![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৬ |
জীবনের একটা প্রতি-জীবন
আছে, হরিণ আছে
(১)
হরিণের
টানা
ক্লান্ত
জ্বর
ছিল
দুধের
সর মেখেছিল
ছিন্ন
নূপুর
ওড়িশি
টানা-হরিণ
ক্লান্ত-চোখ
খুন
হওয়ার আগে
পরে,
একটাও শব্দ জাগেনি
বুটের
শব্দ
পুলিশ
চোখ
বেরিয়ে আছে, চাঁদবিনা
মরে
গেলে দেখা ফুরোয়, পুলিশ এসবই দেখে
মেয়েটা,
পাশের বাড়ির
কী
রূপ!
‘বডি’
শুঁকছে।
একটা
কুকুর, একটা ঘনিষ্ঠ লেন্স।
(২)
হরিণ
নিয়ে ভাট বকার সময়
সন্ধ্যা
নামে
বা
কোথাও সকাল হয়
সকাল
বেরোয় উদাসীন
তা
দেয় রান্নাঘরে
পা
দেয় মুশুরালি-রোদ-ভাঙা প্রায় নির্মোহ-হাসিতে
হাসিটা
যে কার
কে
জানে
শুধু
আছে এই সকালে বা ওই সন্ধ্যায়
কোনও
দুর্ঘটনা নেই
সবাই
খুশি
প্রত্যেকেই
কার্ড-পাঞ্চ করছে
হরিণের
কিছু যায় আসে না
মানুষ
দেখে
দেখে
প্লাগ পরিষ্কার করার কায়দা
বা
কেতলিতে জল ঢালার
কুলকুল
হরিণ
দেখাটা ফেলে দেয়, আয়না তো এভাবেই
(৩)
লাগিয়ে
দেয়া
আগুন
নদী
হাত-পা
সেঁকছিল
কাল
ঠাণ্ডা আজ গরম
একটা
দেশে
শিং-ছুট
ফুলকি
দ্রুত
পা-হারানো একটা জঙ্গল
পাপ
দিয়ে তাপ মেলানো
পুড়ছে
শব্দে
ঝলসে ওঠা হরিণ
একটা
নদী
প্রায়
গলে গলে পড়ার মুখে
চাঁদ
উঠল
খুব
মায়াবী আর রাঙা মনে হচ্ছে
খুনখারাপি
আবার
(৪)
হরিণ
গড়ে ওঠে
ভেঙে
যায়
এই
সত্য
বা
মিথ্যে গড়ে উঠল
মরেও
গেল
মূক
আর
মুখ
আকথা
আর নিকথা এরকমই
যেমন
গ্রামার
ভয়ে
চলে
গেল যে হরিণ আমাদের
সহজ-টানা
চোখ আমাদের
নেপালের
দিকে
নেপাল
থেকে মনে হবে একটা দৃশ্য
ভারতীয়
সিনেমার
সহসাই
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন