কবিতার কালিমাটি ১০৭ |
এই রাত
শীত কত সাহস জানে। হিনডন নদী এক ডিগ্রি
তাপমাত্রায় পড়ে আছে। স্থির ডালহ্রদ জমে বরফ।
ঘরের কোণে উত্তপ্ত রুম-হিটার। ঘন কুয়াশার
চাদর।
অস্থির নিথর ট্রেনের কামরা। ঘণ্টার পর
ঘণ্টা।
নাইট শেলটারে মানুষগুলো রাত কাটাচ্ছে,
কম্বল গরম হচ্ছে
দিল্লির রাস্তায় গহন শীতের রাতে নারীটির
চোখে জল জমে যাচ্ছে --
অপেক্ষার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে পুরুষটির
কণ্ঠস্বর
বেশ তীব্র ও কর্কশ...
না, আজ আর শেলটার নয়,
হাতে কুঠার কিংবা ক্যারাটে দেখাবে ও
দেখবে এই রাত
ক্ষত
কলঙ্কিত চিরনিদ্রায় একাকী কিশোরী। শূন্য
ঘর।
জলভরা চোখে কে-যে আপন আর কে-যে পর।
পিঞ্জরে দণ্ডায়মান তোতার নিরানন্দ ক্ষীণস্বর।
কম্বলের নীচে চাপা পড়ে আছে সমস্ত ক্ষত।
সৌভাগ্য-দুর্ভাগ্য শব্দগুলির ভীত স্পর্শে
বন্যতা
জাগে। কে বা কারা চোখে ধুলো দিয়ে
গা ঢাকা দিল কোথাও। আইন-আদালত
চক্র এঁকে যায়।
স্রোত
অলিভ ফল থেকে স্রোত হয়ে যাচ্ছে
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, অলিভ
পামেস্ অয়েল।
জোয়ারভাটায় পড়ে থাকে পার্কের
সবুজ শরীর। সুনসান রাস্তায় অনাথ
পশুর দল ভিড় করে বসে। সাবধান পথিক।
উত্তরপ্রদেশ-এর মহারাজপুর বর্ডার উত্তপ্ত
হয়ে জড়িয়ে যায় উষ্ণ আলিঙ্গনে।
এখন শোভাযাত্রার ফুল ফুটে যাচ্ছে
ভরাদুপুরে রোদে--
জীবননামা
শুটিং চেস্ ঘোড়সওয়ারি...
ছিটকে পড়ছে রং-রঙিন ক্যানভাস।
বাচ্চাদের কলরবে ভাসছে নরম ঘাসের
জমি। ওড়ার স্বপ্ন সত্যি হলে সার্থক
জীবননামা। স্বতন্ত্র অস্তিত্ব খোঁজে
সম্পৃক্ত নারীটির হাতে ----- প্রাকৃতিক
বাদ্যযন্ত্রটি এক্সট্রিম লেভেলে বেজে
চলে অবিরাম
ছোটর ওপর সুন্দর প্রকাশ -
উত্তরমুছুন