কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১৩১

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১৩১

শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

শ্রাবণী সিংহ

 

কবিতার কালিমাটি ১৪৬


সীমাবদ্ধতা

 

শাপিত পাহাড়গুলো যেন জলবায়ু বৃষ্টির  অন্তরায়।

শংকাবহুল পথগুলো ডিঙোতে জানতে হয়

নাহলে

সীমাবদ্ধতারা জন্ম নেয় অসহনীয়রূপে…

 

বজ্রমুষ্টিগুলো লুকনো, আয়নায় ধরা পড়তেই 

কালান্তক এপ্রিল 

তীক্ষ্ণ কি হয়ে উঠল আরো আরো?

তোষাখানায় কেবলই যা বাড়ছে  - উষ্মা ও টহল

মিশরীয় ধ্বংসছবিই যেন আঁকতে চলেছে এবারের গ্রীষ্ম 

নুনের বদলে জলে রক্ত মিশবে ক’বার?

 

ছোঁয়া

 

পরিশ্রান্ত পাখিটি আজও সন্তর্পণে এড়িয়ে যায়

মদনমোহন জিউয়ের মন্দির-কলস, স্বর্ণ চূড়া…

ডানা মুড়ে আসার মুহূর্তে যেন নত হল চোখ তারও

চৈত্র বিকেলে দ্রাঘিমাংশ ছেয়ে আছে

এমনই সব অলৌকিক চমৎকারিত্বে

কোথাও রঙিন কাগজের চরকি ঘোরে

চিলেকোঠার ছাদে…

কখনও শরের মত হাওয়া কেটে উড়ে এসে 

স্পর্শ দেয় ফড়িঙ

বিনিময়হারে যে যা পাচ্ছে তার সবতাতেই ছোঁয়া

আছে আগাম সাল পয়লার

পাচ্ছ কি ছোঁয়া?

পাচ্ছ তবে?

 

বিপন্ন সন্তুর

 

নিঃশব্দে আর্কাইভ হয়ে রয়েছে বিশ্রামকক্ষে কবেকার প্রাচীন সন্তুর

বাদকের অভাবে বিপন্ন

আর আছে সুর ছড়াতে না পারার শব্দহীন ব্যর্থতা

যা তাকে আরো ভারী করে তুলেছে।

সূর্যের মুখ না দেখা দিন অথচ 

 

সন্ধ্যায় সেই লাল-বাদামী অন্ধকার

ছোটো ঝাড়বাতির কাঁপা আলো

নিঃসন্দেহে ছইদোলা লন্ঠনের মত,

নিভু নিভু রহস্যময়...

বিছানা থেকেও উঠছে রাঢ়ের ভাপ

ছলছল ধ্বনির মত বৃষ্টির আচমকা ধুন

           শোনার অপেক্ষায় কেউ।

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন