কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১৩১

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১৩১

শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

প্রণব চক্রবর্তী

 

সমকালীন ছোটগল্প


পেত্নী বিলের হাতছানি

পথটা নতুন না হলেও, পথিকেরা সবাই নতুন আজএকটা অরাজক হাওয়া এসে তুমুল বেঁধেছে বাঁধনপুরের রাস্তানা, কোনও মেলার পথ নয়, মেলা- পথহাতের সাথে হাত, পায়ের সাথে পা আর উদ্ধত উন্মাদনা ঘিরে সবাই কেমন যাচ্ছে নাকি ছুটছে, কেউই ভাবছে না সে সবযাওয়াটাই যেন সত্য সবার কাছেএমনই এক ব্যতিক্রমের পাশে দাঁড়িয়ে হরিয়ালের মনে হচ্ছে বাঁধনপুরের দিকে একবার ঘুরে আসলে কেমন হয়! আর এই ভাবনা থেকেই যেই অত্যন্ত সক্রিয় প্রায় ছুটে পা মেলাতে গেছে, চৌকি থেকে আছড়ে পড়েছে মাটিতেগোড়ালিতে মোচড় খেয়ে পড়তে যে সময়, যন্ত্রণার জন্ম নিতে সে সময়টুকুও লাগলো নাঅর্থাৎ পড়া কঁকিয়ে ওঠার মাঝখানে দু-এক পলের ফাঁকচৌকির ওপাশ থেকে বৌয়ের ঘুম গেলো ভেঙ্গেআলো জ্বললো ঘরে, আর আলোর মধ্যে হরিয়াল উপুড় মেঝেতে কেমন নানাবিধ ব্যথায় গোঙাচ্ছেতখনও তার ঘুমের ওপ্রান্ত থেকে স্মৃতিতে ভেসে আসছে একটাই শব্দ, "বাঁধনপুর"বৌ তড়িঘড়ি উঠে হরিয়ালকে ওভাবে পড়ে থাকতে দেখে কেমন বোধবুদ্ধি হারিয়ে ছুটে গিয়ে পাশের ঘর থেকে শাশুরিকে ডেকে নিয়ে আসে।  আর এই শোরগোলের ঝামেলা আন্দাজ কোরে পায়ের মচকে যাওয়া যন্ত্রণা আড়াল করেই, হরিয়াল দ্রুত স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করে। তার মা ঘরে ঢুকেই তার কাছে এসে ভালো করে একবার দেখেই বুঝতে পারে ছেলেকে নিশ্চয়ই নিশিতে পেয়েছিলোকাছে এসে বুকে পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়ে একমনে ডাকতে থাকে তার যাবতীয় পরিচিত ঠাকুর দেবতার নাম

   -- , হোর‌্যে, তরে দ্যাবতা কনে যায়তে ডায়কলো রে বাবা, একবার মনে করি বলওঝারে সব না বইললে, কন বাগানের ঠাইকরেন, ওঝা তারে ঠিক জায়গায় পাঠায়তে পারবে না নে বউমা, কাইল সকাল হইলেই ওঝারে খবর দিয়ে আসবাএখন এডারে জড়ায়ে ধর‌্যে ঘুমায়ে পড়ো

মা, হরিয়ালের বুক মাথা আরও কয়েকবার বিভিন্ন ঠাকুরদেবতার নাম ডেকে ভালো করে হাত বুলিয়ে দিয়ে হরিকে মুতে এসে শুয়ে পড়বার উপদেশ দিয়ে আবার ঘুমাতে চলে গেলোবউ শ্যামাঙ্গিনী হরিয়ালকে হাত ধরে টেনে তুলে জড়িয়ে ধরে বাড়ির উঠোনে বাথরুম করাতে নিয়ে গেলোহরিয়ালের পা ফেলতে কষ্ট হচ্ছে, বৌয়ের কাঁধে ভর দিয়ে দরমা ঘেরা হিসিঘরে ঢুকে হালকা হলোশ্যামাঙ্গিনী বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলো কোমড়ে কাপড় গুঁজে যুদ্ধের মেজাজেদ্যাবতা ট্যাবতা যেই হোক, আর একবার যদি তার স্বামীরে ডাকতে আসে মুখে নুড়ো জ্বেলে দেবেএকেবারে মরিয়া তার ভঙ্গীবউকে জড়িয়ে আবারও ঘরে আসবার পথে খুব আলতো করে বললো, গোড়ালিটা বোধহয় মচকে গিয়েছেঘরে এনে হরিয়ালকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বৌ একটা বাটি করে হলুদ, নুন, চুন, এক জায়গায় ফাটিয়ে একটু গরম করে নিয়ে এসে হরিয়ালের গোড়ালি, পায়ের পাতায় খুব ভালো করে একটা প্রলেপ লাগিয়ে দেয়তারপর একটু ধরলে, বৌ আলো নিভিয়ে দিয়ে ঘরে একটা হারিকেন নিভু নিভু করে জ্বালিয়ে রেখে হরিয়ালের একেবারে গা ঘেঁষে এসে শোয়

    -- বলোনা গো, তেনারা তোমায় কোথায় ডেকে নিয়ে যাচ্ছিলো?

    -- এই, মা বুড়ো হয়েছে, তুমি একটা যোয়ান বউ, মার কথা মাথায় ঢুকিয়ে নিয়েছো, নাকি!

    -- মা তো ঠিকই বলেছেকত লোক নিশির ডাকে সেই যে ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যায়, কেউ আর তাকে খুঁজে পায়নাদেবতা ঠাকরুণদের এক এক জনার প্রতি দৃষ্টি পড়ে যায়

    -- বাজে বকবক করলে ঘর থেকে বার কোরে দেবমার কাছে গিয়ে শুয়ে থাকবেমানুষ কত রকম স্বপ্ন দেখে, তুমি দেখো না?

    -- দেখি তো! এই তো সেদিন দেখলাম, আমার পেটে একটা বাচ্চা এসেছে আর তুমি আমার পেটে কান রেখে বাচ্চাটার নড়াচড়া শুনছো

    -- এবারে যদি ধান বেচে টাকা পয়সা ভালো পাই, ভেবেছি শহরে গিয়ে ভালো ডাক্তার দেখাবো দুজনেইবাচ্চা কেন হচ্ছে না, ডাক্তার ঠিক তার ব্যবস্থা কোরে দেবে

    -- আমারই দোষআমার জন্যেই তুমি বাবা হতে পারছো না

    -- কি করে জানলে আমার কোন খামতি নেই? ওটাও কি আমার মা তোমায় বুঝিয়ে দিয়েছে? শোন পাগলী, দোষ তোরও থাকতে পারে, আমারও থাকতে পারেডাক্তার দুজনাকেই পরীক্ষা না কোরে সেও কিছু বলতে পারবে না, বুঝলি! ঠিক আছে, এখন আমাকে ভালো কোরে আদর কোরে দে

    -- না, আগে বলো তেনারা তোমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলো?

    -- বলবো?

    -- হ্যাঁ হ্যাঁ বলো

    -- তোর ফুটোয়তেনারা বললো, তোকে আচ্ছা কোরে ঢেঁকিছাট করতেঘুমের মধ্যে আমার দিক ভুল হয়ে গেছিলোভাবলাম তুই আমার বাঁদিকে আছিস, তাড়াহুড়ো করে খুঁজতে গিয়ে চৌকি থেকে লাফ দিয়ে তোকে ধরতে গিয়েই পা মুচকে পড়ে গেলাম

    -- খুব অসভ্য তুমিএকদম মিথ্যা কথা বলছো

এভাবেই ঘুমের দ্বিতীয়পর্বে, হরিয়াল শ্যামাঙ্গিনী ক্ষুধার্ত দুই বেড়ালের মতো দাম্পত্যের খুনসুটিতে জড়িয়ে দুজনেই তাদের নিজ নিজ নিশিডাকে মগ্ন হয়ে জড়িয়ে যায় তুমুল আলোড়নেহরিয়াল তার পায়ের হলুদচুন যেমন বিস্মৃত হয়, শ্যামাঙ্গিনীর মাথা থেকেও দ্যাবতা-ঠাকরুণ যাবতীয় কষ্ট কল্পনা লটকে যায় উত্তপ্ত কৃষিকাজেতারপর ঘুমঘুম ভাঙ্গে মায়ের ডাকেহরিয়ালের আগে ঘুম ভাঙ্গেবোঝে দেরী হয়ে গেছেলুঙ্গিটুঙ্গি ঠিক করে নিয়ে কিঞ্চিত খোঁড়াতে খোঁড়াতেই দরজা খুলে বাইরে আসেবৃদ্ধা মা সন্দেহের দৃষ্টিতে হরিয়ালকে বারকয়েক ঝাড়ি মেরে নিয়ে বলে, ত্যানারা আর আয়ে নাই তো, বাবা!

    -- এসেছিলো

    -- বলস কিরে?

    -- আমি বলে দিয়েছি, মার কাছে জিঙ্গাসা না করে তোমাদের সাথে যেতে পারবো না

    -- তুই এত্য কতা বইলতে পারলি? শুইনে ত্যানারা কি বইললো?

    -- বললো, তো দেখছি খুব মার ভক্ত, এর কাছে তাহলে আমরা আর আসবো না-- বলেই চলে গেলো

     কথাটা শুনে বৃদ্ধা মায়ের চোখ দুটো কেমন উজ্জ্বল হয়ে উঠলোতারপর কাছে এসে হরিয়ালের মাথা বুক বয়সের ভারে জীর্ণ দুটো হাত দিয়ে বুলিয়ে দিতে দিতে বললো--

    -- যাইক, তরে তাইলে ত্যানারা বাঁচায়ে দিয়িছেতর আর কোন ডর নাই বাবাঠাকুর তরে নক্ষা করুক!

মা ঘরে চলে যেতেই হরিয়াল ঘরে ঢুকে শ্যামাঙ্গিনীর ঘুম ভাঙিয়ে দেয়কাপড়চোপড় সামলে নিয়ে বউ ধড়ফরিয়ে বিছানা ছেড়েই একটা তীর্যক দৃষ্টি হরিয়ালের দিকে ফেলেই ফিসফিসিয়ে বলে ওঠে, ডাকাত একটাকথাটা বলেই ঘর থেকে দ্রুত বেরিয়ে যায়

(২)

জীবন দ্রুতই স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পায়পায়ের ব্যথাটাও অনেক কমেছেকিন্তু স্বপ্নের বাঁধনপুর হরিয়ালের মাথা ছাড়ছে না কিছুতেইসময়ে অসময়েই যেন সেই স্বপ্নটা জীবন্ত হয়ে তার চোখের সামনে ভেসে ওঠেপ্রচুর মানুষের একটা মিছিলছেলে, বুড়ো, মেয়ে, বউ, বাচ্চা সবাই হাতে হাত ধরে সবাই প্রায় দৌড়ের মত দ্রুত ভঙ্গীমায় নাচতে নাচতে ছুটতে ছুটতে চলেছে কোনো এক বাঁধনপুরের দিকেপিছন থেকে সামনে ক্রমেই লম্বা হচ্ছে মানুষের ঢললাঙল চালাতে চালাতে, ধান রুইতে রুইতে তার যেন চোখের উপর ভেসে ওঠে সেই মিছিলে সেও পা মিলিয়েছে, তার পাশে পাশেই চলেছে শ্যামাঙ্গিনীও! এমনই একদিন, ধানের বীজচারা বুনতে বুনতে যখন সেই বাঁধনপুরের স্বপ্নে সে বিভোর, তার চটকা ভাঙে পরিচিত এক খ্যাখখেরে গলার আওয়াজেঘাড় ঘুরিয়ে দেখে সুদখোর ফ্যালসাবাবু পাশে এসে দাঁড়িয়ে আছেগাঁজাখোরের মতো খাজা গলায় সে বলে ওঠে--

    -- হর‌্যে, একবার ধান ঘরে তুইল্ল্যে, বেচেবর্ত্যে তো ভালোই কামাই করলাআমার টাকাটা ক্যান ফেল্যে রাখলে বাবা? এখন তো দেকচি আবার নতুন ধানের চাষে নেমেচো!

    --আপনার সুদটা আমি একসময় গিয়ে দিয়ে আসবোআসল দিতে আর দুয়েকটা চাষ লাগবে

    -- বলিস কি রে?

    -- হ্যাঁ, যেটা পারবো, সেটাই বললামআপনার সুদ ঠিকঠাক পেয়ে গেলে আবার কথা কিসের?

    -- হর‌্যে, ভেবেচিন্তে কতা বলবিএই ফ্যালসা মুন্সি কিন্তু খুব খতরনক মানুষটাকা না পেল্যে, জমির ধান তুলে ঘরে নিয়ে যেতে তোর অসুবিদে হয়ে যাবে এলাকার সবাই জানে, একটা চাষের ফসল উঠলেই আমার টাকা ফেরৎ দিতে হয়তোর কথার ওই প্যাঁচমারা বুদ্দি কিন্তু আমার ওপর মারাতে আসিস না, বেপদে পড়ে যাবি

    -- শুনুন ফ্যালসা কাকা, আপনি সুদখোর মহাজন আর আমি এক ছোট চাষিনিজের জমিতে নিজে লাঙল ঠেলিআপনার কাছ থেকে যখন টাকা সুদে ধার নিয়েছি, তখন কবে সেটা ফেরত দেবো, তেমন কোনও কথাই হয়নিআপনিও বলেননি, আমিও জিজ্ঞেস করিনিআপনার খাতাতেও কোথাও লেখা নেইতাহলে এখন এসব কথা বলছেন কেন?

    -- তুমি তাহলে টাকা সহজে আমায় ফেরত দেবা না! ঠিক আছে, আমিও আদায় করতে পারি কিনা দেখায়ে দেব! আমি চললাম

    -- শুনুন কাকা, জোর দেখালে বিপদে পড়ে যাবেনআপনি সুদের কারবার কোরে এত যে মুনাফা করেন কোন ট্যাক্সই তো সরকারকে দেন নাপুরো কারবারটাই বে-আইনিসরকারকে জানিয়ে দিলে আপনি কিন্তু বিপদে পড়ে যাবেনআমাকে ভয় দেখাতে এলে, আপনারও কিন্তু অসুবিধা হয়ে যাবে

    -- বলিস কি রে? দু-লাইন পড়াশুনো কর‌্যে হাতির পাঁচ পা দেকেচিস নাকি? আমারে ভয় দেকাচ্চিস? তোর ওই সরকার আমার কাছায় বাঁদা থাকেবেশি হুদোমি কইরলে কেটে পানায় ডুবায়ে দেবো, কেউ কিচু জাইনতেও পারবে নাতোরে শেষ বারের মতো বলি গেলাম, যায়ে আমার টাকা সোদ কোর‌্যে আসবি

    -- কাকা, তোমার কথা তুমি বলে গেলে, আমি শুনলামআমি কি করব সেটা পরে ভাবব

    -- এই এক দোষে তোর বাপটাও মরেচে, তুইও দেকচি অকালে ভোগে চলে যাবি!

কাকার শেষ কথাটা শুনে হরিয়ালের বুকের ভেতরটা কেমন মোচড় দিয়ে ওঠেবাবা তার মানে খুন হয়েছিলো এই ফ্যালসা কাকার ভাড়াটে গুণ্ডার হাতে? মার কাছে শুনেছে, একদিন রাতে খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো, নতুন ফসল কদিন পরেই কাটা হবে, একজন এসে খবর দিলো মাঠের পাকা ধানগুলো আলভাঙা জলে ভেসে যাচ্ছেতাড়াতাড়ি গিয়ে আল বেঁধে না দিলে আর ধান পাওয়া যাবে নাবাবাও সে কথা শুনে সেই অবস্থাতেই বেরিয়ে গিয়ে আর ফিরে আসেনি সে রাতেপরদিন শোনা যায় পেত্নী বিলের কাছে তার রক্তেভেজা লাশ পড়ে আছেসেবারেও একটা চাষের পর সুদসহ ঋণের টাকা ফেরত দিতে না পারায় ফ্যালসা কাকার সঙ্গে বাবার তীব্র কথা-কাটাকাটি হয়েছিলোতবে যে লোকটা সে রাত্রে আলভাঙার কথা বলতে এসেছিলো, মা তাকে চেনেনি এমনকি বাবাও তাকে ভালো করে ঠাহর করতে পারেনিশুধু স্বপ্নের ফসল ভেসে যাওয়ার কথা শুনে বাবা আর ঘরে বসে থাকতে পারেনি

একটু গভীরে নামলে দেখা যাবে, এ এলাকার বিপুল পরিমাণ চাষের জমির মালিক এই ফ্যালসা কাকাদের মতো মানুষগুলি। একেকটা গ্রামজুড়ে ছোটখাটো জমিদার হয়ে বসে আছে এরা। এই জমিদার হয়ে ওঠার রসায়নটাও আজ অনেকের কাছে সুবিদিত। সম্ভবত হরিয়ালও সেটা জানে। চাষের আগে টাকা ধার নিতে চাষী একরকম বাধ্যই হয়ে যায়। আর এই সুযোগটাই সুদখোর মহাজনেরা খোঁজে। ফলন তেমন ভালো না হলেও, ঝড় বন্যা খরায় মাঠেই ফসল শুকিয়ে গেলেও, এক চাষ শেষ হলেই মহাজনের টাকা ফিরিয়ে দেয়াটাই রীতি, না দিতে পারলে মহাজন তখন সেই বিপর্যস্ত চাষীর হাতে আরও কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে জমির দলিল বা পাট্টাটাই কায়দা করে নিজের হাতে গুছিয়ে নেয়। যারা বেয়ারা, হরিয়াল বা তার বাবার মতো, তাদের বুঝে নেবার জন্য এলাকার দুঁদে আসামীরা এ সব ফ্যালসা কাকার মতো সুদখোর মহাজনদের কাছে পোষা থাকে, টাকার বিনিময়ে যারা নির্দেশ মাফিক যে কোন কিছু করতে প্রস্তুত। 

আগে মায়ের কাছে থেকে শোনা বাবার মৃত্যুর রহস্য এবং ফ্যালসা কাকার আজকের কথোপকথনে বাবার মৃত্যুর প্রসঙ্গ শোনার পর হরিয়ালের মধ্যে অন্য এক ক্ষুধা জেগে ওঠে-- প্রতিশোধের গোপন আগুনই সে ক্ষুধার জন্ম দেয়ফ্যালসা কাকার চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে হরিয়াল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, এবারের বর্ষায় ফ্যালসা কাকাকেই পেত্নী বিলের পাড় খেয়ে নিলে কেমন হয়...!

 

            

 

      

   

    


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন