কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

মারিও বেনেদিত্তি

প্রতিবেশী সাহিত্য


মারিও বেনেদিত্তি কবিতা       

 

 (অনুবাদ : জয়া চৌধুরী)  



   
কবি পরিচিতি

উরুগুয়ের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মারিও বেনেদিত্তি ১৯২০ সালে উরুগুয়ের পাসো দে তোরোস শহরে জন্মগ্রহণ করেন। হিস্পানিক সাহিত্যে ৪৫এর জেনারেশনের কবিদের মধ্যে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র তিনি। আশিটির বেশি বইয়ের রচয়িতা এক সাহিত্যিক ইংরেজিভাষী দুনিয়ায় খুব বেশি পরিচিত নন। কুড়িটি ভাষায় অনূদিত  হয়েছে তাঁর রচনা। বিখ্যাত সাপ্তাহিক ‘যাত্রা’য় নিয়মিত কলাম লিখতেন তিনি, যেটি  ১৯৭৩ সালে মিলিটারি সরকার বলপূর্বক বন্ধ করে দেয়। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি নির্বাসিত থাকেন উরুগুয়ে থেকে। সেইসময় আর্জেন্টিনায় বসবাস করেন। ২০০৯ সালে মন্তেভিডিওতে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় মারা যান। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ক্ষণিক রচনাবসান, নির্বাচনের ঝড়, জায় ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য




ছোট ছোট মৃত্যু

স্বপ্নেরা হলো ছোট ছোট মৃত্যু
মৃত্যুর আগাম মহড়াগুলি দিয়ে তুমি ঠকে থাকো
বদলে জেগে ওঠা বিষয়টি আমাদের কাছে মনে হয়
এক পুনরুত্থান আর সন্দেহগুলির জন্য
আমরা ভুলে যাই যে কত আগে ওটা শোনা গেছে
ওর আগুন এবং ওর গুহা ওর অর্গাজম
ওর গৌরব ওর ভয়ভীতিগুলি থাকা সত্ত্বেও
স্বপ্নেরা হলো ছোট ছোট মৃত্যু
তাই ভোর যখন এসে পৌঁছোয়
মুহূর্তে বিস্মৃত হয় স্বপ্নেরা
হয়তো বলতে চায় আমরা যা নিয়ে উদ্বিগ্ন হই
তা হলো মৃত্যুকে ভুলে যাওয়া
ব্যস ওটাই।



MONSTRUO

রাক্ষস

কী লজ্জার
আমার ভেতরে কোনো রাক্ষস বসে নেই
আকাশের সামনে দাঁড়িয়ে আমি ধূমপান করি না পাইপে
সবকটা ক্ষেত্রেই মনে হয় আমার হাড়গোড়
আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর আমার ছায়াও
শনিবারের রাতগুলোয় আমার বুকটাকে ভরিয়ে তুলি সাহসে
আমার নাক কী লজ্জার মোটেই তা গ্যেটের মতো নয়
আমার বিষাদ নিয়ে আমি অনুতাপ করতে পারি না
আর প্রায় সবটা সময় ভুলে থাকি যে আত্মহত্যা বিনি পয়সায় পাওয়া যায়
নারীদের আমার ভালো লাগে কী লজ্জার ব্যাপার
বিশেষ করে তারা যদি তন্বী আর আত্মগরিমাময় থাকে
তৃষ্ণার সঙ্গে ক্ষণিক আবেগকে মিশিয়ে না ফেলে
কী লজ্জার হে ভগবান আমি লোনেস্কো-কে পছন্দ করি না
যাইহোক আমার ভেতরে তো আসলেই কোনো রাক্ষস বসে নেই।  
আমি ভগবানের মতো প্রতিজ্ঞা করতে চাই যেমন করে তিনি আদেশ দেন
আর গদ্যের মানুষের মতো ইতস্তত করা
বিকেলগুলোয় কী লজ্জা শীতের আরো ঘন
অন্ধকার বিকেলগুলোয় কী লজ্জা
জানালার পাশে বসতে আমার ভালো লাগে  
কীভাবে আমার পাওনাদারদের মাথায় ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি দৌড়োয়
আমাকে প্রতীক্ষায় রাখে হয়তো তোমার জন্য করা অপেক্ষা  
এতটাই যেন মৃত্যুকে মনে হয়েছিল কোনো ভুল বিপদসংকেত।  

** ইউখেনে লোনেস্কো - ফরাসী নাট্যকার







1 কমেন্টস্: