কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

কচি রেজা

প্রার্থনা ও  স্ফিংক্স 

প্রার্থনার পর আমি অনুভব করি নিজের ভাঙা কন্ঠস্বরপ্রার্থনা অনুমোদিত হয় ভেবে আবার হাঁটু ভেঙে বসি। মাঝে মাঝ স্ফিঙ্কসের মতো পাথর সময় আসেএক  ক্যারাভ্যান বালু দিয়ে কারা যেন বানায় আমাকেও বিষয়ে আমার হাসিই সবচেয়ে শুদ্ধ যন্ত্রণা



র‍্যাঁবো ও মৃত্যু

আশ্চর্য এক ভঙ্গিতে আমি মরে যাব! মনে হবেএই তো চোখ মেলে চেয়ে হেসে টেনে নেব র‍্যাঁবোর বই। যেন আমি আগের মতোই! হ্যাঁ মৃত্যুকেও আমি এই ভঙ্গিতেই পাঠ করব!
জীবন রোজ একটা না একটা গলির ভিতর ঢুকে যাচ্ছে। হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে এসে দেখি  হাঁটু ছিলে গেছে। কতবার কানে এসেছে কবর খোঁড়ার শব্দনীরজা জন্মাচ্ছে  তবু! সেই মহা শব্দহীনমহা অন্ধকারে। আবার হয়তো চৈতন্য হারাবেসাজিয়ে রাখবে হাতের মেহেন্দি! হয়তো দেখবে বেঁচে থেকে যে নক্ষত্র দেখেনি কোনোদিন! আবার পাখির সুর আর ফুলের গন্ধের নেশায় এই জগতে কাটাবে আরো কিছু তামাটে  সময়!


নীরজা 


যে মেয়েটি বিবাহিত হয়ে লালঝুরি চুড়ির সঙ্গে পড়েছে সোনার বেঁকিচুড়ি! হাইহিল  জুতোর শব্দে কাঠের দোতলা টক টক করে কাঁপাচ্ছে, কেউ আসলে তার মুখ দেখেনি! এখন অপরবেলায় তন্ন তন্ন করে খুঁজছি নিজেকে লেপ-তোষক রাখার বড় বাক্সটার ভেতর, সিঁড়ির অন্ধকারে অথবা দোতলার বাড়তি চালের বিপজ্জনক প্রান্তে খুঁজছি তাকে! খুঁজছি মায়ের রান্নাঘর, খুন্তি উঁচিয়ে পেটানোর ভঙ্গিতে! ভ্রান্তির এক চরম বিভ্রম ফিরে আসে তখন, ক্লাশ সেভেনে যে ছেলেটি একটি গানের কলি লিখে ফেরত দিয়েছিল নোটবই সেই কেবল যখন তখ ডাকে নীরজা, নীরজা!

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন