদয় চাঞ্চল্যে?
উৎক্ষেপ্য  রক্তপ্রবাহে একটি তামাটে মানুষ রঙ নিচ্ছে--
নাকের ছিদ্রে ভরে আছে তার অন্ধকার
অথচ এখনও ঠোঁট তার লালাভ
একটি চুম্বনের প্রতীক্ষায় আজ সেই লালায়িত প্রেমিক
সবুজ অরণ্যের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে 
তোমায় খুঁজে ফিরছি, 
অন্য দিকে সিগারেটে ঠোঁট পুড়ে যাচ্ছে
পুরুষ বাচক চামড়ার তলদেশেও বিদ্যমান কিছু আঘ্রাণ লালন--
শুধু স্পর্শকাতরতায়, একই মোহে সে অসভ্য জাগাগুলিতে  
বারবার আঘাত লেগে ফিরে আসে তর্জমা,
সে তেজস্ক্রিয়তা জেনে শুনে তুমি তবু ঘ্রাণ টেনে নাও
নিষিদ্ধস্থান মাৎসর্য মুখে আবার ফিরে ফিরে আসা
সেও এক প্রেমিক প্রয়োজন ছাপিয়ে যাচ্ছে
আড়াল ঝোপ থেকে আবার দূরের বাঁশরী বেজে ওঠে
শরীর থেকে এক প্রেমিকাছায়া চাঁদনী রাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে 
আর সেই বাঁশির আলাপ থেকে মৃতের কফন সরে যাচ্ছে 
জীবন আবার ফিরে আসার কথা ভাবছে 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন