কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

১০) মুক্তা রহমান

মুক্তা রহমান

 
অমরত্বের নাম - ফিলিস্তিন

তাদের রক্তে বিজয় কিনে নিতে
অপদূতের কাছে আত্মা বিক্রি করেছিল
জুডাস; থার্টি পিসেস অফ সিলভার

ইয়েশুয়া! ইয়েশুয়া!!
ইসাস! ইসাস!!
তোমার ইউসুফ বার নাবিয়া'রা
যুগে যুগে শতাব্দী ধরে, আজো
তৃষ্ণার্ত শুকনো ফুলে ওঠা জিভে
বুলেট বোমায় ভিজে থাকা
রক্তের স্বাদ গ্রহণ করছে

দেখ, গাজার ওপাশের ব্ল্যাকহোলে
শুধু কফিনের সারি
ছোট মাঝারি বড়; শীতল আর কর্কশ,
চির অতৃপ্তি, চির অশান্তির ঘুমে
তারা স্থায়ী ঠিকানার যুদ্ধে

ইয়াশুয়া! ইয়াশুয়া!!
ইসাস! ইসাস!!
শুনতে পাচ্ছ?
হোলি গ্রেইল হাতে
পবিত্র পানির অমরত্ব দিতে
কবে আসছ তুমি?


তুমি

তুমি?
কোন্‌ তুমি?
কোন্‌ সে তুমি?
তুমি তো তুমি;
আমার তুমি!
তুমি আমার চিঠির মানুষ
খলিল জিব্রান

চিঠির শূন্য খাতা
ভাঙ্গা কলমের নিব
প্রথম দেখার স্মৃতির আঁকিবুঁকি
ঝাপসা হয়ে যাওয়া স্মৃতিময় জোড়ছবি
সর্বত্র তুমি

কষ্টের নীল রক্তফোঁটাগুলো তুমি
গ্রীষ্মের অলস দুপুর
হেমন্তের বিষণ্ণ একাকী সন্ধ্যা
শরতের আকাশে লক্ষ লক্ষ বাবুই পাখি
বৈশাখী ঝড়ের ঝাপটায়
টিমটিম করে জ্বলতে থাকা
কেরোসিনের বাতির আলো আঁধারির খেলা
সেও তুমি

তুমি রূপকথার বনবাসী দুখী রাজকন্যার রাজপুত্র
ঝড়েতে ছিটকে পড়া নৌকোর হাল,
আঁধার রাতে ভেসে চলা ডুবির খড়কুটো
আর তুমি মর্সিয়ার শিসে ভেসে আসা অব্যক্ত ক্রন্দন

তুমি তো তুমি,  
কোন্‌ সে তুমি?
তুমি শুধু তুমিই!
তুমি আমার চিরন্তন চিরঞ্জীব তুমি,
আমার তুমি!
আমার জীবনের শান্তি স্বপ্ন প্রেম...
সব তুমি
আমার প্রতিটি শ্বাস
প্রতিটি ভোর
প্রতিটি ক্ষণমুহূর্ত;
আমার অস্তিত্ব
তুমি।
আমার সকল অপূর্ণতার পূর্ণতার নাম... একটি-ই
তুমি।
আমার অসম্পূর্ণ প্রেমের শেষ লাইনটিও তুমি।
সেই তোমাকে ছাড়া আমি!
তোমার স্মৃতি আমায় পুনর্জন্ম দিয়েছে যে!





তোমায় কেউ চেনেনি

তোমায় চেনে না কেউ, তোমার পরিজন, দুধের মাছি বন্ধুরা
ঈর্ষান্বিত শত্রু, হিংসুটে নিন্দুক - এমনকি বাড়ির পাহারাদার কুকুরটি পর্যন্ত
তোমার সকাল বিকেলের সঙ্গীরা, আর তোমার জীবনের অস্পৃশ্য ‘না’ মানুষেরা; 
কেউ না, কেউ চিনতেই বুঝতেই পারেনি তোমায়,
সবার ধারণা, তুমি মরে গেছ সেই কবে!
আর বর্তমান তুমি একজন জীবন্মৃত রোবট,
ওরা সকলেই তোমাকে তাদের মনের তুলিতে নিজ স্বার্থ উদ্ধারে
সাজিয়ে রেখেছে, দিনের পর দিন... মাসের পর মাস...
বছর... যুগ...

কেউ চেনে না, কেউ জানে না
শুধু মায়াবতী চেনে
শুধু মায়াবতী জানে
‘মায়ান’ বলে যাকে তুমি সোহাগ ভরে ডাকো
মায়াবতী জানে তুমি কশ্যপ - অদিতি পুত্র, আগুন পাখি;
তুমি পূষা, তুমি মিত্র; তুমি মায়াবতীর সূর্য
তোমার আছে রঙধনুর সাতটি রঙে রাঙানো মন,
যা দিয়ে তুমি সপ্তাশ্ববাহিত রথের মতো
মায়াবতীর মনের আকাশে ঘুরে ঘুরে
ইন্দ্রধনু বাজাও, শিবের গান গাও

তোমায় কেউ চিনতে পারেনি, কেউ জানতে পারেনি,
শুধু চিনেছে মায়াবতী, শুধু জেনেছে মায়াবতী;
তাই সে বৈশাখের ঝড় হয়ে
বর্ষার বৃষ্টির ফোঁটায় ফোঁটায়
শরতের সাদা মেঘের ভেলায়
হেমন্তের নবান্নে
শীতের ঝরা পাতার ভাঁজে ভাঁজে
আর বসন্তের ফুলের বাসরে
তোমার যশোগান করে
মায়াবতী তোমার উজ্জ্বল চোখ
নিষ্পাপ হাসি আর বিষাদ মাখা ভালোবাসার কথা
প্রতিটি ভোরে প্রার্থনা সঙ্গীতের সময় স্তব করে
পৃথিবীময় জানান দেয়,
আর তাই তো প্রতিটি ভোর আসে সূর্যকে সাথে নিয়ে
সকল মিথ্যেকে স্তব্ধ করে 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন