কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

সুকান্ত দেবনাথ

 

ধারাবাহিক উপন্যাসিকা

অস্তাচল

 


(৬)

তখন পড়াশুনা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে, আহ্নিক তার বাবার কাছ থেকে শুনেছে যা কিছু জমান ছিল, কোনও এক অছিলায় তার বাবা দান করে বসে আছে। এখন এই বাড়িটুকু ভরসা, এবং তাও হয়তো বাবার পিছনেই শেষ হয়ে যাবে। বাবা শয্যাশায়ী, বয়স খুব একটা বেশি না হলেও অকস্মাৎ ব্রেন স্ট্রোক তাকে পঙ্গু করে গেছে। মা ইশারায় বলেছে দেখে শেখ, সে দেখেছে বিশেষ কিছু আফসোস যে আছে, তা কিন্তু নয়। অথচ তার মায়ের কথা, যে বীজ রুইবি, সে ফসলই কাটতে হবে। তাও সে দেখেছে বাবা যেন তার জীবনটা ভোগ করেছে। সে কি তার বাবার মত হয়ে যাচ্ছে? যখন তার মায়ের প্রতি ভালোবাসা সীমাহীন।

একদিন যখন ঘরে তার মা ছিল না, তা বাবা তাকে কাছে ডেকে কিছু একটা বলতে চেয়ে ছিল। পারেনি, শুধু একটা নাম উচ্চারণ করেছে, যে নাম সে আগে কোনও দিন শোনেনি, সেই প্রথম। অথচ বাবার উচ্চারণ শুনে বুঝেছে, এটা ঝুমুরের মায়ের নাম। আর সে নাম তার বাবার বুক জুড়ে আছে। বাবার না বলা কথা তার মর্ম পর্যন্ত চলে গেছে। তার খুব মনে পড়েছে বাচ্চা মেয়েটার কথা। একবার দেখার জন্য মন যেন উদাস হয়ে গিয়েছে তার। মা ফিরে আসায় বাবার আর কিছু বলা হয়নি। তাদের এই কথা না-কথার মাঝে সে দেখেছে একটা কাল্পনিক গর্ত বা খাদ রয়েছে। যার একদিকে সে অন্যদিকে বাকি দুনিয়া। হ্যাঁ সে তার বাবা মা সবাইকে খাদের অন্যদিকেই পেয়েছে।

এখনও তেমনই দেখছে, স্মিতা আর বিকাশ তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে খাদের অন্য দিক থেকে। যে খাদের কথা দিয়েই শুরু হয়েছিল এই উপন্যাসিকার কল্পকাহিনী। আর কাল্পনিক খাদের মধ্যেই তার পড়ে যাওয়ার কথা ছিল। না হলে তো এ কাহিনী শুরুই হত না। এখন যদি সে এই খাদকে অগ্রাহ্য করতে পারে, তবেই তার মুক্তি। অথচ আহ্নিক কি পারবে স্মিতার সাথে কোনও কথা না বলে বেরিয়ে যেতে?

এখন প্রথমে দুজন সিভিক ভলিন্টিয়ার এসেছে এবং প্রথমেই কথা বলেছে বিকাশের সাথে। তারা এখানে কোনও রকম ইন্টারফেয়ার করবে কিনা? নাকি কিছুটা পেপার ওয়ার্ক করে ফাইল ফেলে দেবে তাদের আন-সল্ভড ফাইলের বাক্সে? বিকাশ প্রথমে ডাক্তারের দিকে তাকিয়েছে। তারপর আমার দিকে। আমাকে সাক্ষী রেখে একজন সাব ইন্সকপেক্টর এসেছে তারপর। তাদের মুল কাজ এখন ঘটনার রিকন্সট্রাকশন করা।

চলো আমরা তাহলে এখন ফের সেই জায়গায় চলে যাই যেখান থেকে শুরু করে এতটা হেঁটে এসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আর স্মিতার মানসিকতাও একবার ছলকে দেখি, যেভাবে সে ভেবেছিল ধীরে হেঁটে পিছিয়ে যাবে। অথচ তলিয়ে দেখেনি, সে পিছিয়ে গেলে যারা তার পিছনে ছিল এতদিন, তারা সম্মুখে চলে আসবে। এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে জীবন যাবে তার।

(৭)

ঝুমুর পড়ে আছে মেঝেতে, তার দুকাঁধ ধরে অবিরাম ঝাঁকিয়ে যাচ্ছে আহ্নিক। সে তাকে জাগাবেই, কিছুতেই তাকে চলে যেতে দেবে না। সে তাকে সেই ছোট্ট বেলা থেকে দেখে এসেছে, তেমন কথা বলেনি কোনদিন যদিও ইচ্ছে ছিল প্রবল। একটিবার কোলে তুলে সাইকেলে করে ঘুরিয়ে আনবে কিছুদূর। হয়নি, সম্ভব হয়নি। তেমন কোনদিন আসেনি জীবনে। আজই প্রথম যখন সে ঝুমুরকে এতটা কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছে। সে না পেরে কোলে তুলে নিয়েছে ঝুমুরকে। দরজা দিয়ে বাইরের দিকে চলে যাচ্ছে। হঠাৎ মনে হল, একবার পিছন ফিরে দেখা বাকি থেকে গিয়েছে। একবার কেননা স্মিতা এখন তার কাছে অস্তিত্ব হারানো এক মেয়েছেলে মাত্র। ভিতর থেকে শূন্য। যে শূন্যে এই কিছুক্ষণ আগেই সে তার নির্যাস ফেলে আসতে বসে ছিল।

তাহলে স্মিতা তোমার কি দৃষ্টি থাকা উচিৎ? তুমিও কি তেমনি কিছু লক্ষ্য করেছ এই লক্ষ ঘৃণার মাঝে? স্মিতা দেখছে হ্যাঁ, এক অন্তহীন ঘৃণা ঝরে পড়ছে আহ্নিকের চোখ থেকে। সে চোখ যেন তাকে খুন করতে চায়। অথচ এই ঝুমুরের সাথে কি এমন সম্পর্ক রয়েছে আহ্নিকের? আহ্নিক তুমি না অমুক বাবুর ছেলে। তার সুবাদেই তো এসেছিলে, এখন বেরিয়ে যাচ্ছ। চলে যাচ্ছ আমাকে নিঃশেষ করে।

পুলিশ আর বিকাশ এরা দেখছে, ভিক্টিম আর অ্যাকিউসড আবার তাদের জায়গা বদল করছে। আর যে প্রশ্ন সঙ্গত, এই ছেলে আজ এখানে এসেছিল কেন?

বিকাশ তেমনি এক প্রশ্ন নিয়ে স্মিতার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। স্মিতা নিশ্চুপে বলছে, ঝুমুর পোয়াতি ছিল। বিকাশ বলছে তাহলে তুমি কেন আজও পোয়াতি হোলে না? তোমারও তো তাহলে আজ পর্যন্ত কয়েকটা বাচ্চা হওয়ার কথা ছিল। হয়নি। স্মিতা বলছে হয়তো আমিই বন্ধ্যা। আহ্নিকের সাথে তাই তো নির্দ্বিধায় মিলিত হয়েছি।

পুলিশ শুনতে পাচ্ছে অস্ফুটে যেন সেই ঘরটা বলছে, একমাত্র আমি ছাড়া এ ঘরের প্রত্যকেই ভিক্টিম। পুলিশ বলছে তাহলে অ্যাকিউসড কে? ঘরটা বলছে, তুমি। তুমি নিজে।

পুলিশ স্মিতাকে জিজ্ঞাসা করল

-আপনি কি প্রথম ডেডবডি দেখেছিলেন?

-হ্যাঁ আমিই দেখেছিলেম।

-কী দেখেছিলেন?

-মেয়েটা এখানে মরে পড়ে আছে।

-মরে পড়ে আছে কি করে বুঝলেন?

-দেখে মনে হয়েছিল।

-কেন এসেছিল মেয়েটা?

-বিকাশকে খুঁজতে এসেছিল।

-বিকাশকে কে কেন?

বিকাশ আমাকে জিজ্ঞাসা করল,

-আপনি এখানে কি কারণে?

-দিতে এসেছিলাম, নিতে আসিনি।

বিকাশ আমার দিকে ঘুরে তাকিয়েছে। কি বুঝেছে কে জানে। তবে যা বুঝেছে তা দিয়ে একটা গল্প বানিয়েছে মনে মনে। ঝুমুর কোনও ভাবে আমার সাথী, আমরা দুজন এক সাথে এই ঘটনার নিষ্পত্তি করেছি। হ্যাঁ ঝুমুরের মরে যাওয়াটা হয়তো সেই প্ল্যানের অংশ ছিল না। সে স্মিতাকে জিজ্ঞাসা করল,

-ঝুমুর যখন ঘরে একা ছিল, তখন তুমি কোথায় ছিলে?

-আমি ঝুমুরকেই খুঁজতে গিয়েছিলাম।

-কেন?

-কেননা মনে হয়ে ছিল, সে তোমাকে কোনও ভাবে ফাঁসিয়ে দিতে চায়। তুমি কি তাকে চাকরিবাকরি কিছু পাইয়ে দেওয়ার কথা দিয়েছিলে?

-ওরকম কথা সবাইকেই দিয়ে থাকি।

-তাহলে তোমার কতগুলো মেয়ের সাথে সম্পর্ক রয়েছে?

ঝুমুরকে কোলে করে এখন অটোতে বসে আছে আহ্নিক। চারিদিকে নিস্তব্ধতা, সে তার চোখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। যদি কোনও ভাবে ভুল করে হলেও ঝুমুর চোখ খোলে। সব যদি তার বোঝার ভুল হয়ে থাকে। আহ্নিক তাকিয়ে রয়েছে সেই নৈশব্দের দিকে। অটোর ইঙ্গিনের শব্দ, বাইরে গাড়িঘোড়ার শব্দ, কিছুই তার মাথায় ঢুকছে না। সে শুধু তাকিয়ে রয়েছে একজন মানুষের অচৈতন্য মুখের দিকে।

সেভাবেই তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন কে জানে আহ্নিক বাইরের দিকে একবার তাকিয়েছে। কোনও কারণ ছাড়া, মনে অন্য কোনও চিন্তা ছাড়া। তাকিয়েছে অজান্তে। আর সেটুকু সময়েই হয়তো যে কোলে ছিল তার দিকে তাকিয়ে চিরতরে চোখ বুজেছে। আহ্নিকের পাশে একজন প্রতিবেশী দাঁড়িয়ে ছিল, উনি বললেন, দেখ্‌ দেখ্‌ আহ্নিক তোর মা তাকাচ্ছে। আহ্নিক ঘুরে তাকিয়েছে মায়ের দিকে। কাঁধ ধরে ঝাঁকিয়ে যাচ্ছে অবিরাম। মা কি এখন বেঁচে রয়েছে। পাশের প্রতিবেশী বলেছে হ্যাঁ, আমি দেখলাম যে। আহ্নিকের আত্মগ্লানি তাকে নিয়ে চলে গেছে মৃত্যু চেতনার দিকে। যেভাবে তার বাবা অনেক কথা বুকে রেখে চলে গিয়েছে, তাকে বলতে পারেনি। সেভাবেই তার মা কি কিছু বলতে চেয়েছিল। আর ঠিক সে মুহূর্তেই সে তাকিয়ে ছিল অন্যদিকে। আঃ স্মরণীয় আত্মহত্যার কারণ, তুমি সারাজীবন পাশে থেকো।

না পারেনি, আহ্নিক আর তার মাকে জাগাতে পারেনি। মা কী বলতে চেয়ে ছিল জানা হয়নি আর। তার মনে হয়েছে নিজেকে খুন করি। আজও মনে হচ্ছে কেন সে ঝুমুরকে একা ফেলে চলে গিয়ে ছিল। সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে, ঝুমুর আর কোনোদিন তাকাবে না। অটোতে এই দীর্ঘ রাস্তা যেন অর্থহীন। স্মিতার মত মেয়ে আর বিকাশের মত ফ্যামিলি, কেউ কি করে তাদের শাস্তি দেবে?

একসময় অটো এসে দাঁড়িয়েছে হসপিটালের সামনে, সে দেখেছে তার মায়ের ট্রলিটা সে যেভাবে ঠেলে ছিল, সেভাবেই ঝুমুরকে ট্রেচারে করে সে ঠেলে নিয়ে গেল ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে।

ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে এখন কেউ নেই। শুধু মাত্র একজন পুলিশ অফিসার বসে আছে একটা স্ক্রিপ্টেড রিয়্যালিটি লিখবে করে। সে জিজ্ঞাসা করছে,

-মেয়েটাকে শেষবার জীবিত কি আপনি দেখেছিলেন?

-হ্যাঁ আমি দেখেছিলাম।

-তখন সে কী করছিল?

-সে তখন আমারই মত স্মিতাকে খুঁজছিল।

-ওকে একা ফেলে চলে গেছিলেন কেন?

-স্মিতাকে খুঁজতে গিয়েছিলাম।

স্মিতা বরাবরের মত খুবই নিরুত্তপ্ত গলায় বলেছে, আমাকে অত খোঁজার কী রয়েছে, আমি তো ঘরেই ফিরে আসব।

পুলিশ বলেছে,

-সে কথা নয়, কথা হল যখন আপনি ফিরে এলেন তখন ঝুমুর মৃত, আর আহ্নিক তাকে শেষবার জীবিত দেখেছে, তাহলে আপনাদের দুজনের মাঝে কি এমন হল যে সে মারা গেল? বা হয়তো আপনাদের কেউ একজন এখনও পুরোটা সত্যি বলছে না। লুকিয়ে রাখছে অনেক কিছু।

মাঝে কী হয়ে ছিল সেটাই হল প্রশ্ন, তবে মাঝে বলতে কোন মাঝখান সেটা আরও বড় প্রশ্ন হয়ে উঠে আসে। আহ্নিক সেই মাঝখানের কথাই জানতে চায়, এবং তার ইঙ্গিত একেবারে স্পষ্ট। সে জানে বিকাশ রয়েছে এই মাঝখানে। না তার কাছে নেই কোনও পলিটিকাল পাওয়ার, বা ম্যান পাওয়ার, বা অগাদ টাকা। সে কোনও বড় চাকরি করে না, যেখান থেকে তার পরিচিতির লেবেলটা নেতা মন্ত্রীদের ড্রয়িং রুম পর্যন্ত চলে যাবে। তাহলে তার কাছে আছে কী?

ঝুমুরর জন্য না বুঝতে পারা এক স্নেহ। যা সে স্বীকার করতে পারে না। বা তার স্বীকার করা উচিৎ বলে মনে হয়নি কোনোদিন। কেননা সে ঝুমুরের মাকে অন্য রকম দৃষ্টি নিয়ে দেখেছে। আর এসবের মাঝে বাবাকে পেয়েছে কখনও ঘৃণিত অহংকারী, কখনও ভিখিরির মত দোরে দোরে ঘুরে বেড়ান কাঙাল। তবে হ্যাঁ, বিকাশকে সে মাঝে মাঝে দেখেছে দিনে আর রাতে মুখের হাসি পাল্টে ডবল ফেস নিয়ে ঘুরছে।

এই তো সেদিনের কথা যখন সে প্রথমবার বিকাশকে দেখে ছিল, বিকাশের বাবা বাজারে ফান্ড চালাত। বাজারে ব্যবসায়ীদের মাঝে চিট ফান্ড চলে, সেখান থেকে তারা টাকা তোলে আর ব্যবসা করে ফেরত দেয়। সেই এক ফান্ড মালিকের ছেলে এই বিকাশ। সেদিনও বগলে একটা ব্যাগ নিয়ে ঘুরে বেড়াত বাজারে। তা তার তেমন কোনও বিদ্বেষ নেই ফান্ড মালিকের ছেলের প্রতি তবে যখনই সে তাকে লোকাল কাউন্সিলারের সাথে দেখে এক টেবিলে বসে মদ গিলছে তখনই বুঝে যায়, বিকাশের হাতে কিছু লোকবল হয়েছে। সে চাইলে একটা ভিড় জোগাড় করে দিতে পারে। এমনকি একটু একটু করে ফান্ডিং করতে পারে পার্টির সেবা মূলক কাজে। তা যাইহোক জল যেদিকে গড়ায় সেদিকেই জমি ঢালু। অবশ্য কথাটা উল্টো বললাম, তারও একটা কারণ রয়েছে। বিকাশকে সে একদিন দেখে ফেলে বাবার সাথে বচসা করছে। বাবা যতই হোক বাবা, তা সে মার সাথে থাকুক বা না থাকুক। বাবা কি বিকাশের কাছ থেকে পয়সা নিয়েছে?

কী নিয়েছে তার বাবা, আহ্নিকের জানা নেই। তবে তার মনে হয়ে ছিল কোনও না কোনও সুবিধা নিয়েছে সেটা অবধারিত। কিন্তু না তার ভুল হচ্ছে, তার বাবা একটা প্রতিদান চাইছিল কেননা পরিবর্তনের আগে সে এমনই একটা পজিশনে ছিল। তখন সে অনেক করেছে, এখন বিকাশ ভুলে গেছে।

এখন আহ্নিক দেখছে বিকাশ উঠে কিছুটা দূরে সরে গেছে এবং তার দিকে এক অবিশ্বাস্য আকর্ষণে এগিয়ে গিয়েছে পুলিশ অফিসার। তাদের মাঝে কি হিসাব নিকাস রফাদফা হচ্ছে? সে তাকিয়ে দেখেছে স্মিতার মুখটা কালো করে এসেছে। স্মিতা হয়তো চায়নি, তাও করে ফেলেছে তেমনি এক কাজ। তখন সে ভিক্টিম ছিল এখন অ্যাকিউসড, অবশ্য আমরা সবাই ভিক্টিম। আর কেসটা কোনও রকমে বন্ধ হয়ে গেলে সে আবার তার ভিক্টিমের জায়গায় ফিরে যেতে পারবে।

আহ্নিক সেভাবেই তাকিয়ে দেখছে স্মিতা না চাইতেও খুশি না হয়ে পারছে না।

(ক্রমশ)

 

 

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন