কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৩

২১ রুদ্র শায়ক

দুটি কবিতা রুদ্র শায়ক


প্রান্তিকতার স্বপ্নবেড়ি খুইয়েছি বিজ্ঞাপনীমেধায় 
ভাঙা ক্ষেতের আল ধরে ঘুড়ির পিছে ঘুরে ঘুরে চন্ডিদাস পাঠ নিতে জবরদস্ত শহুরে। ক্যানভাস ব্যাগ কাঁধে মনে পড়ে মোক্তারের মায়াহরিণীর গোপন বৃন্তে রেখে আসা দৃষ্টির বীজতলা, পোঁতা কথারা ডালপালা গজিয়েছে। ইথারে এম.এম.এস পাঠিয়েছে বর্গাচাষী প্রান্তিকজন। পিতামহের বেতনভোগী ইঁদুর পোষা ছিল শখ, ঋষিতুল্য দৃষ্টি তুলে হুক্কার টানে সাঁঝের মায়া ভুলে যেত দেহতত্ত্বের গান। মহীরুহ ছিল ব্রাত্যজন।

প্রান্তিকতার স্বপ্নবেড়ি খুইয়েছি বিজ্ঞাপনীমেধায়


ফুটেজ প্রেম : বিনয় ও গণিত 

অসমাপ্ত অ্যালজেব্রা পালিয়েছে প্রেমের টানে, বহুদিনের আঁকা পিথাগোরাসের উপপাদ্যটি মুছতে মায়া লাগে। ভূ-বিদ্যা ভালো নই বলে দখলবাজ হইনি। মস্তিষ্কের ছিটকিনি খুলে শিখিনি স্তন চাষ। ডায়াল করি কবিতা ডিজিট মুঠোফোনে কবিতা, কন্ঠভর্তি তোমার উন্মাদনা। কারণ তুমি কবিতাই বোঝ না। তোমার কাছে কবিতা মানে বুকের কালো তিলজুড়ে জেগে ওঠা আলোকস্ফূরণ। অথচ আমার কাছে মামুলি জ্যামিতি। গণেশ পাইন কলমের আঁচড়ে মেকআপ করেছে অঞ্জনের ভারতবর্ষ জুড়ে, প্রেমাবতী সুভা পাঁজরের গিঁটে কবিতা বলেই; চিরকুমার বিনয় গণিত রেখে যৌন অ্যামবিশনে ভোগে ঈশ্বরীর বেদী জুড়ে; পোস্টকার্ডে উড়ে পাখি, পাখি উড়ে গায়েত্রী, গায়েত্রী উড়ে ঈশ্বরী, ঈশ্বরী উড়ে জানিয়ে দেয় বিনয়কে কোনোকালে দেখিনি...!  



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন