তিনটি কবিতা
(১)
না-কথার ফোনবুক
তোমার রাত্রিবেলার ডায়াল
অলীক ছুরি কাঁটা জেটপ্লেনের টোন
আহা! কতদিন যে তোমার ঠিকানা শুনিনি
অসুখ জেনেও ফিরে গেলে সুতানুটি
খেলা বলেই চিনেছি সুন্দর স্বর
বয়েস বেড়ে গেল আমার
ইশারা ভাবলুম অ্যাভিনিউ
কাছে মাথা নুইয়ে ডিভাইন ডেস্টিনি
কালো শাড়ি সোনালী
এতটুকু বদলে যায়নি
ওড়ার শেষ মুহূর্তে ব্রহ্মাণ্ডের সার্কল
পিয়ানোর ক্লাইমেট অবধি
(২)
এরপর তোমার
সাথে আমার স্বল্পদীর্ঘ ছবি শুরু
এরপর তোমার
সাথে আমার নৃতাত্ত্বিক সিলেবাস শুরু
নিজেরাই বিশ্বাস করতে পারি না নিজেদের টক গন্ধ আর বিগতঘাম ... কুয়াশায় বুড়ো হয়ে যাওয়া রূপবান দানব ... এলোমেলো চোখের পাতা ... আমরা চেয়েছিলুম যেন প্রতীক হই, ধ্বনিত হই অরণ্য অথবা ভিখারিনি আদরে ... তাই বুক থেকে খুলে রাখা বুক, তাই পলক থেকে উড়ে যাওয়া চোখ ... তাই একসাথে একাকার বিবাদী আর শাহ ...
হাজার বাগিচা বয়ে এলো নাভি থেকে ... আমি ... আমরা ... আমাদের জেগে ওঠা হিরোশিমা ... আগুন ... নবগ্রহ মিছিল ... নাগালে ঈশ্বর পেয়ে আমরা পেয়ালা ঠেলে দিই মরচে পড়া আকাশের গায়ে ...
তারপর ...
রঙতুলির ঝোলা থেকে টপটপ ... প্রিয়
নাগাসাকি, তুমি কই ... কোথায় ... তোমায় খুঁজে তো
পাচ্ছি না ... নিস্তব্ধ ঘাসের মতো ঘন হারিয়ে ... ওমের সেন্সেক্স গেছো
গুঁড়িয়ে ...
দাগের কিনারায় স্থির ... কাচের জানালা পদ্মপাখি ... টিলা জড়িয়ে শুয়ে আছে বেডকভার ... যে বসন্ত রুগ্ন করেনি আমাদের, তাকে ঋতু বলি কী করে ...
এরপর তোমার সাথে আমার অপ্সরাকুণ্ডটি ...
এরপর তোমার
সাথে তেজষ্ক্রিয়তা শুরু আমার
(৩)
নদী আঁকাআঁকির পর মনে হয়
খসে পরা তারাদের বেশ যত্নআত্তি করছে তিস্তা তোর্সা
...
একতারায় নদী বাঁধতে গিয়ে আরও বেশি করে জড়িয়ে পড়েছি
নদীতেই ... বাচ্চাকাচ্চা সমেত তরঙ্গ এমনভাবে মুখ যেন কমলালেবুর থেকে বড় মহাশূন্য
নেই ... আধকাপ যতদিন না মুড়ে নিচ্ছে ... গাছের থাম থেকে দৌড়ে গেল অন্ধকারের পা গোলাকার
কামিয়ে ফেলার পর রঙবেরং বন্যার ঘড়াটি রইল মুখের পালকি পাশ ফিরলে গোটা দুপুরখানাই
বিক্রি দিই ... খরার দাম ... যদি উঠে আসে ... জল তো আর সঞ্জীবনী নয় যে মৃত ঝর্ণা থেকে সোজা চোখে
উঠে ...
ভাসানো তিন মহল্লার জল্পেশ ...
স্মার্ট লেখা
উত্তরমুছুন