কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

ম্যাক্স ডউথেন্ড

প্রতিবেশী সাহিত্য


ম্যাক্স ডউথেন্ডে কবিতা 

 (অনুবাদ : সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়





কবি পরিচিতি

ম্যাক্স ডউথেন্ডে (জন্মঃ ২৫শে জুলাই, ১৮৬৭ মৃত্যুঃ ২৯শে আগস্ট, ১৯১৮)
ম্যাক্স ডউথেন্ডে জার্মান Impressionism-এর একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব তিনি একাধারে একজন কবি, লেখক এবং চিত্রকার ছিলেন রিচার্ড ডেহমেল-এর সাথে তিনি সেই সময়ের সেরা জার্মান কবি ছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাভায় অন্তরিত থাকা অবস্থাতেই তিনি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫১ বছর বয়সে মারা যান তাঁর বিখ্যাত সাহিত্যকর্মগুলি হলো Der brennende kalender, Der Weiße Schlaf ইত্যাদি



জ্যোৎস্না এসে পড়ে গভীরভাবে

যেমন করে টালির ওপর দিয়ে দুধ গড়ায়
ঘরের ভেতর জ্যোৎস্না এসে পড়ে গভীরভাবে;
আবছায়া মাথায় ভর্তি কেউ ডাকে না যাদের
বাগান আর উপবন দরজার সামনে এসে বসে

আলোকিত নিশ্চল পথের ওপর দাঁড়ানো
মৃত মেঘেরা চাঁদে আটকে থাকে নীরব;
কারোর দ্বারাই আর শেষ দেখা যায় না
এগিয়ে দিচ্ছে কিনা পথই আজ অচেতন সব

কঠিন আর নিরানন্দ চাঁদ দাঁড়িয়ে থাকে
হাজারবার অসুখী মুখ নিয়ে;
হাসির সাথে উপস্থিত হয় হাজারবার
হৃদয়ের আদেশে বদলে গিয়ে


Mondschein  liegt tief in das Haus herein


Mondschein liegt tief in das Haus herein
Wie Milch, die über die Dielen lief.
Vor der offenen Tür sitzt Garten und Hain
Voll Schattenköpfe, die keiner rief.


Und Wolken kleben am Mond totstill,
Sie bleiben über den Wegen stehen;
Kein Weg weiß mehr, wohin er will,
Von keinem ist mehr das Ende zu sehen.


Viel tausend Mal mit blauen Mienen
Stand so der Mond freudlos und kahl.
Und tausend Mal ist er lächelnd erschienen,
Abwechselnd, wie ihm Dein Herz befahl.


নৈঃশব্দ্যের কবর খুঁড়ি আনন্দের সাথে


জমে যাওয়ার মতো মৃত অনুভব করি,
যেন এই পৃথিবী মৃত্যুকেই বেছে নিয়েছে
নৈঃশব্দ্যের কবর খুঁড়ি আনন্দের সাথে
আর কবরস্থ, অপেক্ষা করি তোমার অনুপস্থিতির শেষ

অপেক্ষা করে করে চোয়াল শক্ত হয়ে গেছে;
অথচ পাথরেও বেঁচে আছে আমার ইচ্ছেরা
শুধু জানি, আমি আর অনুভব করতে চাই না;
হয়তো তখন, চুপচাপ দাঁড়াবে অপেক্ষা, শেষমেশ

দরজার চারপাশে বিলাপ করে রাতের বাতাস,
যেন বাইরে শুধুমাত্র দুর্ভাগ্যই তৈরি হবে,
ফাঁকা বিস্তার থেকে কুকুরের মতো কেঁদে ওঠা
সবসময় বুভুক্ষা আর যন্ত্রণার ইচ্ছা করে


Ich grübe mir gern in die Stille ein Grab


Ich fühle mich tot, als wär ich erfroren,
Als hätt sich die Welt zu sterben verschworen.
Ich grübe mir gern in die Stille ein Grab
Und warte begraben deine Wiederkehr ab.


Vom langen Warten versteinen die Wangen,
Doch lebt auch im Stein noch ein sehnend Verlangen.
Ich weiß nur, daß ich nicht fühlen will;
Vielleicht steht dann endlich das Warten still.


Der Wind, der heult vor den nächtlichen Toren,
Als würde da draußen nur Unglück geboren.
Er klagt wie ein Hund in die Leere hinein,
Und stets drängen Hunger und Sehnsucht herein.


স্মৃতির সাথে পরিত্যক্ত

এখন সাদা ঘুম প্রতিটি শীতের দরজায় বসে,
জানালার সাথে দেখা যায়, বিবর্ণ ডিমের কুসুম
অশরীরি-ভর্তি রাস্তাদের বাস তাদের পিছনেই
যেখানে সুদূর মানুষেরা আঁকা হয় শব্দ দিয়ে

পৃথিবীকে দেখা যায় না, শুধু অনুভব করা যায়
অন্ধের মতো, আঁধারে প্রলোভন যেমন
আর স্মৃতির সাথে একাকী
দরজায় এসে দাঁড়ানো ভিখারীদের মতো

জ্বলন্ত নোনের উষ্ণতায় আলোড়িত হওয়া,
ক্ষুধার অতৃপ্ত যন্ত্রণা মোচড় দিচ্ছে
জরাজীর্ণ হাতেরা পথ দেখাবে আমাদের
পুরোপুরি গাওয়া হয়নি এখনো, ছাইয়ে


Alleingelassen bei Erinnerungen

Jetzt sitzt der weiße Schlaf vor allen Wintertüren,
Die Fenster sind gleich blassen Eierschalen,
Dahinter leben Straßen voll Gespenster
Und Stimmen, die uns ferne Menschen malen.


Man kann die Welt nicht sehen und nur spüren.
Wie Blinde ahnt man dunkel das Geschehen,
Alleingelassen bei Erinnerungen,
Die an den Türen wie die Bettler stehen,


Die bei den Ofenflammen warm sich rühren,
Erregt mit nimmersatten Hungerzungen.
Sie können uns an magern Händen führen
Und haben in der Asche noch nicht ausgesungen.









1 কমেন্টস্:

  1. খুব ভালো লাগলো কবিতাগুলো, পড়তে পড়তে আপ্লুত হয়ে যাই ।সহজ সাবলীল প্রকাশ অথচ মূল ব্যঞ্জনা অক্ষুণ্ণ আছে ।

    উত্তরমুছুন