![]() |
| কবিতার কালিমাটি ১৫১ |
উদাসীন মল্ট
(৮)
বই আর পাতার ফাঁকে
অনবরত
হুইসল
ঝাউ
বিলি
বিলি বিলি বিলি,এরকম
বা
সমুদ্রে্র মাংস নেই জেনে যে পুলক ধ্রুবতারা হল
ফাঁকে
একটা পার্ক
দুপাট্টা
শাড়ি
বাইকের
গিডি গিডি
পুলক
সেই কবেকার নাম, হিজলি স্টেশনের কাছে ক্রশিং পেরত
ঝাউ
বা
সবুজ-পতাকা, আজ কেন মনে হচ্ছে
হাওয়া
কখোনই কারো বন্ধু ছিল না
সমুদ্রের
মাংস ছিল না
সাঁ-সাঁই
হুইসল
শুধু
শুধুই মিশেছিল পাতার ফাঁকে
বা
ফাঁক দিয়ে
গলে
পড়ার জন্য
(৯)
এদিকে চোখ
ওদিকে
নটে গাছ
মুড়োলো
চোখ
আর গাছের সম্পর্কে
শেষ
পর্যন্ত নিভে যাওয়া
গাছের
পাতা বা চোখের পলক
গাছ
হয়ত বাচ্চাটা
চোখ
বনলতার
পুরো
দফতর ভাবছে বা ভাববে বা ভাবত
পুড়ে
গেলে কি কি থাকে
চিৎকার
চিহ্ন
একটা
নতুন ফাইল
এবং
এই সামান্য গড়ে ওঠা
একটা
বাচ্চা গাছ লাগাচ্ছে
দুটো
চোখও…
(১০)
দরজা একটা আছে
নক
করলাম
আমি
আমাকেই
দরজা
খুলে দেখলাম
তুমি
জল দিচ্ছিলে
তুমি
আর
তুমি
রেখাবী
না
বিনারোদের
একা মায়া
মায়াবী
হ্যাঁ
তো
একে একে জড়ো হল
একটা
দরজা
কয়েকটা
‘নক’
আমিতুমিতুমিআমি
তেষ্টা
খুব
জল
দিচ্ছিলে
দরজা
খুলেই মনে হল
আরেকবার
মনে হল
জল
ও
জীবন
বৃষ্টি
আর জল
বৃষ্টি
কী শুধু জল?
সন্ধ্যা
হল
আমিতুমিতুমিআমি
বেশ
সামাজিক
একা
আর অনেকটাই দু’রকম…
(১১)
ভুল একটা রাস্তা
মেটে-খয়েরি
ঠিক
রাস্তায়
শুধু
তুমি
বা
তোমার অনবরত কিন্তু জটিল হিক্কা
আমি
রবার-গাছের
নিচে
বা
হয়ত নারকোল
পেঁপেও
হতে পারে
একটা
দেশ এসব নিয়েই তো
রাস্তা ভুল হলেও
জল
এখনো রয়েছে
খেয়ে
দেখো
মেটে-খয়েরি
রাস্তায়
কাঁটাতারে
গাঁথা একটা সীমান্ত
হিক্কাই
প্রায়
জল
হয়ত
জলেই
হয়ত একটা মাছ
মাঝিকে
ডাক দেবে
জটিল
কিন্তু অনবরত সেই তুমি
জল-নরম
হিক্কায়
চাঁদ-মচকানো
স্রোতল

0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন