কলকাতা
(১)
সুখ থেকে পাখি উড়ে গেলে
গোলা হয়
আর্মেনিয়ান ঘাটে ‘কিংবা অথবা’ পায়রারা
একটা সুখ
তো আরেকটা মান্টো
মান্টো পায়রাদের নিয়ে কিছু লেখেন নি, কেন
কিছু জানা আছে হে জল, হে নদী
বক বকম পিছলে যাচ্ছে ঘাটে
কব্জিতরল মান্টো
সুখ নিয়ে লিখেছেন কিংবা দুঃখ নিয়ে
অথবা একটা আঙুল নিয়ে লোফালুফি খেলছে
জার্সি গরু ম্যাঙ্গালিকা শূওর
আর ঘাট কিছু নয়, রেফারি, রেফারিরা গান গায়
বাপ নেই তোর বাপ নেই তোর
বাপ নেই তোর রেফারি
পাখি ওড়ে
সুখ হয়, হয়ে পর্দা নামিয়ে দেখে কলকাতা সাঁতার কাটছে
গঙ্গার চাউনিতে
ভোর হল তবে...
(২)
সে সব পেরিয়ে
সেই শব পেরিয়ে, ১৯৭১ সাল।
আমি কোথাও যাইনি
বিপ্লব এসেছিল এক চিলতে তারায় দাঁড়িয়ে কী তার গোঁ
আমি লিখিনি কিন্তু
পরে, অনেক দিন পরে, পুলিশদের যেবার মাইনে বাড়ল
তারা হল সিতারা
আমি তোমার সংগে উহুঁ আহুঁ করছিলাম, লিখিনি
লিখলেই বা কী হত
বন্দুকের নল, মহুয়া গাছ, কোয়েল নদী বেশুমার কলেজ স্ট্রিটে
একটা ডাকবাক্স হঠাৎ
লাল
ভেতরে চিঠি মানে নীল পালক, চিঠি মানে ইশতেহার
তুমি জিভ লাগিয়ে দিতে খামগুলোয়
আমি পেতাম
স্বাদ
আমি কিন্তু লিখিনি বিপ্লব আর পেরামবুলেটার হেঁটে যাচ্ছিল
চলে যাচ্ছিল
(৩)
কেবিনে মায়া ফেলল কাটলেট
সেই যে ওর খুব মায়া
সেই মায়া
ফেলতে ফেলতে মাংস
রোদ জড়ো হত, তাই
ট্রামের তারে শন শন উত্তাপ, বাইরে এসবই
হাল্কা শাড়ির ডৌলে রাখা
যেন কেউ কোথাও দুঃখে নেই, আর মারা যাচ্ছেনা কেউ
সবাই মাংস খাওয়ার আগে
ফুল দেখছে
শীত, কলকাতায় এলে, বিদ্যাসাগরও কি যেন দেখতেন
শাদা বিধবাদের ভেতরে
(৪)
মনে হয় কফিহাউস শনিবার অব্দি আড়মোড়া ভাঙছে
শীতে
সেবাস্তিয়ান বলে একটা ছেলে কলকাতায় আসে
গার্গী চলে যায়
শীতে ভাঙার কথা ছিল নমুনা টমুনা, আসা আর যাওয়া
খুবই সাধারণ ব্যাপার, ভাঙাটা অসাধারণ, ভেঙে পড়ার সময়
গার্গী চলে গেছে
রোদ পোহাচ্ছে সেবাস্তিয়ান
গার্গীর গায়ে উলরোদ, সেবাস্তিয়ানও দেখল, কিভাবে চলে যাচ্ছে
গার্গী
চেনেনা কিন্তু
শীত এই সম্পর্ক রুয়ে দিল, কফি একটা গিঁট, তরল
সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় কিচ কিচ করে
তর্ক করে
শীত ভাল
শীত খারাপ, শীত দারু, শীত হাঁপানি তর্ক জমে ওঠে
গার্গী শুনতেই পায় না...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন