নেহা আমারও রুণা বন্দ্যোপাধ্যায়
-নেহা কে তুমি?
-ভালোবাসার রঙ ও বেরঙ
-কোথায় তুমি?
-রাইট অন দ্য টপ অফ লাইফ
-কার সঙ্গে?
-রুয়ামের সঙ্গে, এই তো কিছুক্ষণ
-রুয়াম পুরুষ না নারী?
-কোন্ বিচারে, লিঙ্গ না সত্তা?
সেদিন তুমুল বৃষ্টিতে নেহার কাছাকাছি। অসময়ে দরজায় এসে দাঁড়াল অফিসফেরত অরুণাভ--
-কোন্ জগতে থাকো? এতক্ষণ কড়া নাড়ছি
-স্যরি, শুনতে পাইনি
-কার ধ্যানে মগ্ন?
এখন অনেকক্ষণ বকে যাবে অরুণাভ। ও বোধহয় ফেরার পথে মনে মনে একটা ছবি আঁকছিল -– ওর আশায় পথ চেয়ে জানালায় এক ধূসর অবয়ব, যাকে সে আদরে আদরে মুহূর্তে রঙিন করে তুলবে।
আমি জানতাম, বাড়ির কলিংবেলটা বিগড়েছে। বেশ লাগে ভাবতে। কেউ আমাকে ডাকছে অথচ আমি শুনতে পাচ্ছি না। আসলে চাইছি না। খুব গভীরে ডুব দিয়ে থাকে এই চাওয়াগুলো। ছোট ছোট চাওয়া। অথচ প্রায়শই অপূর্ণ থেকে যায়। আমার এই পাগলপণ কেন জানি ছুঁতে পারে না অরুণাভ।
অরুণাভর বিরক্ত মূর্তিটা ভুলে থাকতে চাইছি। ভীষণভাবে চাইছি। চাইতে গিয়ে দেখি কেবলই মনে আসছে অরুণাভর প্রেম আর অধিকারবোধ। অরুণাভর ভালোবাসা আর অধিকারবোধ। অরুণাভর যৌনতা আর অধিকারবোধ।
আমি বুঝতে পারি, অফিসফেরত ক্লান্তি নিয়ে অরুণাভ যখন দ্যাখে আমি নিজের ভাবে বিভোর, তখন আমাকে ঘিরে ওর সারাদিনের উৎকণ্ঠা হঠাৎ নিভে যায়। আর এই নিভে যাওয়া সে কিছুতেই সহ্য করতে পারে না। কিছুতেই না।
রাতে ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় দুটো মুখ। খুব ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যের ঘ্রাণ। অরুণাভ আলতো হাত রাখে আমার স্তনবৃন্তে। এক অচেনা হাসির তরঙ্গ গড়িয়ে পড়ে আমার ঠোঁট থেকে সারা ঘরময়। খুব আলতো কেঁপে ওঠে অরুণাভর আঙুল। পরক্ষণেই দৃঢ় হয়ে ওঠে। এক পুরুষসত্তার আগমন দেখি আমার আশ্লেষহীন বিষণ্ণতায়। তখনও কোনো প্রজাপতি বাসা বাঁধে না আমার ঘরে।
আমার উন্মাদ হাসির লহরে উল্লাস খোঁজে অরুণাভ। প্রতিদিনের মতো আবার, আবার মেতে ওঠে হিমাঙ্কের নিচে রাখা আমার শরীরে আকাশের খোঁজে। ক্রমশ ক্লান্তি নামে। নিরাভরণ পতনের শব্দ শুনতে পাই আমি। আর নিঃশব্দে বাজে অরুণাভর করুণ আর্তি –- কেন, কেন জাগে না এই নারী? তবে কি অন্য কেউ? অন্য কোনোখানে?
আমি ঘুমহীন চোখে সারারাত অরুণাভকে উল্টেপাল্টে দেখি। শ্বসনের আগে ও পরে লিপ্ত থাকা বয়ানগুলো ছিঁড়েখুঁড়ে কাটাকুটি করি। উত্থান ও পতনের তীব্র আর্তনাদ শুনতে পাই। আর আমার ভেতর জেগে ওঠে আরো এক আমি, যে দিগন্ত হাতড়ে বেড়ায় এক পেলব সত্তার খোঁজে। কোনো অবয়বে থাকে সেই রমণীয় ভ্রূণ যেখানে অসম সমের দ্বিমাত্রা দেওয়াল ভাঙে কামনার।
[স্বীকারোক্তি -- নেহা শুধু স্বপনের নয়, আমারও]
-নেহা কে তুমি?
-ভালোবাসার রঙ ও বেরঙ
-কোথায় তুমি?
-রাইট অন দ্য টপ অফ লাইফ
-কার সঙ্গে?
-রুয়ামের সঙ্গে, এই তো কিছুক্ষণ
-রুয়াম পুরুষ না নারী?
-কোন্ বিচারে, লিঙ্গ না সত্তা?
সেদিন তুমুল বৃষ্টিতে নেহার কাছাকাছি। অসময়ে দরজায় এসে দাঁড়াল অফিসফেরত অরুণাভ--
-কোন্ জগতে থাকো? এতক্ষণ কড়া নাড়ছি
-স্যরি, শুনতে পাইনি
-কার ধ্যানে মগ্ন?
এখন অনেকক্ষণ বকে যাবে অরুণাভ। ও বোধহয় ফেরার পথে মনে মনে একটা ছবি আঁকছিল -– ওর আশায় পথ চেয়ে জানালায় এক ধূসর অবয়ব, যাকে সে আদরে আদরে মুহূর্তে রঙিন করে তুলবে।
আমি জানতাম, বাড়ির কলিংবেলটা বিগড়েছে। বেশ লাগে ভাবতে। কেউ আমাকে ডাকছে অথচ আমি শুনতে পাচ্ছি না। আসলে চাইছি না। খুব গভীরে ডুব দিয়ে থাকে এই চাওয়াগুলো। ছোট ছোট চাওয়া। অথচ প্রায়শই অপূর্ণ থেকে যায়। আমার এই পাগলপণ কেন জানি ছুঁতে পারে না অরুণাভ।
অরুণাভর বিরক্ত মূর্তিটা ভুলে থাকতে চাইছি। ভীষণভাবে চাইছি। চাইতে গিয়ে দেখি কেবলই মনে আসছে অরুণাভর প্রেম আর অধিকারবোধ। অরুণাভর ভালোবাসা আর অধিকারবোধ। অরুণাভর যৌনতা আর অধিকারবোধ।
আমি বুঝতে পারি, অফিসফেরত ক্লান্তি নিয়ে অরুণাভ যখন দ্যাখে আমি নিজের ভাবে বিভোর, তখন আমাকে ঘিরে ওর সারাদিনের উৎকণ্ঠা হঠাৎ নিভে যায়। আর এই নিভে যাওয়া সে কিছুতেই সহ্য করতে পারে না। কিছুতেই না।
রাতে ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় দুটো মুখ। খুব ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যের ঘ্রাণ। অরুণাভ আলতো হাত রাখে আমার স্তনবৃন্তে। এক অচেনা হাসির তরঙ্গ গড়িয়ে পড়ে আমার ঠোঁট থেকে সারা ঘরময়। খুব আলতো কেঁপে ওঠে অরুণাভর আঙুল। পরক্ষণেই দৃঢ় হয়ে ওঠে। এক পুরুষসত্তার আগমন দেখি আমার আশ্লেষহীন বিষণ্ণতায়। তখনও কোনো প্রজাপতি বাসা বাঁধে না আমার ঘরে।
আমার উন্মাদ হাসির লহরে উল্লাস খোঁজে অরুণাভ। প্রতিদিনের মতো আবার, আবার মেতে ওঠে হিমাঙ্কের নিচে রাখা আমার শরীরে আকাশের খোঁজে। ক্রমশ ক্লান্তি নামে। নিরাভরণ পতনের শব্দ শুনতে পাই আমি। আর নিঃশব্দে বাজে অরুণাভর করুণ আর্তি –- কেন, কেন জাগে না এই নারী? তবে কি অন্য কেউ? অন্য কোনোখানে?
আমি ঘুমহীন চোখে সারারাত অরুণাভকে উল্টেপাল্টে দেখি। শ্বসনের আগে ও পরে লিপ্ত থাকা বয়ানগুলো ছিঁড়েখুঁড়ে কাটাকুটি করি। উত্থান ও পতনের তীব্র আর্তনাদ শুনতে পাই। আর আমার ভেতর জেগে ওঠে আরো এক আমি, যে দিগন্ত হাতড়ে বেড়ায় এক পেলব সত্তার খোঁজে। কোনো অবয়বে থাকে সেই রমণীয় ভ্রূণ যেখানে অসম সমের দ্বিমাত্রা দেওয়াল ভাঙে কামনার।
[স্বীকারোক্তি -- নেহা শুধু স্বপনের নয়, আমারও]
খুব গভীরে ডুব দিয়ে থাকে এই চাওয়াগুলো। ছোট ছোট চাওয়া। অথচ প্রায়শই অপূর্ণ থেকে যায়। আমার এই পাগলপণ কেন জানি ছুঁতে পারে না অরুণাভ।...।"
উত্তরমুছুনভাল লাগল।
-প্রশান্ত গুহমজুমদার
খুব গভীরে ডুব দিয়ে থাকে এই চাওয়াগুলো। ছোট ছোট চাওয়া। অথচ প্রায়শই অপূর্ণ থেকে যায়। আমার এই পাগলপণ কেন জানি ছুঁতে পারে না অরুণাভ।...।"
উত্তরমুছুনভাল লাগল।
-প্রশান্ত গুহমজুমদার