কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৫

শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

ধারাবাহিক উপন্যাস   



যে চিঠি অতিশূন্যতাকে পড়তে


()


তিতলি আমার সঙ্গে গেছিল। গেস্ট হাউস-টাউসে ঠাঁই পাইনি। সে সব দেওয়া বন্ধ। মাওবাদীরা সব জায়গাতেই উপদ্রব করছে বলে প্রশাসন সব বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা উঠেছিলাম সুনীলের ঘরে। চাল ছাওয়ার কাজ চলছে তখনো। যুবতী ফিরেছিল পা দুটো টানতে টানতে। তার মাওবাদী পায়ের মধ্যে দিয়ে রক্ত গড়াচ্ছিল। কাঠ, হাঁড়ি, জল সব জঙ্গল খেয়ে নিয়েছে। জঙ্গল একটা বড় হাঁ করেছিল। যুবতীকে নিয়ে তার অজগর পেটের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য রেখেছিল। সেখানে ওড়িষ্যা, অন্ধ্র, বিহার থেকে আসা চাষার ঘরের ছেলেরা ওকে নিয়ে দার্শনিক আলোচনায় বসেছিল। বা শুয়েছিল। দর্শন পেলেই হলোওরা ওদের ব্যারাকে দর্শন পায় না। অনেকদিন ধরে  টিভিতে দেখে যায় মুন্নি বদনাম হুই তরঙ্গ কোমর থেকে উঠে স্তন ছুঁয়ে গালের  আড় দিয়ে বেড়াতে যাচ্ছে। খুব মন দিয়ে পৃথিবীর যে কোনো সেনা বা আধা-সেনা ব্যারাকের পাশে দাঁড়ালে রাত্রে গর্জন শোনা যায়। অতৃপ্ত পাশবিক গর্জন। সেই পুষে রাখা গর্জন সমেত ওদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওরা সর্বত্র জঙ্গল আনতে পারে। এই জঙ্গলযুদ্ধ।
সে যুদ্ধের রক্ত নিয়ে সুনীলের বাড়ির দাওয়ায় তার সাঙা করা যুবতী থুবড়ে পড়ে। তিতলির গরম জলের বাটিতে রক্ত আর ভারতবর্ষ উঠে আসছিল তারপর। ভাতের থালাগুলো সারা রাত দূরে অসহায় দাঁড়িয়ে থাকবে দাওয়ার উনুনের পাশের মাটির তাকে। সুনীল মেদিনীপুর গেছিল। ভালো রঙ আনবে বলেছিল মেদিনীপুরের দাস-দা।  সেখান থেকে রঙ নিয়ে এসে দাওয়াতেই গা ঢেলে দিয়েছিল। আমি ঘর আর দাওয়া ছেড়ে আঙিনায় বসেছিলাম ছোটবেলার মতোমাটিতে বসে থাকতে চাইছিলাম। কে  জানে যদি মাটি সরে যায়! যদি এখান থেকে একটা গর্ত হয়ে যায় এবং আমি সে গর্ত দিয়ে পৃথিবীর জ্বলন্ত জঠরের মধ্যে পড়ে যাই! এপাড় থেকে ওপাড় একটা টানা সুড়ঙ্গ এবং আমি পড়ে যাচ্ছি। শুনেছি তেমন যদি একটা সুড়ঙ্গ হয় এবং যদি এপাড় থেকে ওপাড়ে যাবার পরে ভ্রাম্যমাণ বস্তুটিকে আটক করার মত ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সে একটা মাকুর মতো এই অনন্ত তাঁতে যাতায়াত করতে থাকবে। আমি এই  যাতায়াত নেবার কথাও ভাবতে পারি না। উঠে চলে যাই সুনীলের ঘরের সীমানা পেরিয়ে।
সীমানা একটি মানসিক দৈন্য। দাগ কেটে আলাদা করে দেওয়া। আলাদা করে নেওয়া। কুকুর যেমন বা বাঘ যেমন পেচ্ছাপ করে রেখে যায় গাছে গাছে। এলাকা চিহ্নিত করে। গন্ধ তো উদ্বায়ী! উবে যাবে। বোঝে না। মানুষ বোঝে। তাই দাগ টানে। জমি আলাদা করে রাষ্ট্র করে, সুখ ও সন্তাপ আলাদা করে সংসার। অথচ আলাদা হয় না। জমি অখন্ড। কাঁটাতার এঁকে দিলেও সে তাই থাকে। সংসারেও তাই। বিয়েতেও খাওয়াবে, অন্নপ্রাশনেও খাওয়াবে, শ্রাদ্ধতেও। খাওয়া বাদ দিতে পারে না। ক্ষুধা তার চির-অভ্যাস। তাই সে শত্রুর খাওয়াকে আক্রমণ করে, খাওয়া দিয়ে আক্রমণ করে। যুবতীদের গ্রামে চলাফেরা করে মাওবাদীরা। তারা অস্ত্র হাতেই আসে। যুবতীরা তাদের ভালোবাসে কী ভয় পায় তা নিয়ে অনেক তত্ত্ব! বাহিনীর কমান্ডিং অফিসার বোঝে এ  বন্ধ করতে হলে গ্রামবাসীদের ভয় দেখাতে হবে। জঙ্গলে খাবার জোটে না তেমন। খেতে আসা আটকে দিতে হবে। আটকাতে গেলে ভয় দেখাতে হবে যুবতীদের। অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখায় তারাও। সে ভয়ে কাজ না হলে তখন যুবতীকে খেয়ে ভয় দেখাবে। ভয় এক সীমানা এঁকে দেয়। এপারে বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থা, ওপারে তার প্রতিস্পর্ধী।
ভয় একটা নীতি। ভয় একটা ব্যবস্থা। আমার পায়ের নিচ থেকে জমি নেমে যাচ্ছে  এখানে। বিকেল হয়ে এসেছে। ঝাঁক ঝাঁক পাখি ফিরে আসছে। আচ্ছা, সব পাখি কি একই ভাবে প্রতিদিন ফেরে একই জায়গায়? ফেরে না। আমার বাড়ির বারান্দায় একটা পাখি এসে বসত কিছুদিন। ঠিক সন্ধেতে আসত। বারান্দার একটা একদম উপরের দিকের তারে বসে থাকত স্থির। আমি অবাক হয়ে ওর ভারসাম্য দেখতাম। পাখিটা কিন্তু প্রতিদিন আসত না। খুব ছোট্ট নরম তুলতুলে পাখিটা একেক দিন সন্ধে সন্ধে এসে বারান্দার বাইরে বসে ডাকাডাকি করত। তারপর উড়ে চলে যেত। সেইরাতে আর আসত না। এই ভাবে একদিন আর ফেরেনি ওখানে। তারটা শুধু দোলে। সুতরাং সব পাখি ফেরে না।
পাখি বৃত্তান্তে একটি তীর এসে বিঁধে যায়। আমি সরে যেতে পারি না। পাখিটি আমার পায়ের সামনে এসে পরে। সেই দৃশ্যটি রচিত। এক রাজকুমার তুলে নেবে, অন্য একজন এসে চাইবে শিকার করেছে বলে। প্রাকৃত ভাষায় কথা কাটাকাটি হবে। পাখিটি  শুশ্রূষা পাবে। সেখান থেকে একটা পথ জন্ম নেবে। আহত যারা তাদের শুশ্রূষার পথ। খুব অল্পবয়সী পথ। তারপরে সেই পথ ক্রমে পাকবে। পেকে মধ্যপন্থা হয়ে যাবে। সে নদীয়া ডুবুডুবু হবে। রাজকুমার বৃদ্ধ হতে হতে করুণাময় বুদ্ধ হয়ে উঠবেন।
আমি সরে যেতে পারি না। বহু মানুষ শহরে ও গ্রামে তর্ক করতে ব্যস্ত তখন। আমি শুনছি সে সব। সবাই সবাইকে বলছে কারো রাস্তা ঠিক না। সব রাস্তাই ভুল হয়ে যাচ্ছে তাতে। কেউ বলছে বেদের যাগ-যজ্ঞ হলো বামুনের অর্থাগমের কল। বামুনরা  বলছে তারাই পারে পূর্বনির্ধারিত সব পাপ খন্ডাতে। এজেন্সি একমাত্র তাদের। জৈন তীর্থঙ্কর বলছেন পূনর্জন্ম না, এ জন্মেই হিংসা না করে নির্বাণ লাভ করতে হবে। এক পলাতক দাস অথবা গরীব গো-শালায় জন্মানো শ্রমণ মাক্ষালি গোশালা বলছে সব নিয়তি নির্দিষ্ট। কিছুই খন্ডানো যাবে না। নিয়তি যদি সব নির্দিষ্ট করে রাখে তাহলে যেমন যার যা হবার তাই হবে বলে সকলেই নিশ্চেষ্ট থাকবে, তেমনই বামুনের যাগ-যজ্ঞের দরকার পরবে না। তুমুল তর্ক হচ্ছে এ নিয়ে। সুনীল উঠে এল সে তর্কের মধ্যে।
- আন্দোলন অহিংস হতে পারে না! আন্দোলন করতে গেলেই ওরা আমাদের মারবে। প্রথমে লাঠি মারবে তারপরে গুলি। আমরা যদি প্রতিরোধ না করি তাহলে তো মরেই যাব!
- কিন্তু একটা মৃত্যু ওদের কাছে পাথরের মতো ভারী হয়ে উঠবে। কেন না জনতা জেগে উঠবে। তারা সইবে না এ অনাচার।
- জনতা আবার কী? জনতাটা কী? পেছনে গুঁজে দিলে সব জনতা ঘরের দরজা  বন্ধ করে বসে যাবে।
- কমরেড, ভাষা সংশোধন করুন।
-দূর কমরেড! সবই আপনার বঙ্কিমি গদ্যে বলতে হবে নাকি? যাদের জন্য কাজ করতে এসেছেন তারা কি আপনার ওই অর্ধতৎসম, তৎসম মিশ্রিত বাংলায় কথা বলে?
- ডিক্লাসড হতে হলে সংস্কৃতিটাও চুলোয় দিতে হবে নাকি?
- হ্যাঁ দিতে হবে। ওটা আপনাদের সামন্ততান্ত্রিক সংস্কৃতি।
- তো কাল থেকে ওদের সঙ্গে বসে হাঁড়িয়া খাবেন কমরেড? গাঁজা খাবেন?
- এই তো! সবেতেই আগে এক্সট্রিমে চলে যান। হাঁড়িয়া খেলে সমস্যা কি? খাওয়ার বস্তু না? বেদে বারণ? না কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টোতে?
- নিজের মাথাকে নেশার কাছে বন্ধক রাখলে ভাববেন কী করে কমরেড?
- জানেন তো, বোধহয় ১৯৩২ হবে, রাহুল সংকৃত্যায়নকে বিহারের বাবু রাজেন্দ্রপ্রসাদের কং সরকার জেলে পুরেছিল? এই হাঁড়িয়া খাওয়ার পক্ষে আন্দোলন করছিলেন বলে?
- না। কী হয়েছিল?
- কৃষকদের নেশা বন্ধ করার ফরমান দিয়েছিল কং। গান্ধীবাবার না পসন্দ বলে। রাহুল বলেছিলেন যে হাঁড়িয়া খেয়ে শরীরে জোস হয়, খেতিবাড়ির। সারাদিন লাঙল টানার কষ্ট শরীরে লেগে থাকে না। চাষা ফিরে ঘুমোতে পারে আরামে। গায়ের ব্যথায় মরে না। কাজেই সব নেশাই খারাপ এমন কোনো ব্যপার নেই। কংগ্রেস করতেন রাহুল তখন। তাও আন্দোলন করলেন। ফল, জেল। বৃটিশ ভারতে কং সরকার জেলে দিল নিজের সদস্য সৈনিককে।
- তা আপনি কি পার্টির এই লাইনটা ভুল বলছেন?
- আজ্ঞে না। তবে কোনো কিছুই গোটাগুটি এক দাগে ফেলে দিলে ভুল হবে। হবেই।  কী সুনীল?
- সুনীল কী বলবে? আমরা ১৯২৬ থেকেই জানি, A friend of Vodka is an  enemy of the trade union, এক্ষেত্রে Communist Party হবে শুধু।
- পোস্টারটা কিন্তু বেশ ছিল। আপনি দেখেছেন পোস্টারটা?
সুনীল বলে ওঠে। তিতলি যুবতীকে ঘরের ভেতরে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে। সুনীল ঘরের  বাইরে থেকে উঠে এসেছে। এখানে জঙ্গলের প্রান্তে ওদের কথার ভিড়ে সুনীল জড়িয়ে গেল উপরের কথাগুলো উচ্চারণের মাধ্যমে। আমি শূন্যে তখনো দুলছিলাম। আমি সোলোকভ-নিত্যানন্দ পেপারের সোলোকভ হতে পারি এই মুহূর্তে। ইউনিভার্সিটি অব  পেনসিলভানিয়া এবং নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির হয়ে মাওয়িস্ট কনফ্লিক্ট জোনের ডেটা মডেল বানাচ্ছি বর্ষা কোথায় ঘন হয় তার স্যাটেলাইট ছবি এবং মৃত্যুর হিসেব দিয়ে। প্রথম কমরেড বলে উঠলেন,
- না। শুনেছি।
দ্বিতীয় কমরেড খেই ধরলেন।
- দেখেছিঅনেকটা আমাদের সুকুমার রায়ের মতো
- উল্টোটা। সুকুমার রায় সোভিয়েত ঘরাণার ওই ছবিগুলো থেকে অনুপ্রাণিত। খুড়োর কলের খুড়োকে কোট-প্যান্ট পরিয়ে দিলেই ওই ছবির চরিত্র হয়ে যাবে। লাইন, রঙের প্যাটার্ণ সব এক।
- তাহলে সুনীল বলছ যে সুকুমারবাবুর ছবি আসলে বিদেশীয়?
- বুর্জোয়া প্রভাব?
- উফ! ছবি আবার দেশী বিদেশী কী? এই যে পটে আমরা রেখা আঁকি সেকি  শুধুই এদেশের?
- নয়?
- মুঘল মিনিয়েচার, রাজপুত মিনিয়েচার থেকে আমাদের প্রভাব আসেনি?
- এসেছে? তাহলে তো ক্ষয়িষ্ণু সামন্ততান্ত্রিক সংস্কৃতির উত্তরাধিকার হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে ভাবতে হবে তো!
- ভাবুন, ভাবা প্র্যাকটিস করুন।
- ঋত্ত্বিক আওড়াচ্ছ সুনীল? ঋত্ত্বিকও কিন্তু ডিজেনারেটেড মার্কসিস্ট। মা মা করে হেদিয়ে দিয়েছেন। আর্কিটাইপাল মা। এখানে ডায়ালেক্টিক্যাল মেটিরিয়ালিজম...
- শিল্প নিয়ে আপনারা কেন যে কথা বলেন বুঝি না!
দ্বিতীয় কমরেড একটু থতমত খেলেন। প্রথম কমরেড হাল ধরলেন।
- শিল্পও সামাজিক উৎপাদন সুনীল। আমরা যারা রাজনীতি করি তারা বুঝতে পারি শিল্পের কোন দিকে যাওয়া উচিত, কী নেওয়া উচিত!
অনেকক্ষণ উচিতের তালিকা চলল। সুনীল শেষ হতে বলল,
- ইনফ্যান্টাইল ডিজঅর্ডার।
আমি শুধু ফুটনোটের মতো ক্যালিফোর্ণিয়ার নিত্যানন্দের রিসার্চ পেপার জাতীয় ভাব  করে জুড়ে দিলাম,
- In the raging conflict zone, where there are mainly two sides remain, i.e. the state and the maoists, even there the artists or intellectuals are almost altogather a side to reckon with. Neither state nor the maoists trust them because of their nature of looking beyond given parameters. Thus everytime IPTA like happenings are bound to fall apart. After that, artist or intellectual either serve the state power or toe the party line bluntly and a few of them unmistakably remains at the gun points of two conflicting side.
গ্রামে গ্রামে শহরে ও মহল্লায় এই রকম তর্কসভা ছেড়ে চলে যাওয়া চলে না। বিশেষ  করে যখন গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে তেড়ে এবং বোঝা যাচ্ছে যে গণতান্ত্রিক জামা বেশিদিন পরে থাকাটা খুব কষ্টের, তখনই একটা শেষ সিদ্ধান্তের দিকে যাবার চেষ্টা  চলতে থাকে। দ্বিতীয় কমরেড বলে উঠলেন,
- সুনীল, যুবতী কেমন আছে?
সুনীল লম্বা টানা কাগজটার জমি ভরাট করেছে। বর্তমানে একটি বেড়াল আঁকতে উন্মুখ, যে সামনের মাছটি দেখে ভাব করছে কাঁটাই বাছতে অক্ষম!
- ওরা তোমাদের ভয় দেখাতে চাইছে সুনীল। তোমরা ভয় পেলে এই অঞ্চল, জমি-খনিজ-জঙ্গল সব ওদের হাতে চলে যাবে। এবারে উৎখাত হলে কোথায় যাবে বল তো? ভয় পেলে চলবে না সুনীল, ভয় পেলে চলবে না!
- কাল আমি উজ্জ্বয়িনী যাব।
বেড়ালের গোঁফটা আঁকতে আঁকতে বলে সুনীল।
- কাল আমি কথা বলব।
- তুমি কি চাণক্যকে দমন করবে?
- হ্যাঁ। বাড়তি বন্দুক আছে আপনাদের কাছে? আমি একটা চাই।
- বন্দুক তো আমরা এমনি দিতে পারি না। বন্দুক পেতে গেলে আমাদের সঙ্গে তোমাকে আসতে হবে। ট্রেনিং নিতে হবে। সামরিক এবং মতাদর্শের ট্রেনিং। আমরা পেশাদার বিপ্লবী সুনীল। অ্যাডভেঞ্চারার নই।
- যুবতী অ্যাডভেঞ্চার খুব ভালোবাসে। তক্ষশীলা থেকে ফিরে আমি যখন কিছুদিনের  মধ্যেই কলিঙ্গতে চলে যাই তখনই ওকে দেখেছিলাম। গভীর জঙ্গলে মাছ ধরছিল বর্শা দিয়ে।
মাছ আঁকতে আঁকতে সুনীল বলে। বেড়ালটা জুলজুল করে তাকিয়ে থাকে। আঁকা শেষ হলেই ধরে খাবে আর কী! এখানে একটা ট্র্যানজিশন দিয়ে আমরা মিস-অঁ-সিন খানিক বদলে নেব এইবারে।
                                                                                                 (ক্রমশ)


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন