কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০১৯

উল্কা




দিন৯পি



প্রাসঙ্গিক অনেক কিছু বলতে চেয়েও বলা হয়নি। মনে হয়েছে মার এবং ধাক্কা একমুখী হলে আমার দু কাঁধ গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে মিলিয়ে যেতে পারে সংশ্লেষিত বিচ্ছুরণে। উঁচু তলায় ঘর জন্মালে চোখ তুলে তাকাই। হয়তো হাত নেড়ে আমার চলে যাওয়ার পথে 'এসো' ছড়িয়ে দেবে কেউ। বাসের চাকায় বেড়ে ওঠা শিরদাঁড়া আপাদমস্তক ট্যাটু জড়িয়ে প্রমাণ করল- আততায়ীর ঘরে আজ আকাল সেধেছে গুপ্তরোগ। অতএব ধুয়ে মেজে উপুড় করার কোলাজ টাঙানো স্নানঘর থেকে সাবান জলের জোঁক ঝুলে থাকে শরীর জুড়ে। আমরা আলোচনায় বসি ধোঁয়া কিংবা ধুলোর সঙ্গে। বুঝতে পেরেছি দুহাতে বালি ধরে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার ক্ষমতা আমার নেই তবুও পাঁচমিশালি সময়ের আলো জমিয়ে তাসের মতো বিছিয়ে ফেলি। কিছুটা রান্না ঘরে কিছুটা ওয়াশিং মেশিনে আর বাকিটা লাল চপ্পলে হতে থাকা গর্তে। চপ্পলটা নোংরা হয়ে গেছিল গতকালের ঘূর্ণি ঝড়ে। তখন লাল চড়ুই পাখির দোল আমার বারান্দা জুড়ে কিচির মিচির। আমি সাদা নিভিয়ে হলুদ আলো জ্বালালাম। গন্তব্যের সাথে চুক্তি করেছে পাঠ্যবই। সন্ত্রাসের পথে আখরোট ছুঁড়তে ছুঁড়তে আমি মূলমধ্য রেখা ছাপিয়ে আবিষ্কার করলাম প্লবতার নতুন সূত্র। বালিশের সাথে তোয়ালের ঝুঁটি বেঁধে লুকিয়ে রাখছি আমার বলতে না পারা ভালোবাসাদের। আজ সকালে মনে হল আমার শীতে কম্বল ধরানোর জন্য কোনো আইন নেই। তাই প্রতিরাতে আমি ঠিক বিছানায় ফিরে গেলে সম্পূর্ণ কাজের পরিমাণকে আকার বদলাতে দেখি। দেখি দরজা বন্ধ শোবার ঘরে কড়া নাড়লেই সুপ্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বেরিয়ে আসছে হামাগুড়ি দিয়ে। ভারি ভাবনাগুলো দরজার কবজায় লম্বা হয় আর একেকটা রুমাল ঘুরতে থাকে তোর আমার গন্ধ মেশানো সাবান গোলা জলে। আমার ব্রাত্য অস্তিত্বে একফোঁটা বার্নল ঢেলে শুকোতে দিলাম। আমি আসলে বলতে চাইছি গভীর সময়ের ব্যবধানে আমি সন্ধান করছি একটা নখ কাটা কালো হাত। যার ভাগ্য রেখায় একটা কয়লা খনি পাওয়া যেতে পারে।

স। অবিলম্বে আরও দুটো কবিতা পাঠিয়ে দিস। আজই। তিনটি কবিতা এ
কোট- আন কোট


কবি একদা বলেছিলেন "তুই থাকলে শূন্যে অবিচল তুই না থাকলে শূন্যও অচল" দুপুর গড়িয়ে পড়ছে আর বেলা শেষের খঞ্জনি থালা মাফিক উপুড় করছে সূর্য্য পাট আমি এখন মেন্টাল এসাইলামের সবুজ পর্দায় বাঁই বাঁই করে ঘুরিয়ে দিচ্ছি ব্রহ্ম কবি পেন চুষে চুষে একটা কলমকে নিমেষে বদলে দিলেন লমন চুষে শূন্য মাধ্যমে আলোর গতির বেগতিক নকশায় আমাদের অচল আটআনা টেসলার গোল থেকে অর্ধ গোলে তারপর একটা বার্থ ডে কেকের টুকরো পাওয়া গেলে মোমবাতি জ্বলে ওঠে যীশু খ্রীষ্টের মতো ক্যান্ডিড ক্লিক স্থির কবি সাময়িক দায়বদ্ধ 'পাগল' শব্দ উচ্চারণে চাদরের তলায় একরাশ শূন্যের ঠোকাঠুকি...


রিক্সাগাড়ি


ঘুম মানেই নিশাচর নয় আদিম প্রবৃত্তির গুপ্ত সংবিধানে এক রিক্সাওলারও হিসি করার অধিকার লেখা ছিল হাইওয়ের ধারে কোন নর্দমা খুঁজে পেলাম না অগত্যা সংবিধানের মলাটে গোলাপের বিচি ছড়িয়ে আয়োজন করলাম শোকসভা শোক কিছু অযথা ঘুমের উৎস তাই রাত বাড়লেই রিক্সাওলা গর্ত করে হাঁড়ি চাপা দেয় পাছে নিশাচর ঘুমের গায়ে এঁকে দেয় মায়া ক্যালেন্ডার




·          
Top of Form
Bottom of Form


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন