![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৬ |
ব্যক্তিগত
মনের মধ্যে রেখে দিয়েছি অযুত অক্ষর, পালিভাষা,
পূর্বপুরুষেরা পাঠোদ্ধার করেছেন
শিলালিপির, আমি পারিনি
সর্বত্র শুধু ভালবাসার উপরই ছুরিকাঘাত
দ্বন্দ্ব বিচ্ছিন্নতা অভিনয়।
এই সব সমসাময়িক কোনো দৃশ্যই আমার না
লুভর মিউজিয়ামে মোনালিসা দেখার
মতো
কিছুটা আগ্রহ কিছুটা যাতনা,
সেই কবে গিয়েছি প্যারিস,
সেন নদীতে নৌকাভ্রমণ
বৌদ্ধ বিহারের সে কথা মনে করালেন
একজন নগর
শ্রমণ।
তার দীর্ঘ নাসা, মৃদু শ্বাস
আমার ভেতরে জাগিয়ে তোলে প্রবল
বিশ্বাস।
খবরের নিচে শায়িত যে গোপন মরদেহ
সে কি আমারই, নাকি বীজ বপণের কোন
দ্রোহ?
উড়ো চিঠি
যে উড়ো চিঠি বা ফোন আমার জীবন বদলে দিতে পারতো, যে পাখিটি পাতার আড়ালে ডাকছিল, সে যদি বাদামি রঙ দেখিয়ে উদ্ভাসিত হতো, যে পাহাড় সমুদ্র স্থাপত্য ঝর্ণা আমি কোনদিন দেখবো না, সেসব যদি ছবির মত বিকশিত হতো, তাহলে মর্মর স্থাপত্য না বানিয়ে, আমি বালি দিয়ে সমুদ্রতীরে
বসে খেলাঘর বানাতাম।
পরাঙ্মুখ প্রতিভার কোন মূল্য নেই, তাকে উদ্ভাসিত হতে হয়, স্নাত পদস্খলনে কত প্রতিভা নষ্ট হয়ে গেল,
মারুফগুলি আমি এখন কোথায় রাখি?
আমার ঘর ভঙ্গুর, উদ্বাস্তুর মত,
আজ মরুভূমিতে, কাল ভূগর্ভে,
সুখ দুঃখ
শুধু কি সুখস্মৃতি দিয়ে ভরা মানবজীবন, নাকি দুঃখ তাকে আড়াল করে রাখে, ছায়া ঢাকা মায়া উপত্যকা কি তাকে ডাকে, অন্ধকার আলোর মধ্যে থেকে বন্দী কি বলে আর নিগ্রহ নয়, থামো সমাজ,
রহস্যময় দ্বীপে প্রবাল ছায়া,
দুঃসময়ে মানুষ অসহায়, মেঘের আড়ালে
লুকিয়ে আছে, মর্মস্থলে শুধু অক্ষর লুকিয়ে থাকে,
সহজ পথ ধরেই আমাদের হেঁটে আসা উচিত
ছিল,
কিন্তু আমরা পাকদন্ডী দিয়ে বারবার
উঠেছি নেমেছি, লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় আমাদের নিয়তি
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন