কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

মোনালিসা চট্টোপাধ্যায়

নিয়তি বিশ্ব

আঁচলে ঝুলিয়ে রাখি নিয়তি বিশ্ব--
চাবির সরল ধ্বনি কী আনন্দে নৃত্য করে
পৃথিবী আমাকে খন্ড করে চেনায় ভাগ্যের বিধাতা আমি,
জন্মমাটি ঘুরছে ঘনিষ্টতায় অগন নদী শাড়িতে আমার৷
আমি অপারগ, একা ঘরে থাকি
আঁচলের ঢালু পাড়ে নদী রূপরেখা ছুঁয়ে আছে বিশ্বরীপ৷
জটিল নিয়তি এই সময়ের পটভূমি ষেখানে শাড়িটি বর্ষা ধর্মচক্রে
শ্রী রাধার সহচরী৷


দাঁড়কাক

অমঙ্গল হবে জেনে তাড়িয়েছি তার স্বর
কা কা ডাকে যে আনন্দলহরী তার কোনো আনন্দ আছে কি?
আধিদৈবিক ছায়ায় জন্ম তার, তবুও সে এক পাখি...
আকাশ কি মুছে দেয় নীল?
গ্রাম শুধু অনুগামী শহরের নয়, পাখি জানে অনিরূপিত ক্ষুধা  
বেহায়া জঠর আজো বড় আহাম্মক তাই সে চলে আসে শহরেও৷

কাক বড় উচ্চভাষী উচ্ছৃঙ্খল জানি, জানি অন্ধকার কালোয় ডানাটি তার কালো বেশি
দুপুরের নিঝুম বাড়িটি কাঁপে তার স্বরে, বাতাসেই খবর পাঠায় ঘরে ঘরে
বন্ধু নই, শত্রু নই তবু আমি তোমাকে দোলাব ঝড়ে জলে
সংকেতে বোঝাব এই প্রকৃতি আমার, আমি তোমাদের ভাগ্যচক্র৷
আমার ঐশ্বর্য বলে কিছু নেই, আকাশের ভাসমান মেঘে ডুবি আর ভাসি,
বসুন্ধরা, আমি কি তোমার নির্যাতক? তুমি কি আমার বিশৃঙ্খলা সহ্য করো?
তোমার বিষবৃক্ষে আমি বেঁধেছি বাসা
সবর্ণ সন্তান দেব বলে৷


ডুগডুগি

অপমানে
বেজেছিল আলসেমি মন...
জলচুড়ি শাড়ি জলবিহার দেখেনি, জলবিজান ছড়ায় তার বাজনা জেগেছে৷

ডুগডুগ শব্দ ছকে গেয়েছি একাই কেন শিবের গাজন!
এবার তুমিও গাও একসাথে সন্তানের গান...

ডম্বরু শিবের হাতে, আমি সেই পাগল শিবের শিঙা৷
শিবনৃত্য পৃথিবীর খেপানো কম্পনপিঠে নিয়ে সতীদেহ৷
আমি যাই চক্র হয়ে সতীর দেহটি চিনে নিতে...
এক এক রূপে নিয়েছি নিজের নাম, নিজেকে চিনেছি বহু বাজনায়
একান্নটি রূপে৷

সেই শক্তিতেই দক্ষপুরী যাব দশমহাবিদ্যারূপে...




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন