কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

শৈবাল তালুকদার

 


কবিতার কালিমাটি ১০৭

 

কবিতা ও নারী

 

কবিতার মতো কস্তুরী গন্ধ মেখে থাক

কাছে তবু দূরে দূরে রাখ

দূরের আভাস তবু কাছে কাছে থাকে  

অনুভবে প্রেম মেখে রাখে

 

চেয়ে দেখ তবু চেয়ে দেখ না

দৃষ্টি তবু সরে সরে থাক

চোখ যেখানে যায় চলে যাক

আনত নয়ান মর্মে মিশে থাক

 

যতটা কাছাকাছি থাক

যেটুকু না ছুঁয়ে, ছুঁয়ে থাকা

আলিঙ্গনে নাই বা নিলে যদি

হৃদয়ের সংগোপনে মাখা

 

যতই তুমি কৃপণতা করো

আমার যত মগ্নতার ঘোর

কবিতা অশেষ করে কৃপা

কবিতায় ভালোবাসার ভোর

 

করোটিতে কোরাস

 

ধুপছায়া জ্যোৎস্না কবেই মিলিয়েছে

গাঢ় অন্ধকার

সিঁড়ি ভাঙ্গে

করোটির

 

বেহেশতী ফেরীওয়ালা মুখোশ ফেরী করে তোমার নাম গায়

আমি আর কাউকে চিনতে পারি না

মুখোশের আড়াল থেকে  

স্কুল পড়ুয়া মেধাবী যে তরুণী,

উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় চোখ জোড়া যার -

তরুণী কি,

মুখোশের আড়ালে এখন আর কিছুই দেখি না

 

তরুণ কবি, যার চোখে স্বপ্ন খেলা করে

মুখোশের আড়ালে সেই চোখ,

শ্বাপদের হিংস্র প্রতিসরণে কবিতা খোঁজে না আর

 

আমাদের বাগানে যেখানটায় প্রজাপতির ওড়াওড়ি ছিল,

শিউলি আর হাস্নুহেনার পাগলপারা ঘ্রাণ -

সব উপড়ে ফেলে সেখানে একটা বিশাল উইয়ের ঢিপি, 

জ্ঞানের ফোয়ারা যেন

 

নিয়ম করে তার জ্ঞানের বিতাড়ন

 

এই পাখি উড়ো না

আর গান গেয়ো না

এটা কোর না

ওটা কোর না

কিছুই আর কোর না -

 

আমার মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরণ

ফুল খোঁজে

পাখি খোঁজে

গান খোঁজে

মানুষ খোঁজে

 

মুখোশের আড়াল ভেঙ্গে কেউ কেন সাড়া দেয় না

মানুষ কি মুখোশ এখন

নাকি মুখোশ মানুষ

 

হা..রা...ম..জা..দা...

আমার মানুষ ফিরিয়ে দে

আমার এই মুখোশ চাই না

আমার ফুল ফিরিয়ে দে

আমার উজার করা গান

আমার পাখি ফিরিয়ে দে

আমার জ্যোৎস্না রাতের তান

আমি আর এ অন্ধকার চাই না

আলো চাই... আলো...

হ্যাঁ... আমি নরকেই যাব।

 

স্মৃতি

 

ভাসছি দেখো,

হাসছি দেখো,

কাঁদছি নাতো, একটুকুনো

 

মুখশ্রীতে

ভ্রুভঙ্গীতে

সুখস্মৃতিতে, মন হারানো

 

অল্প বেলার

গল্প বলার

স্বপ্ন কত, মন মাতানো

 

টরে টক্কা

এক্কা দোক্কা

সকাল ছিল, দুপুর ছিলো

 

সাঁঝ সকালে

ঝিম বিকেলে

মন হারালো, মন হারালো

 

হাজার রাতের

স্বপ্নে বিভোর

কোন বালিকা, পূর্ণ হল

 

কষ্ট নিয়ে

বুক পকেটে

কোন সে বালক, ঋদ্ধ হোল

 

সর্ষে ফুলে

আলোর ঝিলে

ডাকতে যখন, হাত ইশারায়

 

বালক বুকে

চন্দ্রালোকে

কাঁপত তিতির, তারায় তারায়

 

সন্ধ্যা নামে

স্নিগ্ধ যামে

কার কথা আজ, কে যে ভাবো

 

সূর্য পাটে

সন্ধ্যা তটে

সিঁদুর বেলা, সবতো ছিলো

 

কষ্ট প্রহর

নষ্ট প্রহর

অষ্ট প্রহর, কোথায় গেলো।

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন