কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৫

শাকিলা তুবা

মেঘ মেঘ খেলা

তবুও জীবনের সাথে জোড়া ঠোঁটের অলীক চুমুতে
ক্লান্ত হতে হতে লিখে ফেলি
অফুরান সময়ের শত শত বেদনা আর
কিস্তি বিপন্ন হওয়া হলুদ রঙা সকল হিসাব।

জীবন পাশ ফিরে শোয়, জীবন কথা বলে ওঠে
মুখোমুখি শুয়ে অদ্ভুত জাগরণ যেন 
এক আকাশ দুঃখ সমান অ্যানিমিয়া নিয়ে
শরীরে শরীর ঘষে যায় অবিরল।

চুমুর মতো মিষ্টি কিছু নেই বলে
আবারও অলীক চুমু, আবারও হলুদ হিসাব
জীবনের সাথে আর শুতে পারে না, ঋজু হয়ে দাঁড়ায়
অন্য আরেক রকম জাগরণ নিয়ে, এক্কেবারে মুখোমুখি।



পাথর ঝরে পড়ে

অনস্তিত্বের ভেতর অস্তিত্বের ভ্রুণ
দারুন কাঁপছে
জলে শুইয়ে দিই
আকাশে উড়িয়ে দিই
প্রগলভ সে কথা বলেই যায়।

শূন্যতা ডানা মেলে
অচিনপুরী আরও প্রিয় হয়
তারপরও সংশয়বাদ টিকে যায়
দরজার ছায়া অস্তিত্বের জানান দিলেও
পালাই পালাই জপে মন।



নওহার বাণী বন্দিশ

খোলা আকাশ একটু খানিক তোমার গায়েও মাখিয়ে দিই? 
দেখ না কেমন ধূর্ত সেই বিজন সকাল!
চিত্রিত ইট ও সড়ক
সাদা আগুনের ভেতরেও আলকাতরা পোড়া লাল
ঘড়ঘড় শব্দে সেলাই হচ্ছে কতটা মসৃণ রাস্তা
ফুটে উঠছে পায়ে পায়ে, প্রতি চিহ্নে
গোলাপের সবচেয়ে বিপরীত ছায়া
আস্থা অথবা অনাস্থায়
তুমি কি টের পাও?

চোখ বন্ধ করো না প্রিয়তম আমি তোমাকে দেখাব
বৃষ্টিতে ডুবে থাকা ছাদ
শোধ না হওয়া ঋণের অনন্ত যাত্রা

তোমার পোষা বেড়াল শুধু ঘোরে আলোর পৃষ্ঠে
আবারও আমার জন্মগ্রহণ প্রক্রিয়া দেখবার আশায়
সুদূরের সাতপাক আমি চূর্ণিত পুঞ্জমেঘ
বসে বসে তোমার গায়ে শুধু আকাশ মাখিয়ে দিতে চাই




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন