কবিতার কালিমাটি ১০৭ |
অভিপ্রায় মরে গেছে
অভিপ্রায় মরে গেছে
একদিন বেঁচে ছিল
অবিরত স্বপ্ন দেখেছে
শুধু রাতে নয় এমনকি প্রকাশ্য দিনেও
সেটাই ছিল তার অতি প্রিয় শখ
দুপুরের রোদে স্বপ্ন শুকিয়ে যায়
খিদে প্রসারিত হয় জংলা ঝোপের মতো
কুয়োর অতল থেকে অনেক গভীর
খিদের খোঁজে কলম এগিয়ে যায়
খোলা পৃষ্ঠার অভিমুখে
চালচিত্র
প্রথা ভেঙে রাস্তা বানিয়েছি
রাস্তার উপর কিছু লোক জড়ো হয়ে
চিৎকার করে পাতা ঝরিয়েছে
শেষ বিকেলের আলোয়
কিছু ঘর তৈরি হয়েছে ফুটপাথে
সন্তান সন্ততি সহ রাস্তা রাতে শুয়ে আছে
গভীর রাত্রি তাদের পাহারা দেয়
দিনকাল
শুধু তার নামগান করো
সকালে বিকালে বলো তার কথা
অবিরাম নামগান করো
শঙ্খ বাজাও উলুধ্বনি দাও
খোল করতালে বিমোহিত করো
স্থান কাল পাত্র সহ চারিদিকে
ভরে দাও তার কথা, তার প্রতিধ্বনি
বিলিয়ে দাও তার হাসিখুশি
তবে একটু আড়ালে প্রিয় বন্ধুর কানে
তার মুন্ডপাত কোরো সংগোপনে
বিনিময়
ভালবাসা নাও, বিনিময়ে দিও উষ্ণতা
চুপ থেকো না শুধুমাত্র নিপাট গ্রহণে
কিছুটা ফিরিয়ে দিও গাছ ও মাটিকে
ভোরের শিশির গায়ে মেখে
জল দিও শুষ্ক হৃদয়ে
বেলাশেষে নদীকে সম্মুখে রেখে
নিজেকে ছড়িয়ে দিও বালিতটে
ঘাসে ঘাসে, লতায় পাতায়, প্রকৃত পাখির ডানায়
আকাশকে স্থান দিও মনের গভীরে
ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনবেশ ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনবিমল চক্রবর্তী। জামশেদপুর।