কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮

দেবযানী বসু




আয়নাভ্রম


নিজেকে মুছে ফেলে অ‍্যাম্বুলেন্সের প্রাথমিক চিকিৎসার বক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছি। এবার পাছায় চাপড় মেরে রওয়ানা দিলেই হল। মনের কথা শোনামাত্র চটিজুতো ফটফট করে জুতোর র‍্যাক ছেড়ে লাফিয়ে নামল -- 'কারিয়া পিরেত বা'র ঢঙে। দুদিন আগেই ডাক্তারবাবুর ঠোঁট ফেটে রক্ত বেরিয়ে এসেছিল মাস্তানির আহ্লাদে। কোথাও পিটিয়ে আস্তে হবে জানলেই হল। পোঁদে নানচাকু ঢুকে যাবে হড়হড় করে। হড়হড় মানে সেই ঊনবিংশ শতাব্দীর ট‍্যাক্সিচালক আর বাড়ির  পরিচারিকার দ্বিপ্রাহরিক উড়ানচাকতি খেলা আর মধু পিসির বাথরুমে চাপা হড়হড়ে বমি।

মদ পেটে পড়লে ব্রক্ষ্মজ্ঞান আসে। গঙ্গাধরের শাশুড়ি চিরকাল সুচিত্রা সেন থেকে গেল। গঙ্গাদা কিনা বন্ধুবিচ্ছেদ করে বসে আছে সেই বন্ধু পরকীয়া করে বেড়াচ্ছে  বলে। সেই কলকাত্তা কি রানিকে আবার তার জননী সাহায্য করে। জামাইটা জানে বোঝে চুপ করে থাকে। বৌ পালানোর চাইতে এ ভাবে থাকা ভালো। জামাইদা জানে গঙ্গাধরের বৌটাই বা যাবে কোথায়। সে বৌটাকে তো বরযাত্রী অবস্থা থেকে দেখে আসছি। বৌটার খুব খিল্লি ছিল। একবার আমাকে খুব মিষ্টি খাইয়েছিল পাড়ার মিষ্টির দোকানে নিয়ে গিয়ে। মিষ্টির আকারের দিকে তাকাই আর চোখ মেলে মাথা ঝাঁকাতে আর সে বুঝে যায় সন্দেশ কি রসগোল্লা শরীরের  কোথায় কে মানায়। গভীর গরম নিঃশ্বাস তার পিঠের খোলা অংশে পড়ে তাতেই উভয়ের উনুনের দুধ উথলায়।
 

জরায়ু অপারেশন হবার পর কেমন যেন চুপসে গেছে। মাইরি শুকনো কলাপাতার বৌ। তবে মিথ‍্যে যে বলবে তার মা রেন্ডি। ঐ লোহার ঢালাই মেসিনের রাস্তার মোড়ে নান্টু তার বৌকে বলেছিল পোলিও খাওয়ানোর
  দিদিমনির নাকি জরায়ু নেই। গঙ্গাদার বৌ তাই বিশ্বাস করেছিল। জরায়ু নেই যার তার সঙ্গে আর লাগানি কী করে হবে! তাই সন্দেহ করে নি প্রথম কয়েক বছর।   অনেক পরে ধরা পড়ল দিদিমনির ইন্দ্রজাল। 

এই যে আমি যাকে ইয়ে করতুম সে তো বিয়ে হয়ে চলে গেল অন্য দেশে। বাপের
  বাড়ি এলে মাঝে মাঝে কামারশালায় রংঝালাই হয়। আমার ঘরের একটা দরজা বন্ধ করে দিলেই এ বাড়ির সঙ্গে আলাদা হয়ে যাই। বাগানের দিকের  দরজা দিয়েই মুনিয়া পাখির অচিন পাখির  যাওয়া আসা। দেখতে দেখতে পিরিতি শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনের বটগাছ।

বোতল শেষ হলে দরজা এঁটে গুষ্টিসুদ্দু পরকীয়ামারানিদের বাপবাপান্ত করি। কবেকার সিঁদুর কৌটো আর শাঁখাপলা দেরাজ খুলে বার করি। সিঁদুর খানিকটা  তেলে গুলে মালিশ শুরু করতেই পয়েন্টে হুল্লোড় শুরু হল। দেখতে দেখতে তাই বড় হয়ে আয়না ছুঁয়ে ফেলল।

জানি না কাল আবার কে আমাকে কীভাবে আবিষ্কার করবে। লুঙ্গি মাথায় ঘোমটা দেওয়া...


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন