কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৫

রাইনার মারিয়া রিল্কে

প্রতিবেশী সাহিত্য



রাইনার মারিয়া রিল্কের কবিতা

(অনুবাদ : সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়) 


  

কবি পরিচিতি
জন্ম : ৪ঠা ডিসেম্বর, ১৮৭৫ মৃত্যু : ২৯শে ডিসেম্বর, ১৯২৬ র‍্যেনে কার্ল উইলহেম জোহান যোসেফ মারিয়া রিল্কে (পুরো নাম) একজন অস্ট্রিয়ান সাহিত্যিক। জার্মান রোম্যান্টিসিজমের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তবে গদ্যের থেকে জার্মান ভাষায় লেখা গীতিকবিতাগুলির জন্য তিনি অমর হয়ে রয়েছেন। মাত্র ৫১ বছর বয়সে মারা যাওয়ার আগে তিনি রেখে যান ‘Duineser Elegien’, ‘Die Sonette an Orpheus’, ‘Leben und Lieder’এর মতো কিছু বিখ্যাত কাব্যিক কাজকর্ম এবং ‘Die  Aufzeichnungen des Malte Laurids Brigge’এর মতো গদ্যকর্ম।



জ্যোতির্মন্ডলে বুদ্ধ


কেন্দ্র সমস্ত কেন্দ্রের, শাঁসের শাঁস,
স্ব-আবদ্ধ বাদাম, এবং বেড়ে চলা মিষ্টতা
এই সমগ্র ব্রহ্মান্ড, দূরতম নক্ষত্ররাজি অবধি
তাদের থেকেও দূরে, তোমার মাংস, তোমার ফল

উপলব্ধি করো কীভাবে শূন্য জড়িয়ে তোমাতে;
বিশাল আবরণ তোমার অন্তহীনতায় পৌঁছোয়,
সেখানে ঘন-গাঢ় তরলেরা ওঠে আর বইতে থাকে
তোমার অসীম শান্তিতে আলোকিত হয়


লক্ষ কোটি নক্ষত্রেরা রাতের আকাশে ঘুরে চলে
প্রজ্জ্বলিত তোমার মাথার বহু ওপরে,
কিন্তু তোমার ভেতর সেই উপস্থিতি রয়ে যাবে,
যখন সমস্ত নক্ষত্রেরা যাবে মরে


Buddha in der Glorie

Mitte aller Mitten, Kern der Kerne,
Mandel, die sich einschließt und versüßt, –
dieses Alles bis an alle Sterne
ist dein Fruchtfleisch: Sei gegrüßt.
Sieh, du fühlst, wie nichts mehr an dir hängt;
Im Unendlichen ist deine Schale,
und dort steht der starke Saft und drängt.
Und von außen hilft ihm ein Gestrahle,
denn ganz oben werden deine Sonnen
voll und glühend umgedreht.
Doch in dir ist schon begonnen,
was die Sonnen übersteht.



ভিখারীর গান


দরজা থেকে দরজায় ঘুরে চলি,
সে গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা,
কখনো ডান কানটাকে
আমার ডানহাতের তালুর ওপর বিছাই
আর যখনই কথা বলি
গলার স্বরটাকে কেমন যেন অদ্ভুত লাগে।

নিশ্চিত হতে পারি না কার গলা কাঁদছে,
আমার নাকি অন্য কারোর,
বেঁচে থাকার জন্য সামান্য কিছু চাই,
কবিরা চায় আরো বেশি

শেষে নিজের মুখটাকে লুকোয়
আর ঢেকে ফেলি চোখদুটোকে;
আমার হাতেই এসে পড়ে সমস্ত ওজন
আর মনে হয় যেন বিশ্রাম নিচ্ছি,
যাতে কেউ ভাবতে না পারে
আমার মাথা রাখার কোনো জায়গা নেই।


Das Lied Des Bettlers
Ich gehe immer von Tor zu Tor,
verregnet und verbrannt;
auf einmal leg ich mein rechtes Ohr
in meine rechte Hand.
Dann kommt mir meine Stimme vor
als hätt ich sie nie gekannt.

Dann weiß ich nicht sicher wer da schreit,
ich oder irgendwer.
Ich schreie um eine Kleinigkeit.
Die Dichter schrein um mehr.

Und endlich mach ich noch mein Gesicht
mit beiden Augen zu;
wie's dann in der Hand liegt mit seinem Gewicht
sieht es fast aus wie Ruh.
Damit sie nicht meinen ich hätte nicht,
wohin ich mein Haupt tu.



প্রেমের গান

কীভাবে রাখি আমার আত্মাটাকে,
যাতে তোমারটাতে ছোঁয়া না লাগে? কীভাবে
তোমার ওপর তুলে ধরি অন্যান্য জিনিষ থেকে?
আহা, ইচ্ছা ছিল এটাকে সংগ্রহ করি
আঁধারে হারিয়ে যাওয়া কিছুর সাথে,
কোনো অজ্ঞাত নির্জন স্থানে, যা
তোমার গভীরতার সাথে কেঁপে উঠবে না।

কিন্তু সবকিছু যা আমাদের ছোঁয়, আমাকে আর তোমাকে,
একসাথে নেয় দোতারার আঘাতের মতো
যা দুটো তারে একতান তৈরি করে।
এ কোন্ বাদ্যযন্ত্রে বাঁধা পড়েছি আমরা?
কোন্ শিল্পীর হাতের ওপর?
হে মধুর গীত!


 Liebeslied


Wie soll ich meine Seele halten, daßsie nicht an deine rührt? Wie soll ich sie
hinheben über dich zu andern Dingen?
Ach gerne möcht ich sie bei irgendwas
Verlorenem im Dunkel unterbringenan einer fremden stillen Stelle, dienicht weiterschwingt, wenn deine Tiefen schwingen. Doch alles, was uns anrührt, dich und mich,
nimmt uns zusammen wie ein Bogenstrich,der aus zwei Saiten eine Stimme zieht.Auf welches Instrument sind wir gespannt?Und welcher Geiger hat uns in der Hand?O süßes Lied.






1 কমেন্টস্: