কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

তৈমুর খান

 

কবিতার কালিমাটি ১৫১


কলহ

অনেক কলহ এসে রোজ ভিড় করে

আমারই নিজস্ব কলহ সব

গর্জন করে, ঘুমায় না রাগে

রাত জেগে জেগে শূন্যে চেয়ে থাকে

 

শূন্যে কে আছে?

ওই তো শূন্য! নক্ষত্র জ্বলজ্বল করে

হয়তো হাওয়ার ট্রেন যায়

অদৃশ্য আত্মাগুলি প্যাসেঞ্জার তার

 

নিজেকে প্রবলভাবে খুন করতে চায়

কিন্তু করে না; ক্ষুব্ধ হয়ে ফেরে

অথচ কোথাও ফেরার নেই তার

নিজের ভেতরেই দেখে সব পথ অন্ধকার

 

শেষপর্যন্ত একটি হাত আর একটি হাতের কাছে শুশ্রূষা চায়

একটি পা আর একটি পায়ে পা ঘষে নেয়

দুটি ঠোট জিভ দিয়ে চাটে বারবার

ভেজা চোখ মুছে নেয় আত্মীয়ের মতো

কলহ বিরামহীন, মিলনেও দারুণ সংশয়।

 

বিদ্বেষ

বিদ্বেষের ব্যবসা খুব ভালো চলছে

অল্পদিনেই যা হতে চাও তাই হবে

এটা তো পুরনো ব্যবসা

কেউ খন্ডন করতে পারবে না

 

তোমার নামাবলী ঠিকঠাক আছে

অভিনয়ও ভালো হচ্ছে এখন

আহা! তোমার মুখে ইষ্টনামও মানায় ভালো!

 

যোগ্যতা আছে বলে সবাই মেনে নিচ্ছে

রক্ত গড়িয়ে পড়াকে বলছ : জল

হত্যাকে বলছ : একটু সোজা করা গেল!

 

সবাই বিদ্বেষ নিয়ে যাচ্ছে দলে দলে

বিদ্বেষের বৃক্ষ বড় হচ্ছে

হাটে-বাজারে সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে বিদ্বেষের ফুল ফল।

 

শুনতে পাও নীলাঞ্জন?

নীলাঞ্জন আমাকে ডেকেছিল

শুধু একটা রাস্তার পার্থক্য বলে

ওপারে দাঁড়িয়ে ছিলাম

অনেককাল থেকেই আমরা

এপার ওপার হয়ে আছি

 

রাতের ব্ল্যাকবোর্ড অনেককিছু লিখে দিয়ে গেছে

দিনের হইচই আমাদের ডাক শুনতে দেয়নি

পার্থিব আর পরমার্থিক আজও রহস্যময়

 

একটা সোনালি বল গড়াতে গড়াতে চলে গেছে পাশ দিয়ে

একটা বিনম্র সাপ কৌতূহলে ছুটে গেছে

আমরা বিষাদ মস্তিষ্ক নিয়ে আজও একাকী

 

নীলাঞ্জন

সোনালি বলটা কি প্রত্ন যুগের কোনো ফল?

সাপটা কি আমাদেরই উন্মুখ প্রবৃত্তির দৌড়?

শুনতে পাও নীলাঞ্জন?

পার্থক্য শুধুই রাস্তার এপার ওপার!


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন