মোনো অথবা মনো-লগ
গোলাপি চিতার গন্ধ,
গা গুলিয়ে উঠছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ওরা একই ভুল করে
যাচ্ছে। আমাদের নায়ক পায়ে তীর লেগে ঘুমিয়ে পড়েছিল। জাগবার পরে সেঁকা ফলের তৈরি
পায়েস আমরা নিবেদন করেছিলাম। মাছুয়াদের গ্রাম থেকে সানাইয়ের রাগাশ্রিত সুর ভেসে
আসছে। ওখানেই বিবাহ স্থির হয়েছে অদীপের। পাত্রী গরমের টোকো মদ। বিয়ে করার
আনন্দের ভেতর ছিল সামান্য নক্ষত্রযুদ্ধর পাহাড়ি সঙ্গীত।
মহাসাগরের জলে হারানো থেকে খুঁজে পাওয়া অবধি নাগপুষ্পের বিশাল চাষজমি ফুঁড়ে দূর সম্পর্কের রাঙাদি শেষ বেদেনি। সব চিনিয়ে দেওয়া সব বুঝিয়ে দেবার পারমিতায় উপক্রমণিকা পাঠ রাঙাদির সঙ্গেই। সেটা ছিল শাবকের বাসা ছেড়ে প্রথম উড়ান। যেন বলছিস এই রাজত্ব দিয়ে গেলাম মৎস্যবতী তোকে। ছাড়তে বড় মায়া। পিঠের ওপর ঝুঁকে পড়ে একে একে সব গয়না গুনে নিচ্ছিলে - সব দিক দিয়ে বিশ্বাসী তুমি। ঘরভরা মানুষের ভিড়ে স্পর্শময় সব পুরস্কার ছিল বিদ্যুতপরিবাহিত। এই আশীর্বাদ পর্ব আর পাশে মিসেস বিম্ববতী। গায়ে হলুদের মানে গায়ে গা লাগানো হলুদ আর আমাদের ফোটোসেসনের বিলম্বিত লয়।এ ই সিঁড়ি দিয়ে উঠে অন্য অনেক লাউডগা সিঁড়ি বেয়ে রোহিণী মন্ডলে প্রবেশ আমার। অভিজাত সাহিত্যিকদের পরকীয়ায় তেমন র্যাফ্লেশিয়া গন্ধ নেই। আমি মধ্যবিত্ত আমার ওপর কোটি গ্যালন জলস্তরের চাপ। আমাদের ইউক্যালিপটাস বাগানে ধনিষ্ঠার সোয়ামি আর সন্তান। লুকোচুরি খেলা আর ঘুড়ির ছোট ছোট সুতো ছাড়া।
বিষয়বুদ্ধি তোমার ভাসালো আমাকে। তুবড়ির ফোয়ারা তুলল এই সাতদিনে। আইবুড়ো ভাতের মাছের মুড়ো নির্লিপ্ত চোখে তাকায় নি। আইবুড়ো ভাঁড়গুলো অঝোর নয়নে কেঁদেছে। বিয়ের পরেও তুমি আমার রাঙাদি। আমি ঝাঁপিয়ে পড়ছি ফুলশয্যার অবীর্যবান শয্যায়। যেরকম শিখিয়েছি ওহ মেয়েটা পয়লা প্রস্তাব দিচ্ছে তার মানেই ওর নটঘট পুরনো গিঁট আছে। জেনে নিস ভাই। তোর সকালের বিছানায় ডেকে নেওয়া জড়াজড়ি চোখে পড়ল আর্যপুত্রীর। আর লজ্জা পেয়ে নিজেই পালাল। কাল আমি সিনেমা হলে হাফ টাইমের পর সিট ছেড়েছি। তোর থেকে ১২ বছরে ছোট বালিকাবধূর জন্য। ননদিনী রায়বাঘিনী আমি। দুয়েকটা উত্তমকুমার মার্কা প্রেমালী দৃষ্টিও ছুঁড়েছিস বিয়ের পিঁড়িতে বসে আমার দিকে। জানি ও অবাক চোখে দেখেছে সিঁড়ি দিয়ে আমাদের জড়াজড়ি উঠে যাওয়া... কলকল... তোর কাত্যায়নী ভ্যাবলা... গেঁয়ো... আর আমি ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেল্টের শহুরে হন্ডাচড়া মেয়ে।তোর পছন্দের গোরোচনায় সাফল্যমন্ডিত আমাদের আয়ুর্বেদিক প্রেম। তোদের গল্পের শেষ কীভাবে হয়? কত লম্বা হয় সেলাইয়ের সুতো... ফাঁসির দড়ি... ইঁদারার হাতছানি... রশ্মি চাঁদের...
তোর কালরাত্রির কোকিলডাক বাগিচা ছাদের কুঞ্জমায়া সব জমা করে নিলাম গর্ভে। আবার আসব যখন মামার বাড়ি খয়েরি ভুলের বারকোশটি সবুজ ট্রাউজারের অপেক্ষায় থাকবে কিনা জানিনা...
দেবযানী বসুর গল্পবাঁক মনোরম প্রতিবার সুযোগ না হলেও এই গল্প যেন সুযোগ হয়ে যায় মাত্রা ছাড়া অক্ষরের মতো।দারুন লাগল
উত্তরমুছুন