কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১৩১

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১৩১

শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

রঞ্জন মৈত্র

 

কবিতার কালিমাটি ১৪৬


ফোকাস

 

হালকা হাত রাখার আগে

হাতটিকে হালকা করা

পেশী মাংস শিরা এবং স্বচ্ছতোয়া

বেড়াতে এসে নিসর্গে আছি

একলা হওয়ার আগে

হওয়াটিকে একলা করা

রক্ত মাংস শিরা এবং ফোকাস

নিসর্গে এসে বেড়া ভাঙি

শব্দ ভাঙলে যা যা থাকে

ছবি ছিঁড়লে যা আর থাকে না

হাত হালকা হয়ে উড়ে যাচ্ছে

পা সোজা

চোখ সোজা

পরের শব্দটি ক্লিক

কে প্রথম ভেবেছিল একলা হয়ে ভাবি

 

শীতের পাখি

 

শীতের পাখি

এলে কুয়াশা থেকে

এই তুমি আলো

অন্ধকারে আমাদের স্বপ্ন ও ফেল করা ট্রেন

অন্ধকারে খুন আর যৌন বেহালা

এলে ক্যালেণ্ডার শেষপাতা থেকে

যেন একটা গান ছিল

আর একটা জন্মাচ্ছে কোথাও

বিদ্যুৎ তার থেকে ভোরবেলা ডাকছে সঙ্গীকে

জেগে ওঠা ছুঁয়ে দেখি

জানালার পাল্লাগুলিকে

কত হিম জমে থাকে লেপের তলায়

আরো নিচে বরফের ইনল্যাণ্ড পোস্টকার্ড

একটু কি সূর্য পড়ল অশ্রুফোঁটায়

একটু কি মোড় ঘোরা নতুন তারিখে

তুমি ডাকছো

গানময় পাখা মেলছে আমাদের শীতার্ত পালক

 

 

আবার যদি

 

(১)

 

ইচ্ছে কার

যেন কার আসার আশায়

আবার দু'বার এসে পড়ে

ঢেউখেলানো শব্দটি ফটোশপ থেকে

আয়না কার

তুমি কি তোমার মুখ আগেভাগে এঁকে রেখেছিলে

 

(২)

 

সহজাত ভেলা

জলের নির্মাণ হবে বালিচকে

উটমুট পায়ের ভীড়ে

জায়গা খোঁজে পেনসিল রাবার তেলরং

কি হবে খেলার নাম

শুদ্ধ মিশ্র আটমাত্রার আঁধিতাল

আবার পৃথিবী সে তো অন্য আয়না অন্য সারনেম

তুমি কি তোমার মুখ আগেভাগে এঁকে রেখেছিলে

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন