কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

তৌহিদা ইয়াকুব

 

কবিতার কালিমাটি ১০৪


শীতার্ত  ছবি

 

বেলাভূমি ও কুয়াশা বা কুয়াশায় বেলাভূমি

অচেনা ভূগোল এক।

খালাসির বিপন্ন সংসারের মতো

অনাথ দুঃখী নোঙ্গর।

 

নভেম্বর এর অনেক আগেই বদলে গেছে সব

গুটিয়ে নেয়া গয়নার বহর

উৎসবের ও মানুষের উষ্ণতা লেগে নেই কোথাও!

সুনসান দিনলিপি পড়ে আছে

আর

জন্মান্তরের প্রমোদতরীর মতো পড়ে আছে অভিমান।

 

ডমেনিক, প্রার্থনায় টেনে আনো প্রখরতা

আলোর ও উষ্ণতার বেহিসেবি আবেগ

উচ্চণ্ড যৌবনে যেমন!

 

 

চুপকথারা

 

সম্ভাব্য ভ্রান্তির আগামী

লুনেটিক কবিতা।

তুমি বললে, সুখ ও আনন্দ।

আমার জানাই ছিল না

কীভাবে স্বপ্ন দেখে মুছে দিতে হয়

ব্যক্তিগত স্বস্তির গ্রাম্যতা।

তুমি চাও মানে সবটুকু চাইলেই

পরিণাম ভরে দেয় যৌথ-খামার।

হা আর না মুলত পক্ষ-বিপক্ষ।

এসবের বাইরে চলে গেছে যা

কেউ কি তার খবর পেলে?

সেই যেখানে বিসর্জনের ধূম,

আয়োজন ভিড়, সমবেত সুর?

হিম-ঝড় প্রান্তর উড়ে আসে।

আঙিনা জুড়ে পাতা-ঝরা দিন খেলা করে।

নিসর্গের কাছে এসে কোলাহল থেমে যায়।

যাবতীয় মোহঘোর দু' চোখে ঢেলে

চুপকথারা বিবাগী সুরের কাছে

থিতু হয়ে বসে থাকে।

 

 

আমার একটি কথা বাঁশি জানে

 

সম্পূর্ণ শব্দহীন হতে

মর্মর ছড়ায়ে চুম্বন আঁকি ঠোঁটে

এটা স্বপ্নকাল বুঝি, জেগে উঠি যখন

বিরুদ্ধ শিবিরে বাঁশি বাজে-

সমীকরণ মিলাতে দেয়ালের সংসারে

আয়নার উল্টো দিকে হাঁটি।

 

এ-ঘর ও-ঘর প্রতিদিন

অখন্ড নিয়ম আবাসিক?

বারান্দায় বা খোলা জানালায়

আলো আর রোদের আলিঙ্গন দেখি

আর দু'টি কথা মনে এলে

এলোমেলো হই।

 

এভাবে

আবারো বাঁশি মনে পড়ে

আর মনে হলেই এ মায়া সংসারে

ভগ্নাংশ হয়ে বসে থাকি

খরস্রোতা আলোতে

অন্ধকারে।

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন