কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

পৃথা কুণ্ডু

 

অর্বাচীনের রবিযাপন  

   


      

(পর্ব ২) 


দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না, সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি দিব্যি তো লিখে বসে আছেন আচ্ছা, কে আপনাকে বলল বলুন তো, খাঁচাটা সবসময় সোনারই হবে? অবশ্য খাঁচা তো খাঁচাই, সে সোনার হোক বা লোহার আপনার তোতাকাহিনির বেচারা পাখি তো সোনার খাঁচার মধ্যেই মরল। তার চেয়ে বোধহয় অর্বাচীনের কপাল ভাল, সোনার ঝলকানি চোখে লাগে নি বলেই হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর জন্য তার অমন উথলে ওঠা মায়া জাগে না মরীচিকার মত।

আসলে দিনগুলো বোধহয় হারিয়ে যায়নি, লোহার খাঁচার এককোণে পড়েই আছে। আপনিই হারাতে দেন নি, ইচ্ছে করে। আর একটু কড়া করে বলি, ষড়যন্ত্র করে। আর আপনার ষড়যন্ত্রের সঙ্গীর কথা না বলাই ভাল বেশি। লোকে আবার পাঁচ কথা বলবে।

খুব হাসি পাচ্ছে, না? ছবির আড়ালে মুখ টিপে হাসছেন আর ভাবছেন, ওরে অর্বাচীন, লোকে আর পাঁচ কথা বলেনি কবে, যে আজ সেই নিয়ে ভাবতে বসলি! পারলে আর এক বার শুনে নে, “কাটল বেলা হাটের দিনে/ লোকের কথার বোঝা কিনে...”  

থাক, এ গানটা শোনার কথা বলবেন না এখন। সব ভুল হয়ে যাবে, অর্বাচীনের না-বলা সব কথা ভাসিয়ে দিতে খুব মজা লাগে বুঝি? এমনিতেই তো অর্বাচীনের কথা বলা চলে না, ভাবা চলে না, ভুল করে কিছু একটা ভেবে, বলে ফেললে শুনতে হয়, ও ভাবনা অন্য কারো থেকে চুরি!  তার খাতায় বড় বড় করে লিখে দেওয়া হয়, “হুবহু বই থেকে টুকে দেবে না। মৌলিক রচনা জমা দেবে।” কিন্তু ওই কথাগুলো তো বইয়ের পাতায় ছিল না কোনদিনই! মনের মধ্যে একটু একটু করে ফুটে ওঠা একটা ছবি যদি কথা হয়ে বেরোয়, তাহলে কি সেটাকে চুরি বলে? হয়ত বলে। ভাবচুরি। সে কথা তো আপনিই বলে গেছেন, “নিন্দুকেরা জানতে পারে নি, অনেক পরে ভাবচুরিতে হাত পাকিয়েছি।”

কেউ যদি বলেন, ছবিটা এল কোত্থেকে? তারও তো একটা ‘সোর্স’ আছে, সেটাকে ‘সাইট’ করতে হয়, এটা ‘স্কলার’-এর দায়, এটা রিসার্চ এথিক্স অত ভারি ভারি কথা মাথার ওপর দিয়ে যায়, আর অর্বাচীন কেন ‘স্কলার’ হবে বলুন তো? হতে পারবেও না, চাইবেও না। দায় যদি থাকে, সেও আপনার গানের। আরও বিশেষ করে বলতে গেলে, আপনার ‘গানের গান’-এর।

‘গানের গান’- শব্দদুটো নিয়ে যে এত চর্চা হয়েছে, সেসব তো অর্বাচীন জেনেছে অনেক পরে। কিন্তু গানগুলো যখন তার কাছে আসে, তখন তো তার মধ্যে শব্দ, সুর আর ধ্বনি ছাড়া আর অন্য কিছু ছিল না। প্রথম যেদিন এসেছিল... অর্বাচীন তখন নেহাতই ছোট,  আপনার সঙ্গে ‘জানাশোনা’ অবশ্য তারও আগে। মানে আপনি কবে জন্মেছেন, কি কি লিখেছেন, আপনার সামনে ২৫শে বৈশাখ একটু নাচ-গান করতে হয়, এইসব জানা আর কি। অবশ্য এটাকে যদি জানা বলা যায়, তবেই।

সেবছর ‘কপিরাইট’ ওঠা নিয়ে অনেক কথাবার্তা চলছিল চারদিকে।  সেসবের মানে বোঝার ক্ষমতা ছিল না। যাই হোক, ইস্কুলে কোন একটা অনুষ্ঠানের জন্য কোরাসে একটা গান তোলার কথা ছিল। একটা ক্যাসেটের সেট দেওয়া হয়েছিল, প্র্যাকটিসের জন্যই হাতে পাওয়া। যেদিন পুরোটা শুনবে বলে চালাল কচি-অর্বাচীন, সেদিন কী কারণে যেন তার খুব মন খারাপ। খুব ভালবাসার কোন বন্ধু, যাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের ঘাড়ে দোষ নেওয়া যায়, সে কষ্ট দিয়েছিল? নাকি সামান্য কারণে বা অকারণে ভেতর থেকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মত শাস্তি পেয়েছিল, কেউ মিথ্যে বলেছিল তার নামে? নাকি বাড়িতে বড়দের অন্য কোন জটিল সমস্যার আঁচ এসে পড়েছিল তার গায়ে? কে জানে, এতদিন পরে আর মনেও নেই, আর ছোটদের মনের কথা অত মনে রাখতে আছে নাকি! শুধু মনে আছে, খুব কষ্ট হচ্ছিল, তবু চোখের জলে নাকের জলে হয়ে কোনরকমে হোমওয়ার্ক সেরে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ক্যাসেটটা নিয়ে বসা।  বিভিন্ন শিল্পীর গাওয়া  গানের সংকলন। প্রথম গানটা কী ছিল তাও মনে নেই। দ্বিতীয় গান, ‘ধ্বনিল আহবান মধুর গম্ভীর...’ একটা বদ্ধ ঘর, রোজকার যত মলিনতা দেওয়াল জুড়ে... তুচ্ছাতিতুচ্ছ একটা অস্তিত্বের মাঝে এমন করে এ কার ডাক ভেসে এল! ক্লান্ত, ধুঁকতে থাকা সন্ধ্যেটা এক মুহূর্তে উবে গিয়ে এক সকাল আলো, খোলা মাঠ, বিশাল আকাশ- “দিকে দিগন্তরে ভুবনমন্দিরে শান্তিসঙ্গীত বাজে... ধ্বনিল রে-এ-এ ধ্বনিল রে-এ-এ”

একটা স্বর থেকে আর একটা স্বরের মধ্যে ফাঁক নেই। ধ্বনির অনুরণনসঙ্গীত’ শব্দটাকে এক পর্দায়, অচঞ্চল সুরে আর ধ্বনিতে ভর করে শোনা। ‘মধুর’ আর ‘গম্ভীর’ শব্দদুটো ‘কানের ভিতর দিয়া মরমে’ ঢুকে গেঁথে যাওয়া। এই গেঁথে যাওয়ায় রক্ত ঝরা নেই, ক্ষতে প্রলেপ পড়ার অনুভূতি আছে। সেই প্রথম। গানের গান শোনা, শোনার মত করে— যদিও গীতবিতান বলে, এ গানের উপ-পর্যায় ‘উৎসব’।  হলই বা, গানেরও যে গান হতে পারে, ধ্বনির গান, স্বরের... তার আগে কে আর বুঝিয়েছিল! আবছা আবছা বোঝা, অনেকটাই না বোঝা, কিন্তু ভেসে যাওয়া। কলুষ-কল্মষ বিরোধ বিদ্বেষ যত কিছু... একটা একটা শব্দ উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে নির্মল, নিঃশেষ হয়ে যাওয়া।

তারপর সময়ে অসময়ে অনেক গান শোনা।  কিন্তু বিশেষ করে ‘গানের গান’ গুলো খুঁজে বেড়াবার সেই গোপন অভিযান। ‘আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ, সুরের বাঁধনে।’ এ গান গীতবিতান খুলে এমনি পড়ে গেলে মনে হয়, শুধুই আনন্দের, মিলনের গান- আর তেমন কোন ‘আইডিয়া’র ভার নেই এতে। আপনি কিন্তু বলেই দিয়েছেন এক চিঠিতে— “কিন্তু এগুলো গান সে কথা মনে রেখো-- সুর না থাকলে এ যেন নেবানো প্রদীপের মত...” এত কৈফিয়ত দেবার কী দায় পড়েছিল, শুনি? গানটা তো বেঁধেছেন শুরুর দিকে বেশ খোলামেলা সুরের চলনেসা দিয়ে শুরু করে মধ্যসপ্তকের মধ্যম, পঞ্চম, ধৈবত হয়ে কোমল নি পর্যন্ত বিস্তার ফুরফুরে একটা ভাব, সুরের বাঁধন তো আটকে রাখার নয়, মুক্তি দেবার—তাই ‘বাঁধনে’ বলেও চড়ায় গলা ছেড়ে দেওয়া- তার সপ্তকের সা-তে বকুলগন্ধ, কবির ছন্দ... বাঃ, কীসব মিষ্টি মিষ্টি কথা। মনে হবে জগতে যেন কোথাও কোন সমস্যা দুঃখ কিছু নেই, থাকলেও আপনি তার ধার ধারেন না।

এদিকে আপনি তো মোচড়টা আসার অপেক্ষায়, ‘দাঁড়া, এইবার কি করি দ্যাখ!’ ‘রঙিন ছায়ার আচ্ছাদনে’র পর আবার ‘আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি’ যখন এল, সুরটা কেমন বদলে গেল, ‘সঙ্গে’ আর ‘বেঁধেছি’তে যেন ধাক্কা লাগল একটা, তারসপ্তকের রে আর কোমল গা লাগিয়ে। বাঁধতে চাইলেই কি আর বাঁধা যায় এত সহজে? আমি যে তোমায় বাঁধতে চাইছি, তুমিই তো জানো না। বুকের কাছে টান পড়ল একটা, অসহ্য সুখের বেদনা নিজেকে জানান দিয়ে হারিয়ে গেল সোনার আভায় কেঁপে কেঁপে ওঠা গানের তানের উন্মাদনায়, অথচ তুমি জানলে না। এই কাঁপন, এই উন্মাদনা কি আমি একা বইতে পারি? গানটা শেষ হল এক অসম্পূর্ণতায়, আমি ভাবলাম বেঁধে ফেলেছি, অথচ তোমার দিক থেকে কি কোন স্বীকৃতি এল সে বাঁধন স্বীকারের? 

এই অসম্পূর্ণতা থেকেই আবার চলা। ‘আমার ব্যথা যখন আনে আমায় তোমার দ্বারে।’ এও বিরহের গান, কিন্তু ‘গানের গান’ হয়ে উঠতে বাধা কোথায়? (আ)স্থায়ী আর অন্তরা জুড়ে বেজে চলা একটা অস্থির, প্রায়-মরিয়া হয়ে ওঠা ব্যথার আর্তি যেন আশ্বাস পায় সঞ্চারীতে,  ‘আমার ব্যথা যখন বাজায় আমায় বাজি সুরে’- মন্দ্র থেকে মধ্য সপ্তকে ওঠে এক বিশ্বাসের জোরে, ‘সেই গানের টানে পারো না আর রইতে দূরে।’  আভোগের সুর অন্তরার মতই, কিন্তু বদলে যায় অভিব্যক্তি, ঝড়ের রাতে পাখির মত দিশেহারা ছটফটানি এসে যখন লুটিয়ে পড়ে গান হয়ে, তখন তো অন্ধকারে দরজা খুলে বেরিয়ে আসতেই হবে তোমায়। সমর্পণের চেয়ে বড় জিতে যাওয়া আর কিছু আছে কি? 

এমন করে জিতে যাওয়ার কল্যাণেই তো মুখোমুখি হওয়া।  তুমি আর আমি। কখনও তুমি বলবে আমায়, ‘তোমায় গান শোনাবো তাই তো আমায় জাগিয়ে রাখো’, আবার কখনও বলবে, ‘আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান।’ অনেকে ভাবতেই পারেন, এ-গানের ‘আমি’ মানে ‘আমি’ই।  হতেই পারে। যিনি যা ভাবেন, তাঁর কাছে তা-ই সত্যি হয়ে থাক— সে জায়গা তো চিরকালের জন্য খুলেই রেখেছে ‘গানের গান’। অর্বাচীনের কিন্তু মনে হয়, এ গানের ‘আমি’ আসলে ‘তুমি’—যে ‘তুমি’ কোনদিনই কিছু চাওনি আমার কাছে। কেবল দিয়েছ, শুনিয়েছ । আর চাওনি বলেই, অবাক হয়ে কেবল শুনতে শুনতে আমারও সাধ জাগে, ‘মনে করি অমনি সুরে গাই/ কণ্ঠে আমার সুর খুঁজে না পাই।’ এ গান একেবারেই যেন ‘আমার’ হয়ে ওঠে ‘কইতে কি চাই কইতে কথা বাধে’তে এসে। কথায় বুঝি, হার মেনে পরাণ কাঁদার কথা। কিন্তু সুরে? এমন তরঙ্গের মত উচ্ছ্বাস, ফাঁদে পড়ার খুশি, চারপাশে সুরের জাল বুনে তাতে নিজেকে ছড়িয়ে দেবার সুখ! যে হার মেনে এত আনন্দ, সে হার হাজারবার, লাখোবার মানব! বাউলাঙ্গের মাতন-টানে ‘আমার বেলা যে যায়’ গানেও সেই একই কথা, ‘তোমার কাছে বারে বারে/হার মেনেছি এই খেলাতে... বিশ্বহৃদয় পারাবারে রাগ রাগিণীর জাল ফেলাতে।’                                          

একেবারে অন্য মেজাজের আর একটা গান, ‘তোমার আমার এই বিরহের অন্তরালে’। গীতবিতানের উপ-পর্যায় বিভাগ মানলে এ গান ‘বিরহ’-উপ পর্যায়ে পড়ে, কিন্তু ভাবের দিক দিয়ে এও কি ‘গানের গান’ নয়?    প্রথম যখন শোনা, কিছু না বুঝেও কেমন করে যেন মনে হওয়া, পুরো গানটাই দাঁড়িয়ে আছে ‘কত আর সেতু বাঁধি সুরে সুরে তালে তালে’- এই কথাগুলোর ওপর। আরও অনেক পরে মনে হওয়া, শুধু গানটা কেন, জীবনের এক মানেও কি দাঁড়িয়ে নেই? পাওয়া আর না পাওয়ার মধ্যে চির বিরহ, তার মাঝে সুরে সুরে সেতু বাঁধার চেষ্টা অবিরাম... কিন্তু কতই আর সম্ভব? একটু এদিক ওদিক হয়ে গেলেই বেসুরো সবকিছু। তাই বুঝি ‘কত আর’ থেকে ‘সেতু বাঁধি’তে যেতে অমন দীর্ঘশ্বাসের ভাব ফুটে উঠেও মিলিয়ে যায় গলায়?

আবার,  দীর্ঘশ্বাসেই তো শেষ নয়।  শেষ হয় ‘সুরে সুরে তালে তালে’ ফিরে। ‘তালে তালে’ এমনভাবে বলা, যেন মনে হয়, ‘শেষ হয়ে হইল না শেষ’। গানের গান তো এমনই হয়। আবর্তনেও বুঝি শেষ নেই, সা-তে শুরু হয়ে পা-তে থেমে যাওয়ার ভান। ‘তালে তালে’ সুর বেঁধে রাখার চেষ্টা ওই পঞ্চমেই-- যতদিন শ্বাস থাকে।                        

 আর যখন শ্বাস ফুরিয়ে যায়, যখন শুকিয়ে যায় জীবন, হারিয়ে যায় সামান্য অবলম্বনটুকুও, মনে হয় এই ‘একমাত্র’কে হারিয়ে কেমন করে বেঁচে থাকব, ক্ষোভে অভিমানে যন্ত্রণায় মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে হয় জীবন থেকে, তখনও তো জীবনে ফেরায় এমনই এক ‘গানের গান’। ‘জীবনমরণের সীমানা ছাড়ায়ে/ বন্ধু হে আমার রয়েছ দাঁড়ায়ে।’  যে ‘আমি’ এত তুচ্ছ, অর্বাচীন— তাকেও কেমন অনন্তের সাথে হাত ধরাধরির সীমানায় এনে দাঁড় করিয়ে দেয় এ গান। এইটুকু হৃদয়ে জায়গা নেয় বিজন আকাশ, সে আকাশ বিজন কেন? এমন অনেক ছোট ছোট ‘আমি’ তাদের সব দুঃখ, শোক, হারানোর ব্যথা নিয়ে মিশে আছে সে আকাশে, তাই বুঝি আলাদা করে আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না? ‘নেই’কে আর ‘নেই’ বলে মনে হয় না, ‘ভুবন মিলে যায় সুরের রণনে/গানের বেদনায় যাই যে হারায়ে।’

আজ বলতে বাধা নেই, এত যে প্রলাপ বকে চলেছে অর্বাচীন, সেসব কোথায় থাকত, যদি এমনই এক ডিসেম্বরের রাতে এ গান না শোনাতে!

আচ্ছা, কার সঙ্গে কথা হল এতক্ষণ? যিনি গান বেঁধেছেন, তাঁর সাথে, যিনি গান শোনালেন তাঁর সাথে, নাকি... যাকগে, অত আর ভেবে কাজ নেই। ‘আপনি’ থেকে ‘তুমি’তে নেমে এল যে কখন, তাও তো খেয়াল নেই! ও ঠিক আছে, অর্বাচীনের সাত খুন মাপ।                   


1 কমেন্টস্:

  1. এই সব ভাবই মনে জেগেছে বারবার, যিনি গান বেঁধেছেন, এবং আরও বিশেষ করে যিনি প্রতিটি উল্লেখিত গান শুনিয়েছেন, তাঁ(দে)র প্রতি, কিন্তু তা' ব্যক্ত করার এমন ভাষা কোনোদিনই আয়ত্তে ছিল না! আগেও বলেছি, লেখিকারভ প্রতি এক সস্নেহ ঈর্ষাপোষণ ছাড়া আর কিছুই করার নেই!

    উত্তরমুছুন