কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯

লক্ষ্মীকান্ত মন্ডল




গ্রামের নাম রাইচক 

মৌমাছির ঝাঁক ঘিরে ধরছে শূন্যতাকে; বাতাস কালো করে 
দিচ্ছে  - বট গাছের ছায়ায় হারিয়ে যাচ্ছে প্রহর - সদ্য নামা 
উত্তাপের সেই আবহাওয়া বাজে জীবনমুখি গান 
নাবালের দিকে কয়েকটি কুর্চিফুল আর সকাল সন্ধ্যার হরিণ   
তারা নাভি ভাসিয়েছিল সেই কবে - আমিও জানিনা সেই 
বিন্দু বিন্দু মানুষ কিভাবে লড়াই করে ভালবাসার জন্য  -
নিজেরাই সুন্দর তাই মধু জড়ানো তীব্র হুল নিয়ে চারপাশ 
মধুময়; ওড়না উড়ছে আটপৌরে  
কত পথ চলে গেছে এই গাছতলা দিয়ে 
শ্রমিক পুরুষেরা শস্যকাল আঁকতে আঁকতে বেঁচে উঠছে বার বার 
এই বিন্দুর কেন্দ্রে পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ করতে উন্মুক্ত কৃষ্ণগহ্বরে রানীটি মাখছে ফুলের রস - 

সামনের মোরাম  রাস্তা 

হঠাৎ জলের ছবি এসে পড়ছে আমার দেয়ালে, তখন সূর্যকে 
আড়াল করছে কেউ, দক্ষিণের রাস্তা দিয়ে যুদ্ধরত কিছু মানুষ 
সারাদিন ভিজতে ভিজতে ব্যর্থ করছে নিজস্ব বিস্ফোরণ - 
অন্ধকার পিষে এই মসৃন গ্রামের সব উষ্ণতা, 
ছায়াছায়া সিঁড়িপথে বাতাসের ঝাপট - অনুসন্ধানের তীব্র 
ঘুঘুডাক; ভিজতে থাকে মাটি 
যদিও মাথার ওপরে মেঘ - মৃত্যুকে এড়িয়ে যাওয়া শিরীষের 
ডালপালা,  স্তর স্তর দুঃখে চুপচাপ বসে থাকে একলা শালিক- 
দারুণ  জীবনসঙ্গী আমার!  

অবশেষে উঠে দাঁড়াই - আক্রান্ত অক্ষরেরা আঁচড় কাটুক 
চুইয়ে আসা জলের ছোপে  

দুপুর বারোটার খবর 

ঘাস ও গাছপালা নিয়ে সে বসে আছে একা । তার কাছে 
দু জোড়া চটি - পাশ দিয়ে আমার গুনগুন ভেসে যাওয়া - 
নিঃশ্বাসে একটা মাছ ঘাই দেয় হঠাৎই, শরীরের শব্দ জানাটা 
কোন কঠিন কাজ নয়, চোখ থাকলেই হল আর নাক  - 
একজন মানুষ কোথাও না কোথাও দাঁড়াতে চায়,  পুকুরের  
বর্ণনায় ভাসে কিছু শুকনো পাতা - তাতে জমে গেছে  মেঘের 
সর - জামাকাপড়ের নিচে জল ঘুরছে গোল তরঙ্গে,  ভেঙে 
যাচ্ছে ছায়া, কোথাও চড়ুই লাফালাফি করে - পানিজামের 
পথটা দু'দিকে চলে গেছে  - কোন পাকদণ্ডী নেই - হৃদপিণ্ডের 
চলাচলে  - 

আঙিনায় দহনের উপমা 

সেই দরজার সামনে দম দেওয়া ঘড়ি  - টিক টিক শব্দে উড়ে 
যায় পরপর শুকনো বাঁশপাতা,  সাকুল্যে মিনিটখানেক 
সুনসান, এই নিঃশব্দে কোন ভয় নেই - শুয়োপোকা গুটি 
বাঁধছে - বাড়ছে পৃথিবীর পরিধি -   
এমন দৃশ্য দেখার কেউ নেই, সাঁতার কাটছে আড়ালের ইন্দ্রিয়- 
নম্র শিশিরের এক নদী ছিল; কমলেকামিনী   
কিনারা ছিল না - সেই সত্যির কাছে বাঁশির আবহসংগীত, অস্থির নীল প্রজাপতি ঢুকে যায় মগজে  - নতুন ধানের পালা বদলের শেষে অসুস্থতা আর ক্ষত সারাদেশ জুড়ে  -
একটা নদীর সাথে কিছু রাস্তা আছে মাত্র - এর মধ্য শেষ হবে
আমাদের আলিঙ্গন ও অনিদ্রা ,  যেভাবে ভাগ হয়ে যায় হৃদয় 
বেদনা কিংবা অতীত - রোদ পোহাবার পূর্বে কেবল মাটি কুরে 
খায় ঠোঁট  - 






0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন