কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

রাহুল গাঙ্গুলী

 

কবিতার কালিমাটি ১০৪


শালিকপক্ষের আলফাজনামা [রিCrystalized]

 

(সময় সাপেক্ষে কবিতা পরবর্তী ১টি টেক্সট)

----------------------------------------------------------------------


কয়েকটা সময় আসে সময়ের গর্ভ থেকে // আর প্রতিটা গর্ভস্থ সময় (সময়)র  আদরকে ছুঁতে চায় // ঘটনাচক্রে ~ এই চাওয়া পাওয়ার সাম্পান যতোটা জটিল // ততোটাই সহজ // সহজ-জটিলের প্রমুখতা ছেড়ে বাড়তে দিই নিঃশর্ত ক্যালেন্ডার // যার কাছে সম্পূর্ণতা বা অসম্পূর্ণতার কোনো দায়ভার নেই // অতএব শব্দহীন চিঠি লেখার সমস্ত প্রয়োজনীয়তা এবং অপ্রয়োজনীয়তাকে বুঝে বা না বুঝেই তৈরি করতে থাকি জমাট ইথারের (বাষ্পশর্তী) তাজমহল // আসলে তাজমহল বানানোটাই প্রাসঙ্গিক (না কি অপ্রাসঙ্গিক) :: বাকিটা ~ যথেচ্ছ আয়না ভেজানোর অপ্রমুখ বিষয় // বলতেই পারি ~ আয়নারঙা তরঙ্গই মিলিয়ে দেওয়ার একমাত্র সোপান // অন্ততঃ সেরকমই এলোমেলো ইঙ্গিত // গোপন সুড়ঙ্গপথ খুলে ফেললে এরকমই কিছু [নাতিশী নগ্নতোষ্ণ] অন্দরমহলের কাচ // কাচ-স্পর্শ সত্যিই বড়ো অদ্ভুত! // রেখাহীন সীমারেখা ¿

 

######

 

''অবেলায় কাজোলস্পর্শ // জমিয়ে রাখছো ঘাম

নোনাঘামের দাগ মুছি।কিছুটা সমুদ্রের মতোন''

 

    ||

টিংটিংটিংটিং // ছুটির ঘন্টা পড়ে গেলে ~ ইচ্ছে করে না লিখি // ইচ্ছেহীন কোনোকোনো পরিচয়-ঘটনা হোক // একটা সাবেকি ছোঁয়া ~ কেবল হেলতে দুলতে [কয়েকটা হেলায়] হাতে নেওয়া মেরুন-বাড়ন্ত ঘাসফুল // বড্ডো মনকেমন // কয়েকটা মেঘ য্যামন গ্রাম থেকে শহর // ধূধূ ওড়ানো আলপথ-?-থেকে পিচরাস্তা // যার কোনো বর্ডার নেই /কাঁটাতার নেই // পৃথিবীর ভিতর পৃথিবী :: মহাজাগতিক সমস্ত ছাড়িয়ে ব্ল্যাকহোলস্ ~ অতঃপর অন্য কিছু অন্য কোথাও // কিভাবে কখোন চেরিবৃষ্টিগুলো নিজেকে পাল্টে ফেললো, বোঝা যায় না [গোপন] // কতোটা ভিজলে রোদও পুড়বে উধাউ // যে কোনো ডাইমেনশন'র চেহারায় একটা লিপিজ রামধনূর আদল ফুটে ওঠে // ]উপলক্ষ[ যারা এইসব আবেশ-সাবেকি আদলগুলো প্রাথমিক ভৌত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ১(/১) // আবার অনেকসময় রাসায়নিক বিক্রিয়ার আগে বা পরে ১ম জ্যামিতি থেকে ২য় ~ নিরবচ্ছিন্ন ২য় থেকে ৩য় // ১এে১এে আঁকতে থাকা সম্পূর্ণ অবয়বের ভীড় // প্রতিফলন বা প্রতিসরণ যেটাই হোক ~ রামধনূ হাতে থাকা কোনো পরশপাথরের থেকে কম নয় // অনেকটা বলা যেতে পারে সেই ম্যাজিকের মতো // যখোন ঘটনা প্রবাহের পর নিয়ন্ত্রণহীন দর্শক নিরাকার [জ্যামিতি] হতে চায় // পেঁজা ক্যানভাসে ফুটে ওঠে 'আসহবেনীকলা' তুলির টান //  মেলানকলিক্ চাকতির ঘুম // ঘুম বড়ো অদৃশ্য সম্পত্তির মতোন ~ কখনোই গাঢ়ত্ব সুখে মালিকানাধীন হবার নয় // ভারী জল মিশে যাচ্ছে গোপন কেন্দ্রে // ত্রিমাত্রিক অরবিটকে ইচ্ছে করছে বহুমাত্রিক প্যারাবোলা'য় সাজিয়ে দিই // কখনো কঠিন / কখনো তরল / কখনো বাষ্পীয় ভিত্ // হাত ফেরতা অসুখগুলোকে সুখী দ্রাব্যতায় ভাসিয়ে খাচা খুলে মেঘ ভাসাই / শব্দ ভাসাই / মহাকাশ ভাসাই // সবই আসলে সেই অচেনা ঠিকানার জন্য! // আদপে ¿

 

#######

 

''পাপড়িতে গুটিয়ে থাকা ~ শঙ্খচূড়ের ফিসফিস

বাঁশিওয়ালার নিয়ন্ত্রণাধীন।ফুঁ দিলে বাঁশির ছোবল''

 

   ||

বৃদ্ধ বটগাছটাকে একবার একটা ময়ুর পালক উপহারে দিয়েছিল কেউ // ভেবেছিল বড় হলে সেই পালকে চেপে মহাকাশ পাড়ি দেবে // অথচ উপহার কেউ কখনো ফেরত দেয় কিনা জানা হয়ে ওঠে নি // এই যেমন আমাকেই ধরা যাক // সম্পর্কের নিরীখ ~ উপহার চাইলেই দি // তারপর সম্পর্কগুলো তলিয়ে যায় // ভূমধ্যসাগর আঁকাটা সহজ? বুঝে ফেলা কি আরো সহজ? // অসংগত প্রশ্নাবলী কিলবিলিয়ে ওঠে // ঝরে পড়তে চায় (আড়াল - দেওয়াল - আবহাওয়া) // তারপর ব্যক্তিগত নিস্তব্ধতা // ব্রহ্মাণ্ডের এমন কোনো উপহার নেই ~ যে নিস্তব্ধতা চায় না // সে আঙুল স্পর্শের কৃষ্ণ-উত্তাপ'ই হোক / বা আগ্নেয়গিরির চলমান সংকলন / বা সূর্যঘড়ির সুপারসনিক্ আওয়াজ // আদপে উপহারের ভিতরেই সবকিছু থাকে ~ য্যামন প্রশ্নগুলোকে উল্টে দিলে উত্তর // বিদ্যুৎ চমকানো ঝর্ণামতি ঈশারা // বলা ভালো,, ঈশারা'ই ~ চরমতমো উপহার // পথ চলি / ঈশারা গোছাই / প্রমুখ ঈশারা সাজাই :: ঝড়-জল-বরফ // সমস্ত ব্যক্তিগত ~ আদপে খানিকটা ফেলে রাখা ব্যক্তিগত অংশবিশেষ // যার অস্থায়ী ~ চূড়ান্ত / বা কখনোই কোনো স্থায়িত্ব ছিলো না হয়তো // একের পর এক যাবতীয় বিসর্জন মিশে যাচ্ছে ~ শাদাকালো বুদবুদের মাতলামিতে // ভাসমান [ভ্রাম্যমাণ] দূর্বাছেঁড়া অবশেষ!

 

########

 

"সহজকথা ভেবে গুছোই সারাদিন।অথচ বলছো গোটা দিনটাই পাপড়িকণার মনকেমন করা

জটিল শাঁখ।। পেরিয়ে যাই ~ যাবতীয় সীমান্তশিয়র

ত্বকীয় ওম থেকে ~ নিরুদ্দিষ্ট ছায়ামথ্।গতিবিরুদ্ধ"

 

||

জটিল-সহজের কথা এলেই বারবার শতাব্দী / সুমনা / শ্রেয়সী / প্রমা / রুমেলার কথা মনে পড়ে ~ ইত্যাদি // বৃষ্টি একটা কমন ফ্যাক্টর এখানেও // আর বৃষ্টিকে প্রথমবার চুমু খাওয়া অবশ্যই // হাতদুটো এগিয়ে দিয়ে কাকেই বা কবে বলেছি ~ আমাকে নেবে উত্তর?এসব চাওয়ার নেগেটিভ রেখে দিলে বেশ হয় // জমিয়ে রাখি ~ শুধু সোডিয়াম থায়োসালফেটের বিক্রিয়া অপছন্দের // এখন তো বেশ // নিহিত ডিজিটালের মেলানকনিয়া ~ ((চশমার মনকেমন)) ~ প্রকাশ্য বিছানা ও আদর // তবুও ততোটা সাহস কি আছে? নিকোটিন চালান হয় // মগজ প্রশ্ন করে 'প্রেম' তুমি কি আছো?হৃদয়ের কাছে ফুসফুস ১টা রামধনূর ইউটোপিয়া ছাড়া কিছু নয় // একাকীত্ব দেওয়াল বেয়ে; হামাগুড়ি দেয় // ব্যক্তিগত নিয়মে চুঁইয়ে পড়তে গিয়ে থমকায় / আবার নিজের খেয়ালে হাঁটে //

জানতে ইচ্ছে হয় ~ শতাব্দী / সুমনা / শ্রেয়সী / প্রমা / রুমেলা {=টোটেম=} এখনো ভালো আছো তো? নাকি আছিস ব্যক্তিগত!

ভালো থাকার সমীকরণ গড়তে থাকলে ভিন্ন ব্যবহারিক আয়োজন // আনন্দ আয়োজনে গভীর সূক্ষতা / য্যানো প্রথম ঋতুকে আমন্ত্রণ করে; সাবালকত্ব জানান্ দিচ্ছে ~ ]তমুক[ পিচ রাস্তার লীনতাপ // রাস্তাকেও বিছানায় / বিছানাকেও রাস্তায় / গোপন নিভৃত / নিভৃত গোপন / গোটাটাই নিভৃতচারী সরীসৃপ // ছোবলে মুছে যাচ্ছে ঋন // ব্যাভিচারী সামুদ্রিক ঋনশোধ // হল্লার চাহিদা জমছে অনির্দিষ্ট পাকস্থলী মতে // সেখানেও সবুজেসবুজ ফসল // এবং ~ ফসলের গোড়া খুঁড়ে দার্শনিক অ্যাসিড // অ্যাসিডেরই চাহিদা ছিলো // বিছানার বাউন্ডারি / বা তারও বাইরের কিছু // ইদানীং চিন্তাতেও অ্যামিবার চাষ // কতোটা অপরাধী না জেনেই ~ শরীরটাকে ভাবো বৌদ্ধ শিলালিপি // এ শরীর ~ আদিম ]দিনলিপিগতো[ পিগমিস্!

 

########

 

"নদীভিতে নক্সা কষি ~ গভীর মিশছে

আলপনার ভিতর একটু কালো

কৃষ্ণপক্ষ ছড়িয়ে যায় উপশিরায় @ মৃদুমৃদু

স্থিতিময় ইনজেকশন্"

 

              ||

ছোটোবেলায় কিনা জানি না ~ নাকি বড়োবেলায় ১টা ইংরেজি গান (সম্ভবত সাইমন্ দ্য গারওয়েলের) জলছাপের মোহর এঁকেছিল // বলেছিল (স্মৃতিভ্রষ্ট = মেমরি ডিলিট) নয় // তবুও ভুলে যেতে চাই // পারি কি // কয়েকটুকরো বিস্ফোরক সেতু /১েরপর১ / পরতের পর পরত ~ কেবল জমিয়ে রাখা // আর আগলানো ব্যবকলন // তারপর ___//

কিছুটা ব্যখা / সিগারেট / XXX রাম / গতবাঁধা পর্নতে :: ধরা যাক কেউ একজন; আপনার জগদ্দল স্থিতিশীলতাকে ভরপুর চ্যালেঞ্জ করলো // রিঅ্যাকশনের অপশনাল ফ্যাক্টরগুলো কী কী // কেউ যদি বলে আপনার প্রসবদ্বারের জীবন্ত সংষ্করনের সাথে কোনো যৌনকর্ম আছে ~ আর আপনি তা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন আর কল্ করছেন 7th নো ট্রাম্প // কতোটা প্রতিবাদ? তার ঘুনপোকার ব্যস কতো // জানি না // শুধু চিয়ার্স বলে বোকাচোদার মতো বৈদ্যুতিক ফিউজ্ হই // আলোর ভরবেগ :: প্রশ্নটা হল্ট করে // অতএব বেছে নিই প্রিয় ম্যাজেন্টা রংচং //

শতাব্দী তো সেচ্ছায় শরীরে বিলিয়ে দিয়েছিলো তার সীমাবদ্ধতা // এসব অতি-বাউলের কথা // কে যেনো বলেছিলো অন্ধকার ঘরে আপনি মোমবাতি জ্বালালেন // যেটুকু আলো (আপনার নিজস্ব সত্যি) / যেটুকু অন্ধকার; তার বেলায়?

প্যাভলভের থিওরি পড়া জৈব চাহিদাময় ~

যেটুকু অস্পৃশ্য সঙ্গমের ভরবেগ :: নিখাঁদ ম্যানইটার // গলনশীল মোমবাতি-গা ]বরফ[জমাট্

 

        ||

 

"ছুঁতে চাইলেই বন্যা হোক।অথবা বন্য

সিন্থেসিস্ :: 'ওমুখ' বিছানায় ছাই বা চাই :: সমার্থক

উপপাদ্য বয়ে চলে ময়ূর নৌকা।কালরাত্রি এখনো

অবশেষে ঘনো থমথমে নাইটাঙ্গেল হলো

শিশ্ন-পতন ঘটে।তোমাকেও ভালোবেসে গিলোটিন

ছদ্মবেশে সকলেই বেচতে চায়।আলাদীন আকার"

 

######

এখনো জীর্ন মমতাজ্ মহলকে স্বীকৃতি // সাক্ষর্ করেছি / ১টা বাতিল শিশির // হীরের মতোন // অনভ্যাস গড়ে ওঠায় সর্বনাশের নাবিক // সর্বনাশ যখোন উঠলোই পা একটু টলোমলো করুক সুমনা // ইশারাতী তিল্ ~ বহুলাংশে পবিত্র // সুযোগ হয় নি দৃঢ়তাকেও কুসুৃমকুসুম গঙ্গাজল // তবুও  (সুমনা / ইশারা = নাব্য শতাব্দী ঝুম্) // অপ্রয়োজনীয় গোটাটাই ~ ভ্যানিশিং ফ্যাক্টর / না পারলে বলো; সমাংশে বদলে দেবো শীখন্ডী আগাম // মহাভারত // ভাবো তো বিছানা // আমার দিনরাত ~ অগোছালো / অনিয়ন্ত্রিত / চরম // চশমায় মিশিয়ে দিচ্ছি বরফ // পালকেরও চুলচেরা তবায়েত্ কোলাজ // প্লীজ ভিক্ষা চাইছি : অশারীরিক নিঃস্পৃহতা [নিস্পন্দ] // আউট্ অব্ ফোকাস // গোটা সময়টা আলাদাআলাদা ~

বিবাহিত সিদুঁরটিকে ধর্ষন করা // ট্রয় ও রামায়ণ :: উভচরী পথচলার লীনতাপ।আর সমস্ত তাপ জুড়েই কখনো উষ্ণ কখনো শীতল / য্যানো; অনেকটাই ভিসুভিয়াস ও বরফের ওপেক্ মুখোমুখি // পর্দা হারিয়ে যায় অথবা পর্দা হারানোর ইচ্ছে // ধপধপে সবই য্যানো ~ ভাসমান পালকের সাথে কথোপকথনে ব্যস্ত // নিয়মগুলোর রক্তাভতায় হাত সেঁকে নেওয়া // অতঃপর বেশ কাছে অসীমবর্তী শূন্যস্থান // গলগলে ধোঁয়ামুখ [কাছাকাছি খুব]

 

       ||

 

"আপাতত ১টা মাথা।২তলা জুড়োলে

বাঁয়ে ও ডাইনে আকারহীন মধ্যাহ্ন

যে কোনো সাইরেন : নৌকাডুব।পরবর্তী ডুবুরী

খনিজ বৈশাখ তোলা মিথোজীবী আঙুল

ভারী জল-ঘনত্ব বাড়ায়।ফোঁটাফোঁটা

ঘনত্ব বাড়িয়ে চলে ~ ভারী জল।অভিকর্ষ তাপমান

দিনলিপিকে গুছিয়ে রাখি হ্যাঙারের চামড়ায়"

 

#########

ফুঁ দিলেই মনে পড়ে হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা // সম্মোহন কতো মাত্রিক বা কতোটা আয়তনীয় :: কখনোই দেখার চেষ্টা করা হয় নি // হয়তো কালো চশমায় রেটিনাদের শান্ত থাকার ~ নিঃশর্ত ফল // পরবর্তী ফলাফল ঘোষনার ইশারা আসলেই ~ সমস্ত ডাকবাক্সের ত্রিভুজ ভেঙে শীত-জল-চূনকাম // সাবান ফেনায় ভুলিয়ে রাখি নিশ্চয়তাবোধ // ফুসফুস ক্রমশঃ বিশুদ্ধ হয়ে ওঠে ফার্নেস নিভু আঁচে // তারপর হ্যালোজেনের [নিরেট] গতি // যা বাড়লেই বোঝা যায় ব্যক্তিগত ক্লান্তির পোষাক // কয়েকটা বেলুন যেমন রেখাচিত্র বলে বেলার অবস্থান পাল্টায় নির্দিষ্ট // সূর্যস্নাত ছাপাখানা'র নিষিদ্ধ মিলন :: মেঝেতে নির্ভেজাল কোণাকোণি // সময়োচিত মায়াজম্ থেকে ~ অনিকেত বাইক ছুটছে // গতিবেগ যোগ করছে অসীম ছায়ামান // পিছনের সিট :: বড্ড কাছাকাছি অস্থাবর (শতাব্দী / সুমনা / শ্রেয়সী / প্রমা / রুমেলা)র পর নতুন মুখের অভিশ্রুতি // মাটি থেকে আকার নিচ্ছে রুদ্রাক্ষের মূর্তি // বৃষ্টি অঝোর [চৌহদ্দি-পোশাক] // মেটাফরে গুঁড়োগুঁড়ো তাজমহলের কাচ // খোঁড়াখুঁড়িতে ~ লিপলক্ সময় {বা সাময়িক}

 

        ||

 

"হ্যাঙারের চামড়ায় গুছিয়ে রাখি দিনলিপি

তাপনৈতিক অভিকর্ষ।ভারি জল বাড়াচ্ছে ঘনত্ব

ঘনো জল : ভারিত্ব বাড়ায়

মিথোজীবী আঙুল তোলে বৈশাখী খনিজ

পরবর্তী ডুবুরী।নৌকাডুবের যেকোনো সাইরেন

মধ্যাহ্ন-আকারহীনে ডাইনে ও বাঁ।ফলাফল

জুড়োচ্ছে প্রতিতলা।একাধিক মাথা ~ আপাতত"

 

#########

 

নিথর বর্ষায় ক্রমশঃ ভিজছে ঘনত্ব // জামার বোতামগুলো শুষে নিচ্ছে চাঁদভিগি বারিশ্ // ওমওম শাঁখ বাজছে // ভোরবেলার সন্ধ্যা-যুবতী বুনে দিচ্ছে পেঁজাতুলোর মেঘমেঘ আসমান // প্রদীপ জ্বলছে ~ য্যানো; মেরুন-অমেরুন ভিতরগুলো পাড়ি জমাচ্ছে ঘুরপথে // লাট খাওয়া মনমদিরা-ঘুড়ি কয়েকটা (ছাদ অ্যান্টেনা'য়) সুড়ঙ্গ বিভাজনের আঁচিল // এসমস্ত ফসিল ফলানোর কোনো প্রামাণ্য সমাপ্তিরেখা নেই // কেবল ছাইমাখা খাম্বাজ ও বনপলাশের ঢলাঢলি চতুর্ভুজ // সমস্ত প্রতিফলিত যেখানে কয়েকটা স্যিলুট ফেরতা অনুরণন // প্রতিধ্বনি ((আসে / যায় / ভাসে)) আঘাত করে // বিজারিত মন্তাজ কিছুটা

সমস্ত বৃত্তগুলো যতোই সরে যাক উপ বা পরা-র দিক ঘেষে ~ রাত আড়ালিয়া সুখে প্রতিটা কেন্দ্র এক সমান // মৃত্যুহীন ধ্রুবতারা জোরালো সঙ্গতের দাবি জানায় // আর সে নিয়েই সাবালক্ হয় বিলাপের ইস্তেহার // মৌলিক উপাদানগুলো প্রশ্নবোধক!

 

     ||

 

"গোটা ভীড় জুড়ে বৃষ্টি এনেছে ~ পিয়ানো রিংটোন

উফঃ।বুকের মাঝখান <মেরুন কাগজের ভেলা>

ক্রমশঃ ভিজছে ঠোঁটের আগল ~ উন্মত্ত

চৌকাঠ মাড়িয়ে ফেলা ~ মুঠো ছাই।জলঢেউ ভাঙে

নিশ্বাস কাছে আসে। ঘনিষ্ঠতম ফরিস্তা-চিরাগ"

 

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন