![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৬ |
সাঁতার কাটতে কাটতে
সাঁতার কাটতে কাটতে মেঘ আসলে বজ্রপাতই বহে আনে
বদলে কিছু পোড়া শরীর আর ঝলসানো মাংস গন্ধের প্রস্তুতি
আর সেই মুগ্ধতাগুলো শীৎকার — ঋত ও নৈঋত চুম্বনের
চেয়েও
পৃথিবীর কালো কামড়ের অতৃপ্ত কংকালসার শরীর, হেঁটে
যায়
নিজের জিহ্বার রক্ত পান করে নিঃসঙ্গ উট —
চারপাশে মন্দ বাতাস, আড়ালে যে গাছটি বেড়ে উঠেছে
তার ছায়ার দিকে তাকিয়ে আমি বিদ্যুতের ফলায় বুক
রাখতে রাজি
সেই লেখার পাতায় ভোর নামে
আকাশের নীল রঙে মায়া আছে
আকাশের নীল রঙে মায়া আছে স্বপ্ন আছে এমনকি বেঁচে
থাকার কামকলাও আছে, তবু দূর্বোধ্য টেক্সট — ঘুমহীন দীর্ঘরাতে
পিঁপড়ের ঠোঁটগুলো রজনীগন্ধ্যার ঝাড় থেকে বেরিয়ে
আসে
কী অসম্ভব নির্জন আর কাঁচখণ্ডে সাজানো সমস্ত অস্থাবর
নৈবেদ্য
ইচ্ছায় শুধু ঝরে পড়ে আগুন খাওয়া এবস্ট্রাকট ইমেজ
এবার খর্ব করো হিংস্র তেজপুঞ্জ — পতঙ্গের জীবন
নস্যাৎ করতে করতে
ভোরের পুব আকাশের তারাটি তুমিই
স্যাঁতসেঁতে ভৌগোলিক মানচিত্রে সাপের জিহ্বা সামনে
তোমার ঋষিকল্প
আপনি কিছু বলবেন না জানি – বলার জন্য যে আকাশ দরকার
তার থেকে বেরিয়ে আপনি কানামাছি ভোঁ ভোঁ
অসুখি ময়ূর, দেখো দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে একটি পুরনো
শ্মশান
পেরিয়ে যাচ্ছি মনখারাপের পথ
পেরিয়ে যাচ্ছি মনখারাপের পথ — আর তো কোনও উপায় রইল না
পাশের ঘরের ফ্যাকাশে অক্ষরের মধ্যে চলছে এলইডি
সিরিয়াল,
একটি নিঃসঙ্গ লোকের শার্ট রাস্তাহীন রাস্তায় হিজিবিজি
সুরের অর্কেস্ট্রা
আর তার জন্য আজ আর দায়ী করি না কোনও ঝড়কে
যে নৌকো ডুবেছে তার ছেঁড়া কাছি ভাসতে চাইছে অর্ধেক
ভোরের দিকে
আবার খণ্ড খণ্ড পাতা ঝরার সাথে যন্ত্রের মতো নির্বোধ
অস্তিত্ব
আকাশের চোখে মুখে সমান্তরাল তৃষ্ণা আছে, জল নেই-
চাঁদ জেগে আছে একা
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন