![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৬ |
কবিতা
তোমার সেই 'খাঁচার দাসী কবিতা'
এখন আমার ঘরে
নিশ্চিন্তে বসত করে
কবি
কি যে মুশকিল তারে নিয়ে!
যতই তারে দূরে ছেড়ে আসি
যেতে বলি
জাতিসংঘ থেকে একমুঠো
শান্তি নিয়ে
দূর দেশ, অশান্তির দেশ
বাংলাদেশে
তবু সে ঘুরে ঘুরে
উড়ে উড়ে আসে
আমার-ই ব্যাক ইয়ার্ডে
খায় দানাপানি করে লুটোপুটি
হায়
তোমার সেই 'কবিতার কথা'
'খাঁচার দাসী' কবিতা
এখন আমার প্রেমে
আমারি বুক পকেটে বন্দী
তারে নিয়ে
এই বিদেশ বিভূঁইয়ে আমি কি করি?
(আল মাহমুদের
'কবিতার কথা' কবিতাটি পাঠ করে)
কবিতা না লিখলে কি হয়
কবিতা না লিখলে
কি হয়?
কবিতা না লিখলে
কিচ্ছু হয় না
তবে--
কবিতা না লিখেও
ঘুম থেকে উঠে এককাপ কড়া করে
চা খাওয়া যেতে পারে
কিম্বা আলসেমি করে টি.ভি-তে
নিউজ দেখা অথবা ফেসবুকে ঢুঁ মারা যায়
বউয়ের ঝাড়ি থেকে বাঁচতে
অফিসগামী হওয়া যায় সকাল-সকাল
ভাগ্য যদি ভালো থাকে
কর্মস্থলে ঠিকঠাক মতো পৌঁছানোও
কোন ব্যাপার না
কবিতা না লিখলে
বাড়ি ফিরে বউয়ের আঁচলে ঢোকা
কিম্বা না ফিরে আড্ডাবাজিতে মেতে ওঠা যায়
বাচ্চাকাচ্চা থাকলে
একটু সময় কাটানো যেতে পারে
বা সংসার নিয়ে
গৃহকর্তীর সাথে সামান্য থেকে
বৃহদাকারে ঝগড়াঝাঁটি হতে পারে নিমেষেই
আর যদি স্ত্রৈণ হোন বা হই
সব মেনে নিয়ে সংসারে টিকে থাকা যায় চুপচাপ
কবিতা না লিখলে
এভাবে
আস্ত একটা সাদামাটা দিন থেকে
সারাটি জীবন কাটিয়ে দেয়া যায় চোখ বন্ধ করে
কিন্তু
কবিতা না লিখলে
কারো কারো
রতি সুখেও শান্তি মেলে না
দেখা : জীবনানন্দ দাশ
কাল হঠাৎ-ই দেখা।
এই শীতের দেশে এসেও তিনি
সাদা পাঞ্জাবি আর পাজামা পরা।
কালো আচকান কাঁধে
অসম্ভব ব্যস্ততায়
ছুটে যাচ্ছেন...
যেন দেরী হলে
হয়ে যেতে পারে কোন কেয়ামত
বা ভূমিকম্প।
টাটকা শাক-সব্জী
স্পেশালি,
কচুর লতি আর ইলিশ মাছ
কিনবেন বলে
ফার্মার্স মার্কেটে ঢুকতে গিয়ে
ভুল করে তিনি ঢুকে পরলেন
বিপনীবিতান 'মার্শালস' এ
যেন এক স্বপ্নরাজ্য...
পুঁই শাক, পালং শাক, কাঁচা পেপে
কচি লাউ, সীম ও ঝিঙ্গের
পরিবর্তে
কি করে এলো--
বাহারী পোশাক, পাদুকা, অন্তর্বাস
আর রাজ্যের যত সুগন্ধি!
তার মাথায় ঢুকছে না।
যেন কোন এক যাদুমন্ত্র বলে
থরে থরে
চিত্রকল্পে সাজানো এ দোকান
তার-ই কবিতার মতো
পাল্টে গেছে।
হয়ে গেছে
বহু বর্ণিল ও বিচিত্র
কাব্যের আধার।
আটলান্টার ট্রাম, 'স্ট্রিট কার'-এ
উঠার আগে
গতকাল
এভাবেই দেখা গেলো
জীবনানন্দ দাশকে
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন