ঘর 
শরীর ধর্ম থেকে মন তৈরি হচ্ছে, কিংবা মনের ধর্মে
  শরীর চলছে ? 
সমস্ত কিছু এক মত নয়, মস্তিষ্ক বলয়ে চলছে
  প্রাণধর্মের অটো কলকব্জা 
ঠিকঠাক আঁটা আছে। লোহা তালের ঘর্ষণের শব্দ হয় 
নরম এক তাল বস্তুতে মন রাখা থাকে, তাই তাকে তালগোল
  পাকিয়ে 
তাকে দিয়ে যথেচ্ছা পাখি বানাই, একটা ঘর ফুলফল পাখি
  ও তোমাকে সাজাই। 
ছাদ 
ভিটামিন ডি’র উৎস তোমার যে যে
  স্থানে লাগে না 
রোদ্দুরের বড় প্রয়োজন 
দেহকে পোশাকের মতো টাঙিয়ে রাখতে গিয়ে 
একটা ছাদ উঁকি মারে। 
তোমার ব্রা-প্যান্টি উড়ে গেল বাতাসে 
একজন সে জানে না কে তুমি! 
তবু তার ঘ্রাণে তুমি ছিলে-- 
সে পুরুষ একটি নারীর আঁচ জেনে নেয়।     
চারপাশ উড়ে যাচ্ছে 
এমনি হয়, তুমি স্থিতিমান, তোমার চারপাশ উড়ে যাচ্ছে-- 
সময়ের প্রবাহ মেপে নিতে পারো না--   
মাপযন্ত্র পড়ে থাকে, তুমি সাথে নেই। 
তুমি যতটা নবীন হও, হতে পারে দেহটুকু তারও বেশী 
কখনও আশ্চর্য হই,  এই দেহের ভেতরই আমি বাস করি!   
বালিশের পোশাক সরিয়ে দেখি 'বাসাংশী জীর্ণানী’ কথা। 
পূর্ব পুরুষের ঘ্রাণ সরিয়ে আবার দেওয়ালে প্রলেপ মাখি-- 
তার নাম লেখা নেই, তার ছবি দেওয়ালে ঝোলে, 
একদিন তারই বংশধর নাম ধাম ও শ্রাদ্ধপিন্ড থেকে 
টেনে তুলি মৃত পাঁচ পুরুষ।   
ভুলে গেলে ভালো, নতুবা গণ্ডিতে পড়ে থাকা-- 
বিস্তার নেই -- তারকাটার বাইরের ভাবনা নেই-- 
নতুবা তুমি মিশে গেলে প্রলম্বিত… 
যতটা বিস্তৃত হবে ততটা হালকা হবে তুমি-- 
তাই বুঝি এক নারী এক পুরুষ ও একটি খাঁচা। 
নিজের প্রগাঢ় দাগের ভেতর কাছাকাছির অবস্থান 
হাসতে দেখলে ঈর্ষা হয়, তুমি সুখে আছো বলে,   
কাঁদতে দেখলে সহানুভূতি জাগে, আমার চেয়েও দুখী আছ বলে !   
শীতের জড়তায় তুমি নির্ঘুম, সেখানে পোশাকের অসাড়ে তুমি ঘুমিয়ে পড় 
ঘুমও এক ধরনের সুখ, কখনও নির্লিপ্ত হতে ভাল লাগে তোমার 
বারবার তাই বুঝি ছুটে যাও নেশার আসরে 
জীবন চেয়েছ, বাস্তবতা চাও নি -- দুঃখ তোমার অভিপ্রেত নয়।   
পকেটের ঠিকানা 
দেহ বাঁচাবার অর্থটুকু দিও প্রভু! 
তখন ভাবিনি লজ্জা বলেও কিছু আছে, 
খেয়ে পরে বাঁচতে দাও প্রভু! 
স্বপ্ন বেশী দিও না -- ওদের আসমানের মাথায় তুলে দিয়েছ প্রভু! 
আমায় না হয় একবার পাখির মত উড়াল দিতে দিও। 
তারপর ইচ্ছেগুলি বাসনা, বাসনাগুলি চোরা পথ, 
খালি খালি লাগলে তোমায় চুরি করে দেখার ইচ্ছে হতেই পারে! 
ভালবাসার অনেক রঙ, তবু যদি বলো, চোখ বুজে থাকো-- 
সাজিয়ে গুছিয়ে ঘরবন্দী রেখো না আমায়-- 
আমিও দেখতে চাই আশপাশ জানালার বাইরের পাখি ওড়া। 
উড়াল পাখিকে নিজের ঠিকানায় ফিরে আসতেই হয় 
হারাবার পরে খুঁজে ফিরেছি তোমায়-- 
অথচ পকেটের সে ঠিকানায় আর তুমি নেই! 
আমার শৈশব হারিয়ে গেছে 
সেই বিরহিণী মেয়েটির সরলতা হারিয়ে গেছে-- 
তবে তুমি দুঃখে আছো বলো, পাওয়া থেকে চাওয়া মাপের ব্যবধান 
তোমার দুঃখগুলি, 
তাই মাপক নেই, তার সঠিক ওজন নেই, 
সময় তোমায় মেপে নেবে -- তোমার নিয়ম পরিধি আচার সংহিতা। 
 | 
  
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন