কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

প্রাণজি বসাক

 

কবিতার কালিমাটি ১৩৮


উড়ান


স্বাধীন কলেবর অসময়কেও স্নিগ্ধ করে ওহে মহাজন

সময় কিম্বা বয়সের সাথে সাথে আঁচলের রং বদলায়

আকাশটাও কেমন নিচুস্তরে মনে হয় ঘন হয়ে আসে

দূরত্ব কোন মাপে কমে বা বাড়ে বোঝে না এই সময়

আদর করতে করতে শেষ বিন্দু জলটুকুও উবে যায়

অপূর্ণ থেকে যাওয়া আলাপ ফিরে আসে অকুন্ঠ স্বরে

অথচ বাক্যবিন্যাস বিধ্বস্ত পলেস্তারা খসে পড়ে শিরে

শিথিল মাংসপেশী দেয়াল ধরে দাঁড়ায় যেন এই মুহূর্ত

পাহাড় শিখরে আরোহন ওই উড়ছে তোমারই আঁচল

প্রকৃতির কাছে রেখে দিই বদলানো হয়নি বহ্নি উড়ান


বিচার


যে অন্ধকার আছে বলে এতো দাপট এতো অহংকার

সে অন্ধকার যদি সরে দাঁড়ায় তাহলে ঐ বিড়ালচোখ

কোথায় লুকাবি… কোন দরজায় রাখবি পা এক পল

সে অন্ধকার মুখ ঘুরিয়ে নেয় লজ্জায় দূরতম দূরত্বে–

মিছিলে নেমে আসে পিলপিল মানুষ দাবি বিচার চাই

তলানিতে ঠেকে আছে সমাজের মুখ ও মুখের সমাজ

জানা না-জানা আলোর পরত পেরিয়ে পরপর খপ্পরে

কে তুই রক্তমাংসের জলিল কাঠামে মাখাস কৃষ্ণছাপ

চোখ কচলে দেখ কোনদিকে আলো কোনদিকে পাপ

মানুষের মুখের দিকে নজর রেখে দেখ প্রকৃতির ঈশ্বর


আর্ত অন্ধকার


এই যে কাচের দরজাটা কখনো খুললে আলগা হয়

ছায়াবৃত্ত দূর দূরান্তের কথা সংলাপে সময় চলে যায়

সম্পর্কের রং ঝাপসা হয়ে ওঠে রঙচটা বিকেলে হায়

এইভাবে দ্রুত অতিদ্রুত বদলে যাবে হিরন্ময় জীবন

সন্দেহের অবকাশে দেয়াল ওঠে কেউ নয় আপনজন

কঠিন দেয়াল ভেঙে উঠে দাঁড়ায় অনুভবের কচিগাছ

আলো-বাতাস পেয়ে আরও আরও কঠিন হয় জীবন

অক্সিজেন অভাবে অপূর্ণ থাকে কবির শব্দের উৎসব

কাচের দরজাটার পিঠ থেকে মুছে ফেলা নরম অক্ষর

মানুষের করতলে কে তবে সাক্ষী সে আর্ত অন্ধকারের


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন