কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না

 

কবিতার কালিমাটি ১৫১



সোনালি সময়ে

কাদা ছুড়তে ছুড়তে চলেছে 'নম' করা অগ্রগতি

কখন বসন্ত আর গ্রীষ্ম পেরল এই আয়ুখন্ডে বোঝা গেল না।

বর্ষা না হলেও কাদা জমানো থাকে কর্ম ভান্ডারে।

প্রতারণা ও প্রণিপাত  সমান সমান হলে

হাসি মুখে জোড় হাত করা ছবিগুলো হাওয়ায় দুলতে থাকে নিশ্চিন্তে,

দোল খায় আর ডাকতে থাকে

'আয় আয় খোকা খুকিরা আয় ভিড় করে আয়'

একটা  একটা করে বেড়াল বেরবে ঝুলি থেকে,

একটা একটা করে গুনে নেবে পিঁ--- আওয়াজ

দ্বিধা! অবিশ্বাস!

গ্রাম অস্ত্র শিখছে, ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সুতলি বাঁধছে টাইট করে,

মফঃস্বল নিয়ম করে অনুশীলন করছে নিশানা।

একেও যদি অগ্রগমন না বল তাহলে তো অবাক হতেই হয়!

স্বপ্ন নিজে থেকে না দেখাই ভাল।

কী দেখলে ভাল হয় এই সোনালি সময়ে

কত জন বুঝতে পারে? কেউ রেখা টেনে দিক 

তবে কার কী দেখা চলে সে বিষয়ে।

তখন এই ভোলা মন খোকারা ঠিক তৈরি হবে।

 

অবিন্যাস ও নিশানা

নিষিদ্ধ খিদের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে বিষণ্ণ মুদারা

কুঁচকানো ত্বকের নাকি মোম মসৃণ স্বাদু ফল?

যে যা চায় তা দিতে পারলে তো কল্পতরু।

রঙিন চকে আঁকা মাছের জীবন -- কালো স্লেটে,

অন্ধকার আর আলোর হেঁয়ালিগুলোর ওপর পা ফেলে ফেলে

কিত্ কিত্ রাত আর বৌ-বসন্ত দিনমান ছিটকে পড়ছে...

আসলে তো লাফ আর ছুট-- ছুঁতে চাওয়া।

সর্বত্র ভাঙা কাচ বিক্ষিপ্ত বর্ণ আর চক্রাকার ঋতু

অস্থায়ী সম্পর্কের জটিল ভুবন আর ক্রোধের সংলাপ।

 

আমার যেমন কোনো পরিত্রাণ নেই তেমনই তোমার

আমিও তো পুরোটা নয় আর তুমি মানেই ঈশ্বর অথবা আশিক?

বিন্যাস ভেঙে ভেঙে এগিয়ে আসছে বিচিত্র নামধারী সব ঝড় তুফান

গুঁড়িয়ে দিচ্ছে উড়িয়ে দিচ্ছে আবাস যোজনা ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

নিকষ মেঘের ভেতর লুকানো দামিনী তার তীক্ষ্ণ কোণ সমেত

সাদা ঝলকের নিশানা স্থির করে অপেক্ষায় বসেছে।

 

সিঁড়ি

তুমি পরাক্রমী?

ইতিহাস বিস্মৃত  জাতির প্রতিভূ? 

তুমি ধর্ষকের? তুমি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা লোক?

অথবা তুমি চোর ডাকাতের ঘর পাহারায় অতন্দ্র প্রহরী

তাহলে তার বিপরীতে আমরা

ঠকে যাওয়া পিষে যাওয়া আধমরা জনগণ।

আমাদের  কার্নিভাল নেই, স্বচ্ছ চৌর্য অভিযান নেই

কার্বোভেজের ওপর ভরসা করে আর তোমার বাণী শুনে কেটে যায় খিদেরবেলা

আমাদের বেকার ছেলে  ঘুরে বেড়ায় প্রেমহীন আশাহত অপমানিত।

আর মেয়েরা? থাক তাদের  কথা।।

সুযোগ বুঝে তুমি কখনো আমার মতো অবিকল সাজো আর

আমার কান্না নকল করে বকেই যাও নেচে নেচে

তুমি আমার জন্মগত টিউমার

তুমি ভারতীয় রাজনীতিক, ফটফটে পোষাক পরে কত কী যে কীর্তি রেখে যাও সব দাগ এসে  লাগে আমার গায়ে-- আমাদের গায়ে।

আমরা ধুয়ে পরিস্কার করতে পারি না আমাদেরই  গেঁথে  দেয়া সিঁড়ি।

 

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন