কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

সাজ্জাদ বিপ্লব

 

কবিতার কালিমাটি ১৪০


উল্কি

 

আমাকে ভালো থাকার কৌশল কেউ শিখিয়ে দেয়নি, দেয় না

আমি জানি না, কি করে সুখে থাকতে হয়, সুখী থাকতে হয়

দু:খ থেকে দূরে থাকতে হয়

সুখকে বানাতে হয় রৌদ্রের মতো সঙ্গী, দু:খকে ছায়া

মায়া আমাকে আশা দেয়, ভরসা দেয়

বলে, জয় করতে পৃথিবী, পৃথিবীর যাবতীয় দু:খ-দুর্দশাকে

আপন করে নিতে, আমার পদতলে

আমাকে হতে বলে নীলকণ্ঠ, নীল, আমার প্রিয় রঙ

পাতা ঝরার দিন এলে, আমাকে প্ররোচনা দেয়,

এলোমেলো হওয়ার, হাওয়ায়

বলে, আউলা চুলেই আমার সৌন্দর্য প্রস্ফুটিত

প্রকটিত আমার আসল রূপ-রস-গন্ধ-সৌর্য-বীর্য

দিবসকে বলে, আমাকে প্রসারিত করতে

আর রাতকে বলে, আমায় আলোকিত করতে

আমি না-কি দিনের সন্তান, রাতের পুরুত

আমাকে এর মাঝামাঝি চিকন সময়ে বোঝা যায় না

আমার ছবি আঁকা থাকে বীরদের বাহুতে পার্মানেন্ট উল্কি হয়ে

 

 

নিষেধাজ্ঞা

 

(কবি ও দার্শনিক Benjin Khan, আপনাকে)

 

দেখো, আমাকে বলা হয়েছে

আমার পরিচয় ভুলতে

আমার অতীত, ইতিহাস ও ঐতিহ্য

আমি যেন স্মরণে না আনি

তার জন্য বার-বার, অনেক বার-ই

আমাকে সতর্কও করে দেয়া হয়েছে

বলা হয়েছে আমি যেন আমার এ গৌরবোজ্জ্বল

জীবন-যৌবন ভুলে যাই

ভুল করে যেন স্মৃতি হাতড়ে তুলে না আনি

আমার সোনালি দিন, রূপালি রজনী

বর্ণালি সময় ভোগ করতে আমাকে

বারণ করা হয়েছে বেশ কড়া ভাবে

দৃঢ় ভাবে শাসানো হয়েছে

না যেন দাঁড়াই নিজের সামনে,

আয়নার সামনে প্রতিফলিত হওয়ার আগে

খুব সাবধানে দেখে নিতে বলা হয়েছে, নিজেকে

সেই থেকে আমি খুঁজে বেড়াচ্ছি, আমাকে

 

তুমি ও ইফেল টাওয়ার

 

এ এক অদ্ভূত অবিশ্বাস চারিদিকে

ভারী হয়ে আছে আলো ও বাতাস

কালো অন্ধকারে ঢাকা তোমার চতুর মুখ

তুর ইফেল ঘিরে সতর্ক দৃষ্টি

তোমার মায়াবী চোখ ও দেহেও সন্দেহের গন্ধ তাদের

গোলাপি ঠোঁটেও আস্থাহীনতা, অনাত্মীয়তা

নিরাপদ আশ্রয়, আস্থার খোঁজে

আজ তুমি হোমলেস

 

(তসলিমা'র ইফেল টাওয়ারে তোলা ছবি দেখে ও পোস্ট পড়ে)

 

 

 

 

 


2 কমেন্টস্:

  1. আহা! হযরত কবি সাজ্জাদ বিপ্লব কি সৌভাগ্য আমার! বড় প্রীত হলাম। অপূর্ব তিন সৃষ্টি-স্বাদ আস্বাদনে আমি মুগ্ধ।
    অদ্ভুত ব্যাপার, খুবই কাকতলীয় ভাবে মিলে গেল আমার আজই ডাকসু ভবনে দেয় বক্তব্যের কিয়দংশ।
    বললাম, আফসোস! ওই পশ্চিমারা যারা শত শত বছর ধরে আমাদের প্রাচুর্য, সৃষ্টি, স্থাপত্য নির্দশন, নান্দনিকতা ও আদব দেখে বিস্ময়ে বিমুঢ় হয়ে এই মাটিতে বারবার এসেছে ভিক্ষা মাগিতে, তারাই কিনা আজ আমাদেরকে বিশ্বাস করাতে পারল, যে আমাদের কোন অতীত নেই! এবং আমাদেরই কেউ কেউ সরলপ্রাণ মানুষ তা বিশ্বাসও করল।
    আফসোস! তখনই আমরা তাদের কাছে অর্ধেক পরাস্ত হলাম। অথচ এখনো ইতিহাসের নিদর্শন গুলো থাই দাঁড়িয়ে স্বাক্ষ দিচ্ছে, সভ্যতায় আমরা তাদেরচে ঢের পুরানো। অনেক গভীরে আমাদের শিকড়।
    অবশ্যই আমরা ঘুরে দাঁড়াব আবার। বার বার।
    ধন্যবাদ সাজ্জাদ। খুব ভালোবাসা রইল।

    উত্তরমুছুন
  2. চমৎকার কবিতাসমূহ💕❤️💖

    উত্তরমুছুন