কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯

প্রণব বসুরায়




চোরকে ধর্‌

ঘুমের মধ্যে কথার মাঝে 
যাই, জড়াই,
দিনযামিনী খোলাই থাকে
ধান মড়াই...

কোথাও কিছু নেই তো ভুল
রাত প্রহর?

তবুও যদি দেখিস ভুল
সব ছলনা।
আমার ঘুড়ি অন্যে ওড়ায়
অলস বোনা...

মাঠের শেষে টিলা দ্যাখায়
দুয়ার ঘর--
যক্ষপুরীর নদীর পাশে
শুকনো চর,

রোজই শুনি পুলিশ আসে
চোরকে ধর্‌


বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ

মড়ার খুলি টুলিতে আর ভয় পাই না
ভূত প্রেতে ভয় থাকলেও বিশ্বাস নেই তত...
এসব বন্ধ করুন ভাই

শালীনতার মতো সহ্যেরও একটা সীমা আছে, যা
খসে গেলে তান্ডব হ'তে সময় লাগবে না।

আপনি এখন অনেক কিছুই বলেন না।... কেন?
কেন চাপিয়ে দিচ্ছেন তাবিজ কবচের নামাবলী...
কেন দিচ্ছেন আদিম সুরুয়া সুকৌশলে, সুজাতার গল্প
শোনাতে পোষা পাঁচালিকারদের সঙ্গে শলা করছেন,
অবৈতনিক পাঠাগারে
ঢুকিয়ে দিচ্ছেন আঁচলে বেঁধে থ্রি-এক্স বই;
ওয়ালেট হারিয়ে যাবার ঘটনায় এতই বিপন্ন বোধ করছেন
যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হ'লো কলকাতাতেই!

বন্ধ করুন এখনই এসব--
পরশুরামের হাতে কুঠার তুলে দিলে
সে কিন্তু প্রথম আপনাকেই কাটবে


প্রাইভেট লিমিটেড বর্ণমালা

অঙ্কের উত্তর হয়, তবে সব অঙ্ক এক নয়
গমনে উড়ান লাগে, গন্তব্য আলাদা আলাদা

এক আকাশ মেঘ নিয়ে গিয়েছি যখন
তুমি রচনা দেখাও গরু ও মহিষের,
পেডিগ্রি ও দুধের হিসেব দিতে দিতে
ল্যাক্টোমিটার ধরিয়ে দাও আমার হাতে।
মিটারে আঁকা দাগের তাৎপর্য বুঝতে পারি নি
আমার চোখে তখন অর্ধেক অন্ধকার। সেকথাও
অজানা ছিল না তোমার।
কিছু কি বলল কেঊ বিদ্যুৎ-ভাষায়!
তার বর্ণমালা এখনও প্রাইভেট লিমিটেড

পুণ্যের দিন নিকট বলে জলসত্র খুলেই রেখেছি
ক্লান্ত পথিক সেখানে দুদন্ড জিরোয়, জল খেয়ে যায়...



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন