![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৬ |
কালো
চশমা
নাইন্টিন্থ সেঞ্চুরির আড্ডা ছেড়ে আমরা আজকের লেখার ষড়যন্ত্র নিয়ে মেতে উঠি
একজন কালো চশমা পরা লোক সেই সময় আমাদের ঘরে ঢোকে
আমরা লেখা শুরু করি স্রোতের মাঝখান থেকে ধরে নিয়ে
আর শেষটাও ছেড়ে দিতে হয় মাঝখানেই
আমরা সকলেই চমকে উঠি
কারণ আমাদের প্রত্যেকের স্বপ্নে যখনই উনি আসেন
তখনই শিশুকে দেখতে হয় পিতার হত্যার দৃশ্য, পিতাকে শুনতে হয় সন্তানের মৃত্যুসংবাদ
খবরের সঙ্গে কি ভেসে আসবেই তেল চপচপে বক্তৃতা!
হাফ-গেরস্ত মানুষের মজা উত্তেজনা হতাশার
মর্ষকামী তির
ছুটে যাবে অপরকে লক্ষ্য করে!
ইন্টারল্যুড
চলাকালীন
নিজস্বতাকে হত্যার চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের এই
যূগপৎ জ্যোৎস্না ও রোদ্দুর
এবং একই সঙ্গে এই করুণ বেহালা
গানের শব্দতাঁত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে এই বেহালা
উড়ে যেতে পারে বাক্যের সুড়ঙ্গ ছেড়ে আকাশের দিকে,
পিছনে ধাওয়া করে রাক্ষুসে উল্লাসের অর্কেস্ট্রা
আর ওদিকে পালিয়ে যাওয়া শব্দগুলোকে ডাকতে থাকে
গায়কের স্বর্ণকণ্ঠের যাদু
কপালে একটা গুলি প্রাপ্য এমন খুনীর মোবাইলে কি বেজেছিল
এমনই কোনও গান যার ক্লু পুলিশকে দিয়েছিল
হলুদ রোদ্দুর মাখা ঘাসের প্রান্তর
এই সেই হেঁয়ালি যার জের টেনেই চলেছি আমরা!
পাকা গমের ধূ ধূ ক্ষেত -
হিমজ্যোৎস্নায় ঢাকা পাহাড় -
মুহূর্তের ব্যবধানে কেন রক্তের নরক?
বর্শার
মুখে গাঁথা
হারানো মানিব্যাগ ফেরত দিতে এসেছে এক ছায়ামানুষ
সে বারেবারেই বলছে - তাস ভেস্তে আবার সাজাও
এদিকে অতিসম্প্রতি একজন বিক্রি হয়েছেন ভিন্ন বৃত্তে
তার অতীত মধ্যযুগের কুয়ো খুঁড়ছে শহরের নির্জন এলাকায়।
সমস্ত অর্জনের পিঠে গজিয়ে ওঠা ছত্রাক সাফ করতে নেমে দেখলাম
আমার হাতে সত্যিই কোনও নতুন বাক্স নেই
কী করে যেন শুধু তৈরি হয়ে গেছে একাধিক ট্রেলার
আর প্রতিবারই আমি হাতের সুতো কেটে দিয়েছি মাঝপথে
ছায়াছবি আমার হাত ফস্কে পড়ে গেছে কুয়োর জলে
হত্যার ছাইভস্ম থেকে কি বিলম্বে জেগে উঠবে অশ্রুসিক্ত মশাল!
খাবার ভাগ করে খেতে পারার সূচকের ঘরে
এখন একটা লাল গোঁত্তা খাওয়া তির বিঁধে আছে
চতুর্দিকে ঘোর অস্বস্তির ডুবজল
অথচ ডুবুরি দেদার
ধ্বংসস্তূপ ফুলে ফুলে ছেয়ে যেতে
সমবেত দীর্ঘশ্বাস, ক্রোধ আর অনুশোচনা লাগে ধারাবাহিক
আমরা এখনও অপেক্ষায়
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন