কবিতার কালিমাটি ১৩৮ |
জরিপরেখা
জানি না ঠিক কি কারণে
জরিপরেখায় অবাধ্য ঘোড়াগুলি পর্যন্ত
সংযমী হতে চায়…
হয়তো বিঁধে যায় বাতিলের দন্ডাদেশ কানে!
এই পর্যন্ত ক্ষমা করে দিও
সেদিন পথের অন্তরায় ছিল বলেই এত…
পাখি, ধান ও প্রজাপতির গন্ধ সাঁতরে
নিঃশ্বাস যখন চুড়ান্ত হয় একা জানলায়,
পুরনো গোছানো সংসার মাথায় ওঠে
তোমায় ভেবে উতলা হওয়াটা আমার ক্ষতি করে ভীষণ!
ভাবনা
'শিহরণ' শব্দটি নিয়েই আষাঢ়ি্যা বৃষ্টি নামে,
একটা গোটা দিন, রাত ধরে জলের পশমিনা ওম
মাখতে পারার সৌভাগ্য হয়েছে তবে এই
পোড়া শরী্রের
আর তাতেই আপাদমস্তক শান্তিতে...
মেঘে মেঘে ভারি হয়ে নামছে প্রপাতজলের হুমকি!
এতসব সত্বেও মাথা গণিতের মত হালকা
আর চোখে গরম স্বপ্ন নিয়ে
চায়ে চুমুক দিতে দিতে
পরবর্তী সময় যায়
পরের বৃষ্টি কখন আসবে এই ভেবে!
দহন
মাতাল যজ্ঞের আগুন
দেখতে দেখতে নিভন্ত হলাম আমি
ছাইয়ের তিলক নিয়ে কপাল দেখায়
পোড়া কাঠের মতন
ভাবতে ভাবতে খাঁচার মন
সে কি পায় না, পায় জলের খোঁজ আষাঢ় বৃষ্টিতে?
আহাম্মকদের জাগিয়ে রাখে আকাশ
আটপৌরে দুঃখদুগ্ধ মুখ সূর্যগরাদে
জলের জন্য আয়না পেতে রেখেছে কেউ
আসবে আসবে করে জলের ছিটে,
এ শহরে বৃষ্টি তবে ওই অব্দি
এই জন্ম খরার দহে শুধু কি আমার,
...অন্য কারোর নয়?
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন